শাহরিয়ার কবিরের ডিম তত্ব! পাকিস্তানীরা সেই ডিম খেয়ে শক্তি সঞ্চয় করে আমাদের মাবোনদের ইজ্জত লুন্ঠন করতো! শাহরিয়াররা পাকিসৈন্যদের ডিরেক্ট সাহায্য করেছে! তাই এখন তাকে বলা উচিত শ-তে শাহরিয়ার, তুই রাজাকার তুই রাজাকার!

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ রবিউল ইসলাম ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৮:০৮:১৭ সকাল



এই জানোয়ারই একাত্তরে পাকিদের মুরগী সরবরাহ করতো, ডিম সরবরাহ করতো, পাকিদের শক্তি যোগাতো তাকে শাহবাগের মঞ্চ থেকে ফাঁসির দাবী তুলে সরকারকে সাহায্য করা হোক! শ-তে শাহরিয়ার, তুই রাজাকার তুই রাজাকার!

এভাবে যদি বিচার চলতে থাকে তাহলে কে কি দিয়ে পাকিস্তানীদের সাহায্য করেছে তা বোঝা যাবে। তাই এখন তাকে বলা উচিত শ-তে শাহরিয়ার, তুই রাজাকার তুই রাজাকার!

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির (ঘাদানিক) সভাপতি শাহরিয়ার কবির ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ করেননি বরং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে তিনি মুরগি সরবরাহ করেছেন। লেখক মুশতারি শফির লেখা ‘বেগম জাহানারা ইমামের স্মৃতির উদ্দেশে চিঠি’ নামক বইয়ে শাহরিয়ার কবির সম্পর্কে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিপক্ষে প্রসিকিউশনের প্রথম সাক্ষী শাহরিয়ার কবিরের অসমাপ্ত জেরাকালে এসব কথা আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

মঙ্গলবার সাক্ষীর জেরা শেষ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে আরো নয়দিন শাহরিয়ার কবিরকে জেরা করে আসামিপক্ষ।

মিজানুল ইসলাম আরো বলেন, প্রসিকিউশনের প্রথম সাক্ষী শাহরিয়ার কবির দাবি করেছেন, মুজাহিদ মুক্তিযুদ্ধের সময় আল-বদর বাহিনীর কমান্ডার ছিল। অথচ জেরায় এক প্রশ্নের উত্তরে শাহরিয়ার কবির বলেন, ১৯৮৯ সালে তার প্রকাশিত ‘একাত্তরের ঘাতকেরা কে কোথায়’ নামক বইয়ে অনেক ব্যক্তিকে আল-বদর বাহিনীর সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে ওই বইয়ে মুজাহিদকে আল-বদরের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি।

পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালের সংস্করণেও তিনি তার বইয়ে মুজাহিদের নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু ১৯৯৫ সালে তিনি মুজাহিদের নাম সেখানে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

সাক্ষী বলেন, ১৯৭২ সালে জহির রায়হানের দুজন সহধর্মিণী ছিল। একজন সুচন্দা এবং আরেকজন সুমিতা দেবী।

১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি জহির রায়হানকে মিরপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন তার সাথে আমি ছিলাম। এসময় আমাদের সাথে কোনো সামরিক অফিসার ছিল না। তবে পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ছিল।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘বিগত জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালের ১৫ ডিসেম্বর আমি গ্রেফতার হয়ে ১৬৪ ধারায় কি জবানবন্দি দিয়েছিলাম তা আমার মনে নেই। যদিও হাইকোর্ট ওই মামলাটি বাতিল করে দিয়েছিল। ’

এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী তাকে প্রশ্ন করেন, মুশতারি শফিকে আপনি চিনেন কিনা? উত্তরে সাক্ষী বলেন, হ্যাঁ আমি চিনি।

এরপর শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘মুশতারি শফি জাহানারা ইমামের স্মৃতির উদ্দেশে চিঠি নামক বইটি লিখেছেন কিনা তা আমার জানা নেই।’

মুশতারি শফিকে স্বাধীনতাবিরোধী বলবেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে শাহরিয়ার কবির বলেন, অনেক মুক্তিযোদ্ধাই জামায়াতে যোগদান করেছেন। তাদের আমি কি বলবো? তবে তাদের আমি মুক্তিযোদ্ধা বলতে নারাজ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মুশতারি শফির বইয়ে আপনার সম্পর্কে বলা হয়েছে, আপনি তো মুক্তিযুদ্ধ করেননি বরং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে মুরগি সরবরাহ করেছেন। এ কথাটি জেনেই আপনি তার বইটি পড়ার কথা অস্বীকার করছেন, আইনজীবীর এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা একটি নির্জলা মিথ্যা।

এ সময় শাহরিয়ার কবির আরো বলেন, ১৯৯৫ সালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি থেকে মুশতারি শফিসহ ১১ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

আপনি সিপিবি করতেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, আমি কখনো সিপিবি করতাম না।

উল্লেখ্য, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিপক্ষে মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।উৎসঃ জাস্ট নিউজ



এভাবে যদি বিচার চলতে থাকে তাহলে কে কি দিয়ে পাকিস্তানীদের সাহায্য করেছে তা বোঝা যাবে। তাই এখন তাকে বলা উচিত শ-তে শাহরিয়ার, তুই রাজাকার তুই রাজাকার!

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির (ঘাদানিক) সভাপতি শাহরিয়ার কবির ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ করেননি বরং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে তিনি মুরগি সরবরাহ করেছেন। লেখক মুশতারি শফির লেখা ‘বেগম জাহানারা ইমামের স্মৃতির উদ্দেশে চিঠি’ নামক বইয়ে শাহরিয়ার কবির সম্পর্কে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিপক্ষে প্রসিকিউশনের প্রথম সাক্ষী শাহরিয়ার কবিরের অসমাপ্ত জেরাকালে এসব কথা আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

মঙ্গলবার সাক্ষীর জেরা শেষ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে আরো নয়দিন শাহরিয়ার কবিরকে জেরা করে আসামিপক্ষ।

মিজানুল ইসলাম আরো বলেন, প্রসিকিউশনের প্রথম সাক্ষী শাহরিয়ার কবির দাবি করেছেন, মুজাহিদ মুক্তিযুদ্ধের সময় আল-বদর বাহিনীর কমান্ডার ছিল। অথচ জেরায় এক প্রশ্নের উত্তরে শাহরিয়ার কবির বলেন, ১৯৮৯ সালে তার প্রকাশিত ‘একাত্তরের ঘাতকেরা কে কোথায়’ নামক বইয়ে অনেক ব্যক্তিকে আল-বদর বাহিনীর সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে ওই বইয়ে মুজাহিদকে আল-বদরের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি।

পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালের সংস্করণেও তিনি তার বইয়ে মুজাহিদের নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু ১৯৯৫ সালে তিনি মুজাহিদের নাম সেখানে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

সাক্ষী বলেন, ১৯৭২ সালে জহির রায়হানের দুজন সহধর্মিণী ছিল। একজন সুচন্দা এবং আরেকজন সুমিতা দেবী।

১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি জহির রায়হানকে মিরপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন তার সাথে আমি ছিলাম। এসময় আমাদের সাথে কোনো সামরিক অফিসার ছিল না। তবে পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ছিল।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘বিগত জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালের ১৫ ডিসেম্বর আমি গ্রেফতার হয়ে ১৬৪ ধারায় কি জবানবন্দি দিয়েছিলাম তা আমার মনে নেই। যদিও হাইকোর্ট ওই মামলাটি বাতিল করে দিয়েছিল। ’

এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী তাকে প্রশ্ন করেন, মুশতারি শফিকে আপনি চিনেন কিনা? উত্তরে সাক্ষী বলেন, হ্যাঁ আমি চিনি।

এরপর শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘মুশতারি শফি জাহানারা ইমামের স্মৃতির উদ্দেশে চিঠি নামক বইটি লিখেছেন কিনা তা আমার জানা নেই।’

মুশতারি শফিকে স্বাধীনতাবিরোধী বলবেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে শাহরিয়ার কবির বলেন, অনেক মুক্তিযোদ্ধাই জামায়াতে যোগদান করেছেন। তাদের আমি কি বলবো? তবে তাদের আমি মুক্তিযোদ্ধা বলতে নারাজ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মুশতারি শফির বইয়ে আপনার সম্পর্কে বলা হয়েছে, আপনি তো মুক্তিযুদ্ধ করেননি বরং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে মুরগি সরবরাহ করেছেন। এ কথাটি জেনেই আপনি তার বইটি পড়ার কথা অস্বীকার করছেন, আইনজীবীর এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা একটি নির্জলা মিথ্যা।

এ সময় শাহরিয়ার কবির আরো বলেন, ১৯৯৫ সালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি থেকে মুশতারি শফিসহ ১১ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

আপনি সিপিবি করতেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, আমি কখনো সিপিবি করতাম না।

উল্লেখ্য, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিপক্ষে মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।উৎসঃ জাস্ট নিউজ

http://www.sonarbangladesh.com/blog/moniraa/149829

বিষয়: বিবিধ

১৬৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File