আঠারো পেরিয়ে..........
লিখেছেন লিখেছেন পেন্সিল ১৮ মার্চ, ২০১৩, ০৭:৩৯:১৯ সন্ধ্যা
.......................
কিছুতেই আমার বিশ্বাস হতে চাইছে না-
আঠরোটা বরষা পেরিয়ে এসেছি।
শরতের অগণিত সফেদ কাশফুলের সীমানা পেরিয়ে যেন
উনিশের দরোজায় কড়া নাড়ছে আঠারো-
--কে?
--দরোজাটা খোলো, আমি আঠারো।
--এত তাড়াতাড়ি তো তোমার ফেরার কথা ছিল না
--দূর্বার, দূর্জয় আঠারো আমি। তাড়াতাড়িই তো ফিরবো,
অবাক হচ্ছো কেন?
--আফসোস! বসন্তের বাতাস গায়ে মাখলে না।
--ভুল কোরো না, উনিশ!
বসন্ত ক্ষণিকের কুহেলিকা মাত্র।
ও তোমার চোখের তারায় মরিচিকার বিজলী জ্বালবে,
লিওনার্দোর মোনালিসা বেদনার হাসিতে জড়াবে;
কসাইখানায় খাসীর বদলে খেকশিয়ালের রক্তে
সিক্ত করবে কাঠের বেদী।
হয়তো শিকাগোর শ্রমিক বিদ্রোহ অথবা
হিরোশিমা নাগাসাকির তপ্ত তুফান
এলোমেলো করে দেবে সব........সবকিছু।
কিন্তু ভুলেও কুহেলিকার ছলনায় মজে যেও না যেন।
ভাবা যায়! আঠরোটা গ্রীষ্ম, বরষা, শরৎ..........
ফুরিয়ে গেছে জীবন থেকে!
''জীবনটা খুবই সংক্ষিপ্ত। এই যে এতটুকু.....
যেমন হাত থেকে জল গড়িয়ে পড়তে যতটা সময় লাগে''
যার জীবনের আঠারো ছিলাম, বড় সাদাসিধা মানুষ সে।
দুঃখ কখনো দেইনি, হয়তো কখনো দুঃখিত হয়েছে অজান্তেই।
কিন্তু অল্পতেই তৃপ্ত সে।
প্রাপ্তির সীমাহীন আনন্দ কিংবা না পাওয়ার বেদনা- কোনোটাই না।
বরষার পবিত্র জলে ধুয়ে দিও তার দেহ-মন।
বরষার জলকণা সে বড্ড ভালোবাসে।
হাহ! আমার হিসেবের খাতা বন্ধ করলাম।
এবার তোমার পালা। তুমি এগোও উনিশ।
নির্বাচনী ইশতেহারের ছলাকলার মত
মিথ্যে বুলি আওড়াবে না।
সাবধান! অযথা নিজের কাঁধে সে দায়িত্ব চাপিয়ে নিও না
যার বোঝা বইতে তুমি অক্ষম।
পবিত্র বাণী স্মরণে রেখো-
''যোগ্যতা অনুসারে তোমার কাঁধে দেয়া হয়েছে দায়িত্বভার।
না একটু কম আর না একটুখানি বেশি।''
আঠরো-উনিশের কথপোকথনে আড়ি পেতে
কেঁপে উঠলো আমার অন্তরাত্মা।
সযতনে আগলে রাখা অহংকারের দেয়াল যেন ভেঙ্গে গেলো নিমিষেই...
"সত্যিই কি জীবনটা খুব সংক্ষিপ্ত!
যেমন হাত থেকে জল গড়িয়ে পড়তে যতটা সময় লাগে....."
বিষয়: বিবিধ
২০৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন