কত তথ্য প্রমান সাক্ষী পেলে রায় মানবে জামায়াত শিবির?

লিখেছেন লিখেছেন সাদা মন ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০২:৫৫:১১ দুপুর

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন মিরপুরের আলুব্দী গ্রামের গণহত্যা মামলার বাদী আমির হোসেন মোল্লা। তিনি এ মামলার অন্যতম সাক্ষীও ছিলেন। রায় শোনার পর তিনি আজ মঙ্গলবার এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই ছয় অভিযোগের পঞ্চম অভিযোগ অনুসারে, একাত্তরের ২৪ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনা ও অবাঙালি রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে কাদের মোল্লা মিরপুরের আলোকদী (আলুব্দী) গ্রামে হামলা চালান। ওই ঘটনায় ৩৪৪ জনের বেশি নিহত হন।

এই অভিযোগে কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। রায়ের খবর শুনে আলুব্দী গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

আলুব্দী গ্রামের গণহত্যা ঘটনার অন্যতম সাক্ষী আমির হোসেন মোল্লার মতে, কাদের মোল্লার নেতৃত্বে আলুব্দী গ্রামে যে গণহত্যা চালানো হয়েছিল, তার অসংখ্য সাক্ষী এই গ্রামে আছেন। কাদের মোল্লা ও পাকিস্তানি সেনাদের হাতে আলুব্দী গ্রামের ৩৫০ জন মারা যান। তাই সঠিক বিচার অবশ্যই ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে, এ রায় প্রভাবিত। আমরা এ রায় মানি না। আমরা উচ্চ আদালতে কাদের মোল্লার ফাঁসি চেয়ে আপিল করব।’

এ ছাড়া, আলুব্দী গ্রামের কমপক্ষে ১০ জনের সঙ্গে এই রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়, যাঁদের আত্মীয়স্বজন ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল কাদের মোল্লার নতৃত্বে সংগঠিত গণহত্যায় মারা যান। তাঁরা এ রায়ের কথা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন, চিত্কার করে বলতে থাকেন, ‘এ রায় মানি না। কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই।’

রায়ের পর গ্রামে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে আহত আইয়ুব নবী বলেন, ‘গুলি খাওয়ার পরও বেঁচে গেছি। আশা ছিল, নরঘাতক কাদের মোল্লার ফাঁসি হবে। আমাদের ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিলেন, এতে অপরাধের প্রকৃত শাস্তি হয়নি।’

বিষয়: বিবিধ

১৪৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File