রসিক পাগলদের পাগলামি?
লিখেছেন লিখেছেন মিশন ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১২:২৭:০৮ দুপুর
ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ ও সেক্রেটারি নাজমুল নেত্রীর কল্যানে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। গতকাল যখন ইরান ইস্যুতে জাতিসংঘের কনফারেন্স রুম সরগরম তখন বাংলাদেশের এই দুই মহান নেতা নিজেদের মধ্যে ফিসফিস আলাপ করছিলেন
জাতির জন্য দুঃখের বিষয় হলো তাদের সেই আলাপচারিতা তাদের অজ্ঞাতে রেকর্ড হয়েছে এফবিআই এর বিশেষ আঁড়ি পাতা যন্ত্রে। জাতির জন্য আরো দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো সেই আলাপের রেকর্ডেড অংশটি অপ্টিমিস্টিক রকসের হাতে এসে পৌঁছেছে। বেচারা অপ্টিমিস্টিক রকস আবার পেটে কথা রাখতে পারে না মোটেও। সুতরাং শীঘ্রই তার ফেইসবুকের ওয়ালে শোভা পেল সেই ঐতিহাসিক আলাপচারিতা।
নাজমুল: দেখছসনি, ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেস কেমন ফাঁপড় নিতাছে ইরানের ওপর। আমগো নেত্রী জামাত-শিবিরের উপর যেমন ফাঁপড় নেয় এক্কেরে সেই রকম।
সোহাগ: আরে রাখ! ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও কম যায় না! ইসরাইলের রাতের ঘুম হারাম করে দিসে এই লোক। এক্কেরে জামাত নেতা রফিকুল ইসলাম খানের লাহান। তয় ঘটনা যাই হোক, আমার বাপের জনমেও আম্রিকা আসতে পারতাম না, আম্রিকা আসার চান্স দেয়ার জন্য নেত্রীর কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকতে হইবো আমাকে।
নাজমুল: আর কইস না দোস। সকালে বুফে নাস্তা করতে গিয়া এক ডজন ডিম আর কেজি খানেক গরুর গোস্ত খাইছি। আমার বাপের জনমেও এরকম বুফেতে ঢুকি নাই আমি।
সোহাগ: হালা বলদ। খাইয়া খাইয়া শরীরটা কী বানাইছস একবার আয়নায় দেখছস? কয়দিন পর যখন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে হইবো বিমানের গেট দিয়া ঢুকতে পারবি?
নাজমুল: ফাইজলামি রাখ! হোন, আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আইছে। এই হালার জাতিসংঘের মহাসচিব, বেটা কয়দিন আগে আমগো নেত্রীরে ফোন কইরা কইছে হেয় সব দলকে নির্বাচনে দেখতে চায়। হালায় মির্জা ফখরুলের ভাষায় কথা কয়! সকালে বুফেতে নাস্তা করতে গিয়া গরুর গোস্ত খাওয়ার সময় দেখলাম চাপাতির মতো একটা চাক্কু আছে গোস্ত কাটার জন্য। হেই চাপাতি দিয়া বেটার ভুড়ি দিমু নাকি গালায়া?
সোহাগ: হালা বলদের বাচ্চা বলদ! চাপাতি নিয়া এইখানে ঢুকতে দিবো তোরে! চাপাতি যা চালাবি ঢাকায় গিয়া চালাইস! এইখানে ভৃুলেও চাপাতির নাম মুখে নিস না।
নাজমুল: দোস, চাপাতি চালায়া চালায়া এমুন অভ্যাস হইছে আম্রিকা আইসা খালি চাপাতির কথা মনে পড়তাছে।
সোহাগ: চুপ কর। ওবামা আইতাছে এই দিকে।
নাজমুল: দোস, হেই বেটা তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরে দিয়া চিঠি পাঠাইছে আমগো নেত্রীর কাছে। বেটারে দিমু নাকি একটা ঘুসি?
সোহাগ: চুপ হালার পুত, তোকে এইখানে আনাই ঠিক হয় নাই। হেলো মিস্টার
ওবামা। হাউ ডু্ ইউ ডু?
ওবামা: হেলো, আই এম ফাইন, ইউ ফ্রম বাংলাদেশ?
সোহাগ: ইয়েস স্যার। আই এম দ্য প্রেসিডেন্ট অব বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
ওবামা: আই সি। ইউ আর দ্য চীফ অব দ্য পার্টি হু কিলস পিপল ইন পাবলিক।
সোহাগ: স্যরি স্যার।
ওবামা: হু ইজ দ্য গাই বিসাইড ইউ?
সোহাগ: বলদের বাচ্চা পরিচয় দে।
নাজমুল: আই এম নাজমুল স্যার। দ্য সেক্রেটারি অব বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
ওবামা: আই সি। দ্য টু কিলারস আর ইনসাইড দ্য কনফারেন্স রুম অব ইউএন, হোয়াইল দ্য ইউএন আর ট্রাইং টু মেক দ্য ওয়ার্ল্ড কিলারফ্রি।
সোহাগ: ওবামা কী কইয়া গেল হুনলি?
নাজমুল: বাদ দে। রাতের ডিনারে বুফেতে কী খামু আপাতত এটাই আমি চিন্তা করতাছি।
সোহাগ: চাপাতি আর খাওয়া ছাড়া কোন চিন্তা নাই তোর, হালা বলদ।
বিষয়: রাজনীতি
২০৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন