জানেন কি? রোজ কেয়ামতে প্রধান মন্ত্রী থাকবেন শেখ হাসিনা- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসিম

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ৩১ মার্চ, ২০১৩, ০৪:৪০:২৭ বিকাল



সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো: নাসিম মাটির নিচ থেকে সন্ত্রসীদের ধরে কিন্তু মাটির উপরের সন্ত্রাসী চোখে দেখেন না। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল মন্ত্রী সভা থেকে বাদ পরে দিন দিন আবল তাবল বকতে শুরু করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালিন অবস্থায় অনেক নীতি কথা বলে আলোচনায় ছিলেন । তখন অবশ্য ছিল এনালগ মন্ত্রী পরিষদ যার জন্য তিনি মন্ত্রী হতে পেরেছিলেন। তিনি এখনও বুঝতে পারছেন না ডিজিটাল যুগে তেলে কাজ হয় না, তখন প্রধান মন্ত্রী আওয়াজ বুঝতে পারতেন না তাই আওয়াজ মারলেই কাজ হতো। এখন ওয়াজেদ সাহেব হচ্ছে বাংলাদেশের আইটি বিশেষজ্ঞ তার মা ডিজিটাল সম্পর্কে কিছুই বুঝবেন না এটা হয় না। এই যুগে কিছু পেতে হলে কাজে দেখাতে হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাজে বিশ্বাসী কথায় নয়। কথার দিন শেষ, কাজ চান কাজ। নাসিম সাহেব কাজে প্রমানে ব্যর্থ তাই তার কোন দাম নেই। নাসিম সাহেব এখনো ভ্রান্ত ধারনা নিয়ে বসে আছেন। তিনি অভিজ্ঞ রাজনীতি বিদ এতগুলো বছর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাসহ প্রধান মন্ত্রীর সমস্ত চিন্তা ভাবনা বুঝতে পারেছেন। উনি এটা নিশ্চিত যে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগই ক্ষমতায় থাকবেন। নাসিম সাহেব স্বপ্ন দেখছেন আগামী ডিজিটাল মন্ত্রীসভায় একটু ঠাই পাওয়া যায় কিনা তাই ডিজিটাল কথা বার্তা শুরু করেছেন । কিন্তু তিনি বুঝতে পারছেন না এখন চলছে থ্রী জী যুগ কিন্তু আগামি নির্বাচনে ফাইভ জী মন্ত্রী সভা হবে সেখানেও তার ঠাই হবে না। ফাউভ জী তে সুযোগ পেতে হলে আরো আধুনিক হতে হবে কথা বার্তা আরও ডিজিটাল হতে হবে। যেমন দাদা বাবু কাজে দেখিয়েছেন কালো বিড়াল ধরার চেষ্টা করলে এবং ধরীয়েও দিলেন। তাই তিনি এখনও দপ্তরবিহীন মন্ত্রী কারন তিনি দেশেকে ডিজিটাল করতে পেরেছেন দাদা আর কিছু না পারুক দেশের সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর পূর্ন আস্থা ও বিশ্বাস এবং বিসমিল্লাহ শব্দ বাদ দেওয়ার জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। ডিজিটাল কর্মকান্ড ঘটিয়ে ব্লগার রাজীব হয়েছেন শহীদ (ডিজিটাল মুক্তিযোদ্ধা)। নাসিম সাহেবকে বলব আপনিও যা বলেছেন তা ডিজিটাল হয়নি আরো স্পষ্ট ডিজিটালতা থাকতে হবে আপনার কথায় তাহলে আপনি আগামী ফাইভ জী মন্ত্রী সভায় স্থান পেতে পারেন। গত শনিবার ৩০-৩-১৩ তারিখ বগুড়ায় নাসিম সাহেব ডিজিটাল উক্তি করে-

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যদি দেশে রোজ কেয়ামত হয়ে যায় তারপরও অন্তবর্তী সকরারের অধীনেই (যার প্রধান মন্ত্রী থাকবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা) নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ভাবে আগামী সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করবে। তার এই উক্তিটি কার সাথে বিরোধী করা, বিরোধী দলের সাথে নাকি ইসলামের সাথে চ্যালেঞ্জ করা। একটু ভাবলেই তার এই কথার মর্ম বুঝা যাবে। এবং স্পষ্ট বুঝা যায় যে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী, প্রধান মন্ত্রী থাকা অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন ভাবে কাজ করার ক্ষমতা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। কারণ একজন মন্ত্রী কিছু দিন আগে বলে ছিলেন “ বাঘে ধরলে বাঁচা যায় কিন্তু শেখ হাসিনা ধরলে বাচাঁর উপায় নেই।” যেমন বুঝতে পারছেন জামায়াতই ইসলামের নেতারা। তাদের অপরাধ তারা এনালগ যুগের কথা বলে তারা ইসলামের পক্ষে কথা বলে। প্রধান মন্ত্রীর হাত থেকে রক্ষাপেতে হলে ডিজিটাল- দাদা দের পক্ষে, মঙ্গলপ্রদীপের পক্ষে, নাস্তিকদের পক্ষে, ইসলামের বিপক্ষে কথা বলতে হবে। তাহলে গানম্যান, সরকারী নিরাপত্তাও পাবেন। তা নাহলে আপনাকে কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরির মত বিদেশি ভাষায় সুমিষ্ট ব্যঙ্গ কথা বলতে হবে, যে ভাষা একটা নিকৃষ্ট নোংরা মানুষও ব্যবহার করতে লজ্জা পায় সেই ভাষা ব্যবহার করতে শিখতে হবে। যেমন তিনি বললেন বিরোধী দলের উদ্দেশ্য-

বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন খুল্লাম খুল্লা পেয়ারে মেতেছেন জামায়াতের সাথে। উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধিদের বিচার বানচাল করা। কিন্ত যত ষড়যন্ত্রই করা হোক যত ঝামেলাই বাধানো হোক যুদ্ধাপরাধিদের বিচার কেউ রোধ করতে পারবে না। জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ওরা মোনাফেক। আমাদের বাপ দাদারা যখন ব্রিটিশদের তাড়িয়ে পাকিস্তান চেয়েছিল ওরা তখন ব্রিটিশদের দালালি করেছিল। অখ- ভারত চেয়েছিল। আবার আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধ করেছি তখন ওরা অখ- পাকিস্তান চেয়েছে। আমাদের মা বোনদের তুলে দিয়েছে হানাদার বাহিনীর হাতে। গোলাম আজম ফতোয়া দিয়েছিল যুদ্ধের সময় জ্বেনা জায়েজ। কাজেই এই হানাদারদের দোসরদের সাথে কোন আপস নেই আপস হতে পারে না।

ধন্যবাদ সকলকে

বিষয়: রাজনীতি

১২৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File