আর এক ইমরান সরকারের ভুমিকায় মাওলানা মাসউদের আবির্ভাব
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ২৩ মার্চ, ২০১৩, ০৪:৫৭:৫০ বিকাল
সারা দেশে যখন নাসিত্মক বস্নগার এর বিপড়্গে ইসলামী জনতা ইসলামী দল গুলোর আন্দোলনের কারণে গনজাগরণ মঞ্চ এর যৌবন নষ্ট হয়ে গেছে সেখানে ওলামা মাশায়েখ তৌহিদী জনতা সংহতি পরিষদ নামে একটি ইসলামী দল মূল ইস্যু বাদ দিয়ে নাসিত্মক বস্নগারদের বিপড়্গের আন্দোলনকে ও নাসিত্মক বস্নগার দের বাচাঁতে ওলামা মাশায়েখ তৌহিদী জনতা সংহতি পরিষদ নামে একটি চিহ্নিত জঙ্গী দল প্রকাশ্য দাঁড় হচ্ছে নাসিত্মক বস্নগার দের বিপড়্গে আন্দোলন রত ইসলামী জনতার বিরম্নদ্ধে।
যে দলের মুল ভাষ্য অনেকটা আওয়ামীলীগের দলী নেতাদের মত। বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে তাদের আহ্বান এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে।
সরকারের মদদে যেমন তৈরি হয়েছে গনজাগরণ মঞ্চ যার পুতুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ডা.ইমরান এইচ সরকারকে এটা যেমন আজ স্পষ্ট ঠিক তেমনি ওলামা মাশায়েখ তৌহিদী জনতা সংহতি পরিষদ নামে যে সংগঠনটির আবির্ভাব হয়েছে সরকারের মদদে যার পুতুল হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছে চিহ্নিত জঙ্গী মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
ইমরান সরকার যেমন নিজেকে অনেক ড়্গমতাবান মনে করে রাষ্ট্রের জনতাকে হুকুম দেওয়ার চেষ্টা করছে। ঠিক তেমনি মোহাম্মদ জিলস্নুর রহমাননের মৃত্যুতে রাষ্ট্রের সকল মানুষ শোকাহত, রাষ্ট্রি ঘোষিত শোক দিবসে জনগন, বিরোধীদলগুলো সহ ইসলামী দলগুলো এমনকি জামাত এই দিনে সকল কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে সেখানে কার মদদে আজ সমাবেশ করছে এই দল।
মরহুম রাষ্ট্রপতির স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনদিনের শোক পালনকালে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ব্যাপারে জানতে চাইলে সংগঠনটির চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ মন্তব্য করেন, ‘মহাসমাবেশ বাতিলের প্রশ্নই আসে না।’ মাওলানা মাসউদ বলেন, ‘এই মহাসমাবেশ হচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি বন্ধ করার দাবিতে। এটা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয় যে তা বাতিল করতে হবে। রাজনৈতিক হলে আমরা কর্মসূচি বাতিল করতাম।’
মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের বিতর্কের কিছু উলেস্নখ যোগ্য দিক তুলে ধরা হলো -
আগামী ২৩ মার্চ মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ আহ্বানকারী ওলামা মাশায়েখ তৌহিদী জনতা সংহতি পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশের পাঁচশ’র বেশি জায়গায় জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) বোমা হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক পোর্টাল এসএটিপি’র ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে জেএমবির সন্দেহভাজন শীর্ষ নেতা বলা হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, জেএমবির বোমা হামলার পাঁচ দিন পর ২২ আগস্ট জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইংল্যান্ড যাওয়ার সময় ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে ঢাকার হযরত শাহজালাল (জিয়া) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই সময় মাওলানা মাসউদকে মোট ১৩ দিনের রিমান্ড নেয়া হয়েছিল।
মাসউদকে গ্রেপ্তারের পরে জেএমবিসহ জঙ্গী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের তদন্তে নিয়োজিত গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
গোয়েন্দারা আরো জানিয়েছিলেন, তারা মাওলানা মাসউদের নিয়ন্ত্রণাধীন ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ বাংলাদেশ নামক এনজিওটি সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন।
ইসলাহুল মুসলিমিনের অ্যাকাউন্টে ইউরোপ ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সন্দেহজনক বিদেশি তহবিল আসার প্রমাণ পেয়েছিল বলেও জানিয়েছিল গোয়েন্দারা।
জানা গেছে, জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে মাওলানা মাসউদ জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম নামে একটি ধর্মীয় দলের একাংশের প্রধান ছিলেন।
এর আগে তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন প্রথম আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে ইফার ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের তদন্ত শুরু হলে তিনি ইফার পরিচালকের পদ থেকে সরে যান।
এরপর মাওলানা মাসউদ ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ এনজিওর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বিদেশি তহবিল সংগ্রহ করে দেশব্যাপী ৫০০ মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। পাশাপাশি নিজের রাজনৈতিক দল জমিয়তে ওলামাকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেন।
জেএমবির বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে অভিযোগ ওঠে মাওলানা মাসউদ ইসলাহুল মুসলিমিন ও জমিয়তে ওলামার সঙ্গে জড়িত থাকলেও গোপনে জেএমবির জঙ্গী কার্যক্রমেও যুক্ত হয়ে পড়েন।
মাওলানা মাসউদ গ্রেপ্তার হওয়ার পরে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মূল অংশের প্রধান ও মাসিক মদীনার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন খান সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি যতদূর জানি তার সঙ্গে শায়খ আবদুর রহমানের যোগসাজশ রয়েছে।’
অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক পোর্টাল এসএটিপি ডট অরগ এ দেয়া তথ্যে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের ব্যাপারে বলা হয়েছে, তিনি জেএমবির সন্দেহভাজন শীর্ষ নেতা।
ভারতভিত্তিক পোর্টাল এসটিপির প্রধান কে পি এস গিল। তিনি ভারতের পাঞ্জাব রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক হিসেবে মৌলবাদী সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে সফল বলে খ্যাত।
এখন শোলাকিয়ার মানুষসহ আমরা যারা মুসলমানদের ধর্মীয় বড় উৎসবে দীর্ঘ একবছর পর ঈদের নামাজ পড়তে লাখ লাখ মানুষ জড় হই সেই নাম এমন একজন বিতর্কীত মানুষের পেছনে পড়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত। সরকারই বা এমন একজন বিতর্কিত মানুষকে এই মহাদায়িত্ব কিভাবে যেনে শুনে দিয়েছেন এটা আমার বোধগম্য নয়। তাহলে এই সরকার রাষ্ট্রের কত গুরম্নত্ব পূর্ন জায়গায় বিতর্কিত লোক বসিয়ে রেখেছেন এটা নিয়ে সংশয় হ"েছ। এবং এদেশে কারা জঙ্গী কর্যক্রমে সাহায্যে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল এই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে।
ধন্যবাদ সকলকে
বিষয়: রাজনীতি
১৯০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন