আমরা কিন্তু অনেকেই বুঝি না ধর্ম ব্যাবসা কাকে বলে ??
লিখেছেন লিখেছেন নাজমুল পিন্টু ১৭ মার্চ, ২০১৩, ০৪:০৫:১৩ বিকাল
জবাবটা বেশ বড় হলেও এক কথায় বললে , "ধর্মকে পুজি করে সাধারণ মানুষের সেন্টিমেন্টালকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের জন্য বাগবাকুম রমরমা অবস্থান করে নেওয়াতাকেই ধর্ম ব্যাবসা বলা যেতে পারে" ।
আরেকটু বিস্তারিত যেতে হয়:- আমাদের ইসলামে কবর পূজা, আল্লাহ ছাড়া অন্যকাওকে সেজদা করা, কাওকে বিধাতার সমকক্ষ কিংবা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ভাবা কিংবা বিধাতার কাছে কিছু চাইতে কারো শরণাপন্ন হওয়াকে কখনই অনুমোদন করে না (যা পুরোপুরিভাবে কঠোরভাবে নিষেধ করে দেওয়া হইসে).. দেওয়ানবাগী , কুতুববাগী, গাও গেরামের কতিপয় আলেমসমাজ (যাদের কাছে অজ্ঞতাবশত সাধারণ মানুষরাও যাচ্ছে, অর্থ বিলাচ্ছে, সেজদা করছে , বিধাতার সমকক্ষ ভাবছে এবং জান্নাতের সার্টিফিকেট নিচ্ছে ) যারা দুয়া ফুত্কারে অর্থের ও নারী ভোগের সাথে সাথে অনেক কিছু হাতায় নিলেও আমরা ওনেকেই এদের ব্যপারে নিরব বা উচ্চবাচ্চ করতে প্রস্তুত নই ।
অন্যদিকে ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হওয়ায় ইসলাম সম্পর্কে যারা জানেন বা বুঝেন তারা কিন্তু ইসলামের মাঝেই রাজনীতি/আদর্শ সমাজ ব্যবস্থার বিশাল একটা শিক্ষা পাবেন যেখানে রয়েছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিচার ব্যবস্থা-শাসন ব্যবস্থা-সমাজ ব্যবস্থার একটি চমত্কার combination (কি নাই তাই তো পাইলাম না )... ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে আমরা ধর্মীয় আদর্শের রাজনীতিকে ধর্ম ব্যবসা কিন্তু ঠিকই বলছি।
হিন্দু- মুসলিম- বৌদ্ধ ব্যাক্তিদের যেমন নিজ নিজ মতাদর্শ আছে , সেরকমভাবে নাস্তিকতাও কিন্তু বর্তমান সময়ের একটি মতাদর্শ যা আগেও ছিল, এরা সবার মত বিধাতাকে বিশ্বাস করে না বলে এদেরকে বলা হয় বিধাতা অস্তিত্বে অস্বিকারকারী যা আরবিতে কাফের । আমার বাবা মুসলিম না হিন্দু তার চেয়ে বড় কথা আমি কি বিশ্বাস করি, জন্ম আমার যেই পরিবারেই হোকনা কেন আমার বিশ্বাসটাই মুখ্য যেখানে দেখবেন বেশিরভাগ মহামানবদের (নবী-রাসুলদের) বাবা-মা-সমাজ কিন্তু ভিন্নমতাদর্শেরই ছিল।
নাস্তিকরা, আমি বা আপনি যেই মতাদর্শের ব্যাক্তি হইনা কেন, বিধাতা নিজেই যেখানে আমাদেরকে আমাদের পথ বেছে নিতে স্বাধীন করে দিয়েছেন সেখানে আপনি বা আমি কেওনা কাওকে মূল্যায়ন করার যতক্ষণ না সেটা জাতীয়ভাবে ক্ষতি ডেকে না আনে । সবার প্রতি সম্মান বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য, কাওকে গালি দিয়ে তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ কিন্তু একেবারেই কাম্য নয় ।
একজন হিন্দুকে যেমন আমরা ইসলামিক স্কলার বলব না, সেরকমভাবে ইসলাম বিদ্বেষী-মিথ্যাচারী-উদ্ধত আচরণকারী-অন্যায়ভাবে নারীভোগী প্রভৃতি গুনে গুনান্নিত ব্যাক্তি ইসলামের রক্ষক হলে তাও মেনে নেওয়া যায় না ।
পরিশেষে বলি, বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদেরকে হতাশ দেখে বিধাতা নিজেই অবাক হয়ে বলেছেন "বরং আল্লাহ তোমাদের অভিভাবক এবং তিনিই শ্রেষ্টতম সাহায্যকারী", তাই তোমরা হতাশ হচ্ছো কেন যেখানে বিধাতা নিজেই আমাদের জন্য যথেষ্ট |
বিষয়: বিবিধ
১১৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন