বুয়েটে শিক্ষক হামলায় উস্কানি যুগিয়েছে 'বুয়েটের আড়িপেতে শোনা' ফেসবুক গ্রুপটি

লিখেছেন লিখেছেন সুশীল ১৮ এপ্রিল, ২০১৫, ১০:১৫:৪৯ রাত



প্রায় ১৪ হাজার সদস্যের (বুয়েট এলামনাই ও ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে গড়া) সিক্রেট ফেসবুক গ্রুপটি সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য হুমকী মনে করছেন অনেকেই । এখানে মডারেটরদের স্বেচ্ছাচারিতা এবং ভিন্নমত দলন করার হীন প্রক্রিয়া সুস্পষ্ট। এই দলন প্রক্রিয়া থেকে শিক্ষকসহ কোন এলামনাই বাদ পড়ে না, যা বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানে তো বটেই, নজিরবিহীন।গ্রুপ পরিচালনার কোন ধরনের সুষ্ঠু এবং স্বাভাবিক নীতিমালা নেই। তারা অনুমান, কমেন্টের ভাষা দেখে এবং যাচাই-বাছাই ছাড়াই কারো কারো সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অ্যালামনাইদেরকে জামাত-শিবির আখ্যায়িত করে তালিকা তৈরি করে এবং তাদেরকে গ্রুপ থেকে ব্যান করে দেয়। সেই তালিকা প্রকাশ্যে ডকুমেন্ট আকারে গ্রুপের মধ্যে সংরক্ষণ করে। এমন অনেকের নাম সেই তালিকায় লিপিবদ্ধ করা আছে যারা নিজেরাই হয়ত জানেনও না। এভাবে তাদের করা তালিকার ব্যক্তিদের নিরাপত্তাহীণতার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সম্প্রতি বুয়েটের সিভিল বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার পিছনে এগ্রুপের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে ।

১. সাম্প্রতিক ঘটনা

সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি হয় যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডিত হয়ে। এ নিয়ে গ্রুপে গত শনিবার রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ‘কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর’ শিরোনামে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সংবাদ গ্রুপে শেয়ার করেন দীপু সরকার(সিএসই’০৯)। সেখানে চন্দ্র নাথ নামের এক অ্যালাম্নাই প্রথমে ‘জয় বাংলা’ লিখে মন্তব্য করেন। এর নিচে বুয়েটের সিভিল বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে ‘জয় মা কালী, জয় ইন্ডিয়া’ লিখেন এবং পরে তা সংশোধন করে ‘জয় ইন্ডিয়া, জয় মাসল পাওয়ার, জয় পলিটিকস’ লিখে মন্তব্য করেন।

ফেসবুকে অন্যরা এ কথার ব্যাখ্যা চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বিভিন্ন সময়ে লেখেন, ‘জয় বাংলা শুধু একটি দলকেই উপস্থাপন করে’, ‘জয় বাংলাদেশ বলুন। এটা অরাজনৈতিক। জয় বাংলা দুটি দেশকে উপস্থাপন করে।’ সবশেষে একটি মন্তব্য করেন, ‘কারেক্টেড: জয় ইন্ডিয়া, জয় মাসল পাওয়ার, জয় নেসটি পলিটিকস, জয় ইনজাস্টিস (সংশোধিত: ভারত, পেশিশক্তি, কদর্য রাজনীতি ও অবিচারের জয়)’। সূত্র: প্রথম আলোর রিপোর্ট, এপ্রিল ১৩, ২০১৫ ।

সেখানে তিনি আরও মন্তব্য করেন, ‘এটা কখনোই হবে না। অপেক্ষা কর ও দেখ। দিন দিন তোমরা সবাই রাজাকারদের চেয়েও খারাপ হবে। অবিচার কখনোই ভালো হয় না’।

পরবর্তীতে ড. জাহাঙ্গীরের মন্তব্যের ধরণ দেখে তাঁকে ‘জামাত-শিবির’ (গ্রুপের ভাষায় কাঁঠাল পাতা টেস্ট পজিটিভ) আখ্যায়িত করে গ্রুপ থেকে ব্যান করেন অন্যতম এডমিন মিশকাত আল আলভী (০৭ ব্যাচ, ইলেকট্রিক্যাল)। এধরনের পরিভাষা এডমিন প্যানেলের নিজেদের আবিস্কার যা যেকোন বিবেকবান মানুষকে আহত করবে। ছবি-১ এ দেখুন।



ছবি-১: বুয়েটের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীরকে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে গ্রুপ থেকে ব্যান করা হয়।

ব্যান করার আগে ও পরে তাঁকে নিয়ে নানারকম মুখরোচক আলোচনা চলতে থাকে। যারা ঘটনা চাক্ষূষ অবলোকন করেন নাই তাদেরকে অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে উস্কানি দেয়া হতে থাকে। তাদের অব্যাহত প্রচারণার ফলে আড়ালে থেকে যায় যে ড. জাহাঙ্গীর তাঁর করা প্রথম মন্তব্য থেকে সরে এসেছেন। এভাবে তাঁকে সামাজিকভাবে নাজেহাল করার সুপরিকল্পিত পরিবেশ তৈরি করা হতে থাকে। ব্যান করার কারণে ড. জাহাঙ্গীর পরবর্তীতে তাঁর নিজের বক্তব্য উপস্থাপনেরও সুযোগ হারান এবং তাঁকে নিয়ে কি আলোচনা হচ্ছে তা তাঁর অগোচরেই থেকে যায়।

বিভিন্ন কমেন্টে তাকে অশ্রাব্য গালি ও অপমান করা হয় যা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করতে উস্কানি প্রদান করে এবং দুঃখজনকভাবে পরেরদিন তা বাস্তব রূপ লাভ করে।

বুয়েটের স্বনামধন্য এলামনাই ও সাবেক শিক্ষক বর্তমানে বার্মিংহামে আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রাগিব হাসানও অপূর্ণাঙ্গ স্ক্রিনশট দিয়ে এ প্রচারণায় শামিল হন (ছবি-২ দেখুন)। যেখানে তিনি নিজেই ড. জাহাঙ্গীরের উক্ত মন্তব্যকে অসতর্কতা হিসাবে উল্লেখ করছেন। এরকম একটা অসতর্কতা ও অপরিকল্পিত মন্তব্য এবং সেখান থেকে সরে আসা সত্ত্বেও প্রায় ৪০টির মত পোস্টে (ড. জাহাঙ্গীরকে মারার আগে ও পরে) তাঁকে খুবই হীনভাবে নাজেহাল করা হয় গ্রুপে। (সাপ্লিমেন্টারি স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য।)



ছবি-২: ড. জাহাঙ্গীরকে 'ছাগু' আখ্যায়িত করে মন্তব্য করেছেন ড. রাগীব হাসান (৯৬ ব্যাচ, সিএসই)

গ্রুপে জামাত-শিবিরের পক্ষে যায় এমন কোন কমেন্টকারিকে বিনা নোটিশে ব্যান করার নিয়ম থাকায় কেউ তার পক্ষে কিছু বলারও সাহস পায় না। (সাপ্লিমেন্টারি স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য।)

২. ড. জাহাঙ্গীর শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত

এ ধরনের আলোচনা ও উস্কানির পরের দিন কিছু উগ্র ছাত্র অধ্যাপক জাহাংগীর আলমের উপর হামলা চালায়।

সিভিল ০৯ ব্যাচের প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র আজিজ অনিক ফেসবুকে ঘটনার নির্মমতার বিবরন দেন এভাবে। (সাপ্লিমেন্টারি স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য।)

১) দুপুর ০১:২৫-এর সময় সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর পঞ্চম তলায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের রুমে একদল ছাত্র প্রবেশ করে এবং স্যারকে ভেতরে নিয়ে দরজা আটকে দেয়। রুমের ভেতর গণ্ডগোল এর শব্দ শুনে সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্ররা খোঁজ নিতে যান। এসময় সিনিয়র শিক্ষকদেরকেও সেখানে অপমান করা হয়। সাথে সাথে হামলাকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “এটা আপনাদের কোন ইস্যু না, আমরা দেখছি ব্যাপারটা।”
২) সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে এরপর কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে রুম থেকে বের করা হয়। ছাত্ররা তখন সবাই অবাক হয়ে দেখছিলো এই দৃশ্য। রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে, স্যারের মাথায় ভেঙ্গে দেয়া হয় পঁচা ডিম, মুখে লেপে দেয়া হয় হামলাকারীদের সঙ্গে নিয়ে আসা মিষ্টি। সেসময়ে চারপাশ থেকে করা হচ্ছিলো অশ্রাব্য গালিগালাজ। সেখানে উপস্থিত সকলেই তখন বিস্ময়ে নির্বাক।
৩) পাঁচতলা থেকে সেই শিক্ষককে এরপর ডিপার্টমেন্টের সকলের সামনে দিয়ে টেনে হিঁচড়ে সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে আনা হয়। ক্যাফেটেরিয়ার সামনে নিয়ে স্যারকে আবার শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়। সাথে চলছিলো অশ্রাব্য সব গালমন্দ।
৪) ক্যাফের সামনে একজন শিক্ষকের এই অবস্থা দেখে উপস্থিত অনেক ছাত্রই তখন বাধা দিতে গিয়ে উল্টো তোপের মুখে পড়ে। অতঃপর স্যারকে আবার টেনেহিঁচড়ে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং-এ নিয়ে যাওয়া হয়। ততোক্ষণে জড়ো হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকজন শিক্ষক বারবার হামলাকারীদের থামতে বলা সত্ত্বেও, তারা থামছিলো না, বরং সম্মানিত শিক্ষকদের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছিলো উত্তপ্ত বাক্যবাণ।

৩. ড. জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার দায়ে মামলা

বৃহস্পতিবার ঢাকা সিএমএম আদালতে বুয়েটের ড. এম এ রশিদ হলের ০৯ ব্যাচের যন্ত্রকৌশল বিভাগের আবাসিক ছাত্র এবং ছাত্রলীগ কর্মী সিয়াম হোসেন পেনাল কোডের 124A এবং 295A ধারা মোতাবেক ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত ও রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আদালত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতি নির্দেশ জারি করেছেন। বুয়েটের একাধিক শিক্ষার্থী নিশ্চিত করেন যে মামলাকারী সিয়াম ড. জাহাঙ্গীরকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সে নিজেও জড়িত।

৪. ড. জাহাঙ্গীরের বক্তব্য

অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অনেকটা অসচেতনভাবে তিনি কমেন্টটি করছিলেন বলেই পরবর্তীতে তিনি সেটি এডিট করেন। এর পরে তাকে গ্রুপ থেকেও এডমিনরা ব্যান করে দেয়ায় আর কোন উত্তর দেয়ার বা গ্রুপে কি হচ্ছে তা জানার কোন সুযোগ তার ছিল না। গ্রুপটির এডমিনদের স্বেচ্ছাচারীতার কথাও জানান তিনি।

৫. হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের বক্তব্য

হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা হামলার ঘটনা অস্বীকার করে। বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্রজ্যোতি টিকাদার ও সেক্রেটারী আবু সাইদ কনক হামলার এ ঘটনাকে অস্বীকার করলেও শিক্ষকের রুমে তারা গিয়ে কথাকাটাকাটি হয়েছে স্বীকার করেন। ডঃ জাহাংগীরের বিরুদ্ধে মামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা সিয়াম হোসেন ফেসবুক কমেন্টে মিষ্টি লেপ্টে দেয়ার কথা স্বীকার করেন। (সাপ্লিমেন্টারি স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য।)

'বুয়েটে আড়িপেতে শোনা' ফেসবুক গ্রুপটি এক সময় বুয়েট ছাত্র এবং এলামনাইদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে এটিকে নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ধীরে ধীরে সেটা ফ্যাসিস্টদের একটি প্লাটফর্মে রুপ নেয় যার ফলশ্রুতিতে সম্প্রতি শিক্ষক লাঞ্ছিতের মত নিন্দনীয় ঘটনা ঘটলো।

সাম্প্রতিক সময়ে বুয়েটে আড়িপাতা গ্রুপ এবং এর কর্মকাণ্ড বর্তমান অধ্যয়নরত ছাত্র ও শিক্ষক সবার জন্য হুমকি স্বরূপ। এ ঘটনার পিছনে যে গ্রুপের কর্মকান্ড দায়ী তা গ্রুপের সচেতন মেম্বাররাই স্বীকার করেছেন। গ্রুপটি যে বুয়েটের ক্ষতি করছে তাও তারা বুঝতে পারছেন। (সাপ্লিমেন্টারি স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য।)

আড়িপাতা নামক এই ফেসবুক গ্রুপে বুয়েটের মত এরকম প্রতিষ্ঠানের একজন অধ্যাপককে অতি নিকৃষ্ট ভাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে, যাদের মধ্যে অনেকে তার ক্লাসের বর্তমান ছাত্র। শিক্ষককে কীভাবে অপমান ও সরাসরি হেয় প্রতিপন্ন করা যায় সে অনৈতিক শিক্ষার চর্চার সুযোগ করে দিচ্ছে আড়িপাতা নামক এ গ্রুপটি।

বুয়েটের ছাত্রদের নিয়ে তৈরি গ্রুপে একজন সম্মানিত শিক্ষককে এভাবে গালি দেওয়া ও তাচ্ছিল্য করা থেকে অন্যরা শিখছে যে শুধুমাত্র ভিন্ন মতের শিক্ষক হলেই বেয়াদবীর সুরে কথা বলা যায়, ধমক দেওয়া যায়, গালি দেওয়া যায়। পরের দিন ছাত্রলীগের যে ছেলেগুলো হামলা ও বেয়াদবী করেছে তার সাহস তারা ঐ গ্রুপের এডমিন এবং বেয়াদব কিছু ছাত্রদের থেকে পেয়েছে। এর আগে ছাত্রলীগ বুয়েটের কোন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার সাহস করেনি। কিন্তু আড়িপাতা নামক গ্রুপের পরিবেশ ও এডমিনদের স্বেচ্ছাচারীতা, ভিন্নমতকে কথা বলার সুযোগ না দেওয়া, তাদেরকে সেই সাহস যুগিয়েছে।

এ অবস্থায় গ্রুপটি ধরনের আচরন থেকে সরে না আসলে বুয়েটের সুনাম ও শিক্ষার পরিবেশ আরও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা রয়েছে।

সাপ্লিমেন্টারি স্ক্রিনশটসমূহঃ



ছবি -৩ ড. জাহাঙ্গীরকে (৯১ ব্যাচ, সিই)কোন ছাড় না দিতে ড. রাগীব হাসান (৯৬ ব্যাচ, সিএসই) এর আক্রমনাত্মক কমেন্ট



ছবি- ৪ অ্যালামনাইদেরকে জামাত-শিবির আখ্যায়িত করে তালিকা তৈরি করে এবং তাদেরকে গ্রুপ থেকে ব্যান করে দেয়।



­­­­­­­ছবি- ৫ শ্রদ্ধেয় একজন শিক্ষককে ছাগল বলে গালি দিয়েছেন বেশ কয়েকজন অ্যালাম্নাই ও ছাত্র।



ছবি-৬ শিক্ষকের উপর হামলার বর্ননা দিয়ে সিভিল’০৯ ব্যাচের আজিজ অনিকের ফেসবুক স্ট্যাটাস।



ছবি-৭ শিক্ষকের উপর এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনার পরে আড়িপাতা গ্রুপের মাধ্যমে তা জাস্টিফাই করার চেষ্টাও চলে।



ছবিঃ হামলা ও পরবর্তীতে মামলা প্রদানকারী সিয়াম হোসেনের (মেক্যালিকাল’০৯ ব্যাচ) স্বীকারোক্তি।



ছবি-৮ আরেক হামলাকারী আবু আনাস শুভম (মেকানিকাল’০৯ ব্যাচ) শিক্ষকের উপর হামলায় লজ্জিত না হয়ে জাস্টিফাই করার চেষ্টা চালায়।



ছবি-৯ হামলাকারীরা অস্বীকারের চেষ্টা করলে প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রতিবাদ জানায়।



ছবি-১০ হামলা ও পরবর্তীতে মামলা প্রদানকারী সিয়াম হোসেনের (মেক্যালিকাল’০৯ ব্যাচ) স্বীকারোক্তি।



ছবি-১১ হামলাকারী প্রতিক দত্ত শূভ (১১ ব্যাচ) লজ্জিত না হয়ে জাস্টিফাই করার চেষ্টা চালায়।



ছবি-১২ হামলাকারী প্রতিক দত্ত শূভ (১১ ব্যাচ) লজ্জিত না হয়ে জাস্টিফাই করার চেষ্টা চালায়। সাথে সাথে অন্যরা প্রতিবাদ জানায়।



ছবি-১৩ শিক্ষক পেটানোর পিছনে যে গ্রুপের কর্মকান্ড দায়ী তা গ্রুপের মেম্বার এ কে আযাদ কল্লোল (ইলেকট্রিক্যাল’৯১ ব্যাচ) উপলব্ধি করেছেন।



ছবি-১৪ গ্রুপের এডমিনদের স্বেচ্ছাচারিতাকে দায়ী করছেন অ্যালাম্নাই আবু বকর সিদ্দিক (সিএসই’০১ ব্যাচ)



ছবি-১৫ শিক্ষক হামলার জন্য গ্রুপটিকে সরাসরি দায়ী করেন সিএসই বিভাগের শিক্ষক অনিন্দ্য ত্তাহসিন (সিএসই’০২ ব্যাচ)

বিষয়: বিবিধ

১৮৭৯ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

315681
১৯ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:০৭
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : পোস্টটা বানাতে অনেক কষ্ট করেছেন কিন্তু পাঠক সংখ্যা দেখে হতাশ!!! ভালো লাগছে আপনার এ পরিশ্রম। ধন্যবাদ।
315684
১৯ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:১৪
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ ।
315704
১৯ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৫:১১
কাহাফ লিখেছেন :

"নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : পোস্টটা বানাতে অনেক কষ্ট করেছেন কিন্তু পাঠক সংখ্যা দেখে হতাশ!!! ভালো লাগছে আপনার এ পরিশ্রম। ধন্যবাদ।"

আমার পক্ষ থেকেও- ভালো লাগলো! অনেক ধন্যবাদ!
315719
১৯ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৮:১৭
ছালসাবিল লিখেছেন : Surprised Surprised সবথেকে সত্যবাদীকে বলা হবে মিথ্যাবাদী Worried তাই চিন্তার কিছু নাই ।
315751
১৯ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:১০
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : অন্যায় কে যখন অন্যায় হিসেব দেখা হয় না, যখন একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে দোষী সাব্যস্থ করতে অন্যায় মন্চস্থ করা হয় তখন কোনদিন প্রকৃত অন্যায়কারীকে শাস্তি যাওয়া না!

ন্যায়নীতির সংগা এখন মূল্যহীন আমাদের দেশে, বিচার শুধু প্রহসনের নাটক!

আপনার শ্রমের জন্য আল্লাহ আপনাকে পুরুস্কৃত করুন! আমিন।
316175
২১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৫৭
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : শিক্ষকদের সম্মান করার মত ছাত্র আজকাল আছে নাকি! আমাদের রাজনীতিবিদদের টিকে থাকার জন্য গুন্ডা পালার প্রয়োজন হয়। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় হবে পড়ার জায়গা। এখানে দাদাগিরি, হলদখল, সন্ত্রাসের জন্য ছাত্র রাজনীতির আদৌ প্রয়োজন আছে কি?
সচেতন করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে Good Luck Good Luck
320535
১৭ মে ২০১৫ দুপুর ০১:৪১
egypt12 লিখেছেন : কিছুই বলার নেই
340475
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৩
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
340476
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৩
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১০
340477
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৩
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১১
340478
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৩
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১২
340479
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৩
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৩
340480
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৩
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৪
340481
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৩
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৫
340482
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৩
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৬
340483
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৪
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৭
340484
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৪
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৮
340485
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৪
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৯
340486
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৪
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২০
354680
২০ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০২:০৭
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সমস্যা ছাত্র শিক্ষক ফেসবুক নয়। সমস্যা আদর্শের। নৈতিকতা। মাঝে মধ্যে মনে হয় এ জাতির প্রধানমন্ত্রী হতে শূরু করে রিক্সা্ওয়ালা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নেয়া প্রয়োজন।

ধন্যবাদ আপনার বিশ্লেষনধমী লিখার জন্য। অনেক কিছু জানা হল।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File