ছু মন্তু ছু নে গনতন্ত্রের ফুঁ
লিখেছেন লিখেছেন বটতলার সন্যাসী ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৬:২৩:০৬ সন্ধ্যা
ফকির বাবা ছালামের দরগাহে আজ যে যা চায়, সে তাই পায়, কারো বন্ধাত্ব মোচন, কারো ছেলে হয় না, আবার কারো হাপানী অসুখ। ফকির বাবার ছু মন্তু ছু দিলে একবারেই ভাল ও মনের আশা বাস্তবে রুপ নেয়।
বাবার এই অস্বাভাবিক আলোকিকতার কথা জেনে নিউইয়র্ক থেকে সাহারা বানু আসলেন। দাবি একটাই তার কোনো ছেলে সন্তান হয় না। বাবার সাথে এসব রোগী আসলে রাতে আসতে হয় কারন এসব জটিল রুগি বাবা দিনে দেখেন না। সাহারা বানু দেশে আসলেন বাবার সহবত পাওয়ার আশায়, আজ বাবার ফুক তার যে লাগবেই কারন তিনি নি:সন্তান। রীতিমত বাবার সাথে দেখা করার জন্য রাতে আসলেন।
বাবা তাকে দেখামাত্র ছু মন্তু ছু দিলেন। সাহারা বানু পরের দিন বাবার দরবার ত্যাগ করলেন। অনেকদিন পর দেশে এসেছেন বলে তিনি তিনমাস দেশে অবস্হান করলেন।
সময় ফুরিয়ে আসায় তিনি স্বদেশ ত্যাগ করে যখন তিনি নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে পেীছলেন তখন ঘটলো বিপত্তি। নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে তার স্বামীকে খবর দেয় কারন সাহারা বানু দেশে একা এসেছেন অথচ এখন তারা দুজন।
পুলিশ তার স্বামীকে বলে আপনি আমেরিকা আপনার স্ত্রী বাংলাদেশে যাওয়ার সময় অন্তসত্তা ছিল না এখন তারা দুজন আপনি কি তাদের গ্রহন করতে প্রস্তুত। তখন স্বামী সাহারা বানুর কাছে কৈফিয়ত চাইলে সাহারা বানু বাবার ফুকের কথা বলে যে, আমাকে যখন বাবা ছু মন্তু ছু বলে তখন আমি অজ্ঞান হয়ে যাই আমার হুশ আসে পরের দিন সকাল বেলায়, তখন স্বামীর আর বুঝতে বাকী রইল না সাথে সাথে ফিরতি টিকেট নিয়ে তারা বাংলাদেশ আসে।
অনেক মামলা মোকদ্দমার পর বাবার দরগাহ এখন টয়লেটে ভরপুর কারন বাবা চেীদ্দশিকের ভিতরে তার অন্তর প্রবৃত্তির জপ করছেণ।
ঘটনাটি বলার কারন সাহার বানুর মত বাংলাদেশের জনগন আজ এই ছু মন্তু ছু এর স্বীকার। জনগনকে রাজনীতিবিদ গন পাচঁ বছর পর পর একটা ফু দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেণ। গনতন্ত্র বলতে আজকে এটা স্বতসীদ্ধ হয়ে দাড়িয়েছে।পাচ বছর পর পর নেতারা এলাকায় আসবেন এবং কথার উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে লম্বা ফুক দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে ঘুম পাড়িয়ে দিবেন তখন দেখব সাহারা বানুর মত ফুটফুটে কোনো আলোকিক ঘটনা। গনতন্ত্র বলতে সুশাসনের প্রসংগটি আসে, তবে তাকে সাথে নিলে কালো বিড়াল ঘুরতে পারবে না।
কালো বিড়ালের একতার কবলে পড়ে, আজ ইদুর ভাগ্য নিয়ে জন্মানো বাঙ্গালীর দশা কালো বিড়ালের কাছে শসা তুল্য হচ্ছে। এত সুন্দর বিলি বন্টন ব্যবস্হায় আস্তে আস্তে ইদুরের হাউমাউ কাজে আসছে না।
তাই আমরা আজ সাহারা বানুর মত অন্ধকারের হাতরে মরি। আইন ও বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা জবাদিহিতার ক্ষেত্রে আমরা জার ফুকের স্বীকার হচ্ছি। কোর্টে নাকি আবার দলীয় বেঞ্চ ও আছে পত্রিকা ওলারা সংবাদ দেয়। যে যার মত আইন করে কালো বিড়াল তার ইনডেমনিটি পাশ করে ইদুর জনতাকে ফুক দিচ্ছে।
দুর্নীতি ও অসচ্ছ সরকার আমাদের গনতান্ত্রিক সুশাসন কে ভোটের মাধ্যমে আবদ্ধ করে জনগনকে অন্তসত্তা করে যাচ্ছে। এসব বর্তমান ভন্ডবিড়ালের আখড়া থেকে জনগন মুক্ত হতে না পারলে দেশে আজকের চেয়ে ভয়াবহ আকারে সুশাসনের পরিবর্তে কুশাসন প্রতিষ্ঠত হতে বাধ্য।
বিষয়: রাজনীতি
১৩৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন