কৃষ্ণ করলে লীলা, অন্য করলে পাপ। হাসিনা বললে আহ্ববান খালেদা বললে রাষ্ট্রোদোহিতা
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ২৮ মার্চ, ২০১৩, ০৪:০০:৪৯ বিকাল
কয়েক দিন যাবত সেনাবাহিনী বা তৃতীয় শক্তি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা যার যার দলীয় বুদ্ধিজীবিরা বুদ্ধির চাপে অবোদ্ধা হয়ে যাচ্ছেন। যার যার দলীয় বোদ্ধারা ৯ বোঝে কিন্তু ৬ বোঝে না, বিচার মানে কিন্তু তাল গাছ নিজের রাখতেই হবে। কেউ বলছেন খালেদা জিয়া সেনাবাহিনীকে উষ্কে দিচ্ছে, কেউ বলছেন সরকারকে সতর্ক করছেন, কেউ বলছেন অন্য দেশে হলে রাষ্ট্রোদ্রোহিতার মামলা হতো ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এদেশে হলে মামলা না কেন? বর্তমানে দেশে কেউ একটু জোড়ে হাঁচি দিলেই মামলা হচ্ছে। মামাল দেশ বাংলাদেশ হিসেবে পরিনত হয়েছে। কেন এত সন্দুর কথার জন্য মামলা করতে পারছেন না মন্ত্রি সাহেব। যেখানে বঙ্গবীর উপাধি পাওয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত রাজাকারের মামলা নিয়ে আদালতে হাজির হতে হয়েছে সেখানে কেন মামলা অন্য দেশে হলে হতো। মন্ত্রির এই কথার মানেটা বুঝতে পারলাম না। বিরোধী দলের প্রতি মামলার দেওয়ার তালিকায় জরিপ করলে হয়তো বাংলাদেশ বিগত ৪ বছরে প্রথম স্থান গ্রহণ করবেন।
বন্ধুরা লাইনচুত্য হয়ে যাচ্ছি মনে হয়, প্রসঙ্গত একটু লাইন চ্যুত হলেও ধৈয্য হারা হবেন না সেই সাথে ক্ষমাও করবেন।
যাইহোক, সেনাবাহিনী
যে সরকারই আসুক না কেন তারা সর্বসময় সেনাবাহিনীকে কে কত খাঁটি তেল মালিশ করবেন তা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন কিন্তু সেনাবাহিনী ঠিকই দুই পক্ষের তেলে তেলে তেলাকার হয়ে যায়। যার কারনে তেলতেলে অবস্থায় এত পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে যে তারা নিরপেক্ষতা দাড়িয়ে থকালেও দু’দলই মনে করে সেনাবাহিনী দু’জনের। কিন্তু তেলের ফলাফল ইতোমধ্যে দু’দলই পেয়ে গেছেন।
কয়েকদিন পূর্বে একটি পত্রিকায় দেখলাম একটিদল বিদেশীদের কাছে বলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জঙ্গি ডুকেছে জঙ্গি মুক্ত সেনাবাহিনী গড়তে হবে। তারই ফল নাকি বিডিআর এ কর্তব্যরাত সেনাবাহিনীর ইতিহাসের সর্বনিকৃষ্ঠ হত্যা ।
অন্য দল বলছে সেনাবাহিনী বিদেশে শান্তি রক্ষায় প্রশংসনীয় ভুমিকা রাখছে। কিন্তু পিলখানায়র হত্যার বিচারে অনেকটা নিরব।
আজ সেনাবাহিনী নিয়ে টানা টানি চলছে। সাম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়া বক্তব্য বলেছেন- বর্তমানে দেশের ঘোলাটে পরিস্থিতির উপর । বেগম জিয়ার ভাষায় দেশে গনতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে। দেশে গনতন্ত্র বিনষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমান সরকার এমন ভাবে বিভিন্ন অপরাধে ইতিহাস তৈরি করছে খুন, গুম, হত্যা, প্রকাশ্য হত্যা , অস্ত্রধারীদের অস্ত্রের মোহরা, চাঁদাবাজী, দূর্নীতি, প্রশাসনে দলীয় করন, বিরোধীদলের উপর জুলুম নির্যাতন, মিথ্যা মামলাসহ মন্ত্রিদের লাগামহীন বক্তব্য যা দেশের ভাবমুর্তি বিদেশের কাছে নষ্ট হচ্ছে সেই সাথে মুখে মুখে গনতন্ত্র থাকলেও দেশ চলছে একনায়ক তন্ত্রে। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি বলেছেন- সেনাবাহিনীরও দেশের প্রতি কর্তব্য আছে। তারা নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করতে পারবে না। মানুষ খুন করবে আর তারা চেয়ে চেয়ে দেখবে? সেনাবাহিনী সময় মতোই তাদের দায়িত্ব পালন করবে। এক কথায় যেটা বোঝায় সেটা হচ্ছে গনতন্ত্র নষ্ট হয়ে গেলে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালন করবেন। তার এই কথাতে বিভিন্ন বোদ্ধারা নিজেদের মত ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। আবার আমার কিছু সাংবাদিক সহকর্মিরা তিল কে তাল বানিয়ে খুব রংকরে বেগম জিয়াকে সেনাবাহিনীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করারও চেষ্টা করছেন। কেউ আরা রাষ্ট্রোদ্রহিতার সাথে তুলনা করলেন।
অন্য দিকে এই কথা একটু ঘুরিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি বললেন- দেশের সংবিধান ও গনতন্ত্র রক্ষার জন্য যে কোন যড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বশক্তি প্রয়োগের আহ্বান জানালেন। প্রধান মন্ত্রীর আহ্ববান ও বিরোধীদলের নেতার ইঙ্গিত এদুটোর বক্তব্যের মাঝে কোন ফারাক আছে কিনা আপনারা একটু বোঝার চেষ্টা করলেই পাবেন।
বেগম জিয়ার কথা মত যদি গনতন্ত্র নষ্ট হয়ে থাকে তাহলে শেখ হাসিনার কথার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী গনতন্ত্র রক্ষার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তা হলে কার কথা মত সেনাবাহিনীর ক্ষমতায় আসবে। আমার মনে হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীর কথা রাখতে বাধ্য হতে পারে এবং সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের আশার একই ইঙ্গিত দেশবাসীকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
বন্ধুরা দেশকে ভালবাসি তাই চোখের সামনে দেশে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে , এটা মনে করে মনের ভাবটুকু টুডে ব্লগের মাধ্যেমে প্রকাশ করার চেষ্টা করি মাত্র। কোথাও ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ সকলকে
বিষয়: রাজনীতি
২০০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন