নাস্তিকতা ও বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট

লিখেছেন লিখেছেন মিশন ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:৪৭:০৬ রাত

নাস্তিকতা বলতে আমরা কি বুঝি? আমার ছোট্ট জ্ঞানে যা বুঝি তা হচ্ছে যে বা যারা আল্লাহ সুবহানুতালার অস্বিত্বকে সরাসরি অস্বীকার করে এবং আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় তবে তাকে নাস্তিক বলে। আল্লাহ ও তার প্রিয় রাসূল মোহাম্মদ (সাঃ) কে কটুক্ত্বি ও গালিগালাজ করে, মহানবী (সাঃ) কে আল্লাহর প্রেরিত দূত হিসেবে মেনে নিতে স্বংকোচবোধ করে তারাও হচ্ছে নাস্তিক শ্রেণীর অন্তভূক্ত। এবার আসি শাহবাগে যারা আন্দোলন করছে তারা কি আসলে নাস্তিক? আমার মতে মোটামুটি তারা সবাই নাস্তিক। কারণ এখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে আসলে কি হচ্ছে তা একটি বারের জন্যেও হলেও ভেবে দেখা দরকার। কারা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে সেটাও কিন্তু ভাববার বিষয়। যারা নামায কালাম পরার ব্যাপারে উদাসীন তারাই হচ্ছে নাকি প্রকৃত মুসলিম। আর যাদের গান বাজনা, ছেলেমেয়েদের অশ্লীল নৃত্য, ছেলেমেয়েদের অবাধে রাত্রি যাপন এটা কি কোন মুসলিম সভ্য সমাজের কাজ হতে পারে। শুধুমাত্র মুসলিম নামধারী কিছু নাস্তিক যারা অবাধে যৌনাচারসহ নানা ধরনের নারী কেলেঙ্কারীতে জড়িত তারাই নাকি আজ প্রকৃত মুসলিম। তারাই আজকের এই শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আজকাল ব্লগ লেখার নাম করে যে লেখালেখি হচ্ছে যা অন্য কাউকে বা অন্য পক্ষকে আক্রমন করার উদ্দ্যেশেই কিন্তু সেটি করতে গিয়ে তারা আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ) অপমান করে কটুক্তি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ নাকি মুসলিম রাষ্ট্র। এইদেশে নাকি ৯০ ভাগ মুসলিম বাস করে। আমার সন্দেহ হয় এরা কি আসলে মুসলিম? এ বিষয়টিও ভেবে দেখা উচিত। আল্লাহ ও তার রাসূলকে কটূক্তি করে লেখা প্রকাশের পর এক ব্লগার মারা যাওয়ার পরক্ষনে বলা হল যে এই ব্লগার নাকি শহীদ হয়েছেন। আমার বুঝে আসে না যে কতটুকু ধর্মান্ধ হলে এই ধরনের কথা বলতে পারে। আবার এ বিষয়টি লক্ষ্য করলাম যে সেই নাস্তিকদের শাস্তি দেয়ার পরিবর্তে তাদেরকে দেয়া হল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অথচ যারা এই নাস্তিকদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছে তাদেরকে পুলিশ দিয়ে শায়েস্তা করা হয়েছে। সরকার নাস্তিকতাকে প্রশ্রয় দিয়ে এটাই প্রমাণ করেছে যে তারা নিজেরাই নাস্তিক। তার নমুনা পাওয়া যায় আমাদের প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীদের কথায়। প্রধানমন্ত্রী নিজেই একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন যে মা দূর্গার আর্বিভাবের ফলে নাকি এবার ফলন ভাল হয়েছে। দেখেন তার কথা থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে উনি মা দূর্গাকে আমাদের সৃষ্টিকর্তার চাইতে বেশি ভালবাসেন তা নাহলে একজন সচেতন মানুষের পক্ষে এই কথা বলা কখনই সম্ভব নয়। একইভাবে সরকারের অনেক মন্ত্রীকে বলতে শুনি যে বাংলাদেশকে নাকি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিনিত করবে। এসব কথা থেকে আরও একটি কথা সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে নাস্তিক ছাড়া কখনই এই কথা বলা কখনই সম্ভব না। কারন আপনি যে কোন ধর্মে জন্ম গ্রহন করলেই কি সেই ধর্মের অনুসারী হওয়া সম্ভব। না, তা কখনই সম্ভব নয়। এজন্য যে কাজটি করতে হবে তা হল সেই ধর্মের সকল বিধিবিধান মেনে চলতে হবে। যদি কেউ ধর্মের বিধিবিধান মেনে চলে তবেই তো তাকে সেই ধর্মের অনুসারী বলা যায়। ধর্ম মানলাম না আর যে ধর্মে জন্ম নিয়েছি বলেই সেই ধর্মের লোক বলে নিজেকে দাবি করা কতটা যৌক্তিক তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। আর এভাবেই বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী কুলাঙ্গার মন্ত্রীরা নিজের ধর্মকে অনুসরণ না করে নাস্তিকতার পক্ষে বড় বড় সাফাই গেয়ে যাচ্ছেন। আজকের যারা নাস্তিকথার পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছেন তারা তো চিরদিন ক্ষমতায়ও থাকবেন না, এমনকি বেচেও থাকবেন না একথাটি একটি বারের জন্যে হলেও চিন্তা করুন। যদি আপনাদের এ চিন্তাটি থাকত তাহলে আপনারা অবশ্যই নাস্তিকদের যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতেন। না জানি আল্লাহ সুবহানুতালা আপনাদের উপর কোন গজব পতিত করেন। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট একটি জোড়ালো দাবি আপনাদের নিজেদের নাস্তিকতা ছেড়ে দিয়ে যত শীঘ্রই সম্ভব তালিকাভুক্ত নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এবং ভবিষ্যতে কেউ যেন আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করতে পারে সে বিষয়ে প্রোয়জনীয় আইন করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করুন। নইলে বাংলার মুক্তিকামী জাগ্রত মুসলিম তৌহিদি জনতা এই নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করবে। কারণ এই ৯০ ভাগ মুসলিম দেশের একজন মুসলিম হিসেবে আমারও এই দাবি। আল্লাহ সুবহানুতালা এই নাস্তিকদের ধ্বংস করে দিয়ে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করে নিন। (আমিন)

বিষয়: বিবিধ

১৩২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File