বড় দুই দলের সমঝোতা, জামায়াত ইসলামী নিষিদ্ধ হচ্ছে

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ২০ মার্চ, ২০১৩, ০৫:০০:১৫ বিকাল

কয়েক বছর ধরে জোট বেধে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভালই ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমে ৪ দলীয় ঐক্যজোট, এর পর ২০ জন নেতা নিয়ে ১৪ দলীয় মহাজোট, সর্ববেশ ১৮ দলীয় জোট এখন দু’জোটই জোটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মরিয়া।এত দিন ২ নেত্রী (-,+) নিয়ে ২ পরিবার তন্ত্র নিয়ে বিরোধ করলেও আসল স্থানে বড় দুদলকেই বট গাছ হিসেবে মেনে নিয়ে আশ্রয় নেয় ছোট দল গুলো। দুটি দল ডান, বামে বিভক্ত হলেও একটা নীতিতে তারা একমত সেটা হচ্ছে পরিবার তন্ত্র। এব্যাপারে কোন ছাড় নেই দু নেত্রীর এক নেত্রীরও। দু’জোট এখন নাসিত্মক ও ধর্মীয় প্রকাশ্য দুই মেরম্নতে অবস্থান করছে। এতদিন বিরোধী দলের আন্দলোন ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে, অবাধ সুষ্ঠ নিবার্চনের জন্য আমাদের দেশে ত্বত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোন ভাবেই সম্ভব না। যুদ্ধাপরাধের ইস্যুতে বিএনপির কোন আন্দোলন নেই তারা এব্যাপারে চুপ থাকছে। ট্রাইবুন্যাল নিয়ে তাদের অবস্থান বোঝা গেলেও সরাসরি কোন মনত্মব্য নেই। তাদের মতে ট্রাইবুন্যাল অসচ্ছ তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও অসচ্ছ হচ্ছে। এতে বিতর্কীত অনিয়মের বিরম্নদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিতে অসুবিধা কোথায়। যেখানে বিএনপির একনিষ্ট নেতা সাংসদ সদস্য ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাকা চৌধুরির মত লোককে অসচ্ছ বিচারের সমুখীন করে জেল হাজতে জিবন কাটাতে হচ্ছে সর্বশেষ সমকামিতার মামলা ও হয়েছে এর বিরম্নদ্ধে কোন আন্দোলন করতে তার মুক্তির ব্যাপারে কোন শব্দটি করছেন না। নাকি সাকা খালেদা জিয়াকে কুটক্তি করার সাজা এভাবে পেতে হচ্ছে। এখানে ব্যাপরটা পরিষ্কার যে বিএনপি কোন রকম জামাতের সাথে জোট রেখে ড়্গমতায় এলে যুদ্ধাপরাধী মামলায় আটক কোন নেতাকে মুক্ত করবেন না। কারো ফাঁসি না হলেও মুক্তি পাবেন না। জামায়তকে বিএনপিও ভয় পাচ্ছে। তাই গ্রাম্য প্রবাদ আছে - বাঘ মারতে শত্রম্ন পাঠিয়েছি, বাঘ মরলেও ভাল শত্রম্ন মরলেও ভাল। আজ দেখা গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক ড়্গমতা দেওয়ার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) টিঠি দিয়েছে। অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনার বলেছেন জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না, অথচ নির্বাচন কমিশন এত দিন ইভিএম ব্যবহারে ব্যপারে অনড় ছিল। এটাও ছিল বিএনপি’র একটা চাওয়া। যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অনত্মর্বর্তীকালীন সরকার কোন ব্যবস'ায় নির্বাচন হবে সেটা নির্ধারন হয় নি নির্বাচন আধৌ হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় সেখানে বিএনপি নির্বাচন কমিশনে চিঠি ব্যপারটা সন্দেহ লাগছে। বিএনপি যুদ্ধাপরাধের কয়েকটা রায়ের পরে একটু গা ছাড়া গাঁছাড়া ভাবে আছে। অনেকটা জামাতেকে এড়িয়ে চলছে। আওয়ামী নেতা সৈয়দ আশরাফ বলেছিলেন তলে তলে বিএনপির সাথে সংলাপ চলছে তাহলে এটাকি তারই বর্হিঃপ্রকাশ। সর্বশেষ মনে কেন যেন মনে প্রশ্ন জাগে পরিবার তন্ত্রের মত জামায়াত নিষিদ্ধের ব্যাপারে একমত আছেন। অবশ্য বিএনপিকে যদি সঠিক ভাবে বোঝানো যায় যে জামাত নিষিদ্ধ হলে বিএনপির লাভ কারণ জামাতের লোকজন কখনো আওয়ামীলিগকে যোগদিবে না। এছাড়া বর্তমান পরিসি'তিতে ইসলামী সমমনা দলগুলোও বিএনপির পড়্গে অবস'ান করছে। সেড়্গেত্রে জামাত বন্ধ হলেও বিএনপিই লাভবান। হয়তো এরকম একটা ভাবনা বিএনপির ভেতরে প্রবেশ করানো হয়েছে । তা নাহলে যুদ্ধাপরাধী ছাড়াও জামাত-শিবিরের অনেক নেতাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের ব্যাপারে হরতাল নেই। নিজ দলীয় নেতাদের মুক্তির জন্য ১৮ দলের বৈঠক আহ্ববান ও হরতাল হয় কিন' জামাতের নেতাদের মুক্তির জন্য জামাত-শিবিরের একক কর্মসুচী দিতে হয় এবং জামাত শিবিরের কর্মীদের জিবন দিতে হয়। এখন ব্যাপরটা অনেকটা স্পষ্ট আগামী নির্বাচনের আগেই জামায়ত নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে।

বিষয়: রাজনীতি

১৩৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File