ভালোবাসার অভিশাপ

লিখেছেন লিখেছেন কাজী যুবাইর মাহমুদ ২৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:০০:২২ বিকাল



একটা গল্পের সংক্ষিপ্ত সারাংশ।

ছেলেটা অনেক খারাপ, সন্ত্রাসী করে মানুষের অনেক মাল লুট করেছে।

সারা অংগ তার পাপে ভরা।

কিন্তু ছেলেটা দু'একটা আধ্যাত্মিক গুন আছে।

১। কথার ধরণ

২। ধর্য্যের সীমা

১। তার কথায় আমি আজ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি যে ছেলেটা আসলেই অনেক বাজে, অনেক খারাপ কাজ করে, মদ খায়, সিগারেট খায়।

২। সেই ছেলেটাকে আমরা অনেকে এতো তিরস্কার করেছি! এতো অপমান করেছি! যা একজন সাধারণ মানুষের জন্য সহ্য করা অনেক কষ্টকর।

কিন্তু এত্ত, এত্ত অপমান করার পরও আমি তার কাছে নত হওয়ার আগেই সে আমার কাছে মাফ চায়, আরও সুন্দর আচরণ করে।

কী আজীব!

এই ছেলেটাকে নিয়ে আমি এখনও অনেক ভাবি।

একদিন ফেইসবুকে তার সাথে পরিচয় হয় একটা ভদ্র মেয়ের। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভালোবাসা তাদের মাঝে।

এক সময় ছেলেটা এবং মেয়ে ভালোবাসার অনেক গভীরে চলে যায়।

এবং সে গভীরতার আবেগে ছেলেটা তার প্রেমিকা, অর্থাত সেই মেয়েকে তার সব কুকর্ম প্রকাশ করে।

কার থেকে কি লুট করেছে, কি চুরি করেছে- এই সব বলে দিয়েছে তার প্রেমিকাকে।

তারপর

মেয়ে জানতো না যে ছেলেটা এতো খারাপ! এসব কথা শুনে প্রেমিকের প্রতি ঘৃনা চলে আসে তার।

কিন্তু মজনু তো তার লাইলিকে অতিরিক্ত ভালোবাসার দায়ে তার সব আকাম-কুকাম গোপন কথা গুলো বলেছে। লাইলি হয়তো তা বুঝেনি।

তাইতো একটু একটু করে অনেক খারাপ একটা ছেলের হাত থেকে দূরে চলে আসতে চাইছে সে।

না না। সে দূরে আসেনি। যদি দূরে আসতো, ভালোই হতো।

গোপনভাবে সে ছেলেটাকে আটকিয়ে যাদের মাল লুট করেছে, যাদের টাকা চুরি করেছে, তাদের হাতে আসামী করে দিতে চায়।

এবং সে পারবে, কারণ সে তো তার মজনুর সব গোপন কথাই জানতো।

এভাবে অনেকদিন চলতে থাকে তাদের এই দুইটি হৃদয়ে দু প্রকারের ভালোবাসা।

ছেলেটা একটুও টের পায়নি যে তাকে ভালোবাসার অভিশাপে এতোবড় ধোকা খেতে হবে।

অনেকদিন পর, ভালোবাসা অনেক গভীর হওয়ার পর মেয়েটা তার মজনুকে দেখা করা জন্য আসতে বলে।

বিষয়: বিবিধ

১৫৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File