কিছু না থাকলে ঘামাচি চুলকায়ে দে
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ২০ মার্চ, ২০১৩, ১২:২২:০৬ দুপুর
বাঘীনির পেটে বিড়ালের বাচ্চা হয়না। বিড়াল কখনো বাঘের দলে মিশে না। বর্তমান রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্রে শত ভাগ মিলে যায়। কয়েকটি বছর ধরে দেশে নতুন নতুন জোট নতুন নতুন নেতার আবির্ভাব ঘটেছে। বাম দল গুলো বামে জোট করছে ডান গুলো ডানে ভিড় জমাচ্ছে মাঝে পরে এরশাদ সাহেব পুলিশ বাহিনীর মত ডান, বাম -ডান-বাম করছে। কয়েক জন বহিস্কৃত নেতা ডানও না বামও না স'ীর হয়ে দাড়িয়ে আছে। এগুলো সুযোগের অপেড়্গায় আছে কোন দিকে পা চালাবে। যাই হোক মুল বিষয় হচ্ছে কিছু না থাকলে ঘামাচি চুলকায়ে দে প্রসঙ্গে-
গ্রামাঞ্চলে একটি গল্প আছে নিশ্চয়ই অনেকে শুনে থাকবেন-
পুলিশের কর্মকর্তা এক ছেলেকে ৫৪ ধারায় আটক করে থানায় নিয়ে যায় লকাপে রাখে। কিন' তাকে ছাড়িয়ে নিতে কোন লোক আসছে না। কর্মকর্তা বন্দিকে নিজের কড়্গে নিয়ে আসে।
পুলিশ : তোকে ছাড়াতে তো কেউ এলো না। তোকে তো চালান করে দেব।
বন্দি : স্যার, আমারে কেন ধরে আনছেন।
পুলিশ: তুই তো নাশকতা করার জন্য ঘোড়া ফেরা করছিলি।
বন্দি: না স্যার, আমাকে ছেড়ে দিন।
পুলিশ: তোকে ছাড়বো ছাড়তে তো টাকা লাবো।
বন্দি : স্যার আমার কাছে তোক টাকা নেই।
পুলিশ: তো কি আছে?
বন্দি: স্যার কিছু নেই।
পুলিশ: তাহলে কি বিড়ি আছে।
বন্দি: স্যার আমি বিড়ি খাইনা, তাই বিড়িও নেই।
পুলিশ: ফকির জানি কোন হানের। এদিক আয়ে আমার জামাটা খোল, পিঠে কিছু ঘামাচি হইছে ঘামাচি গুলো চুলকায়ে দে।
বন্ধুরা গল্পটা বলার কারণ হচ্ছে বর্তমানে শিবির দেখা মাত্র গ্রেফতার, নাশকতা সৃষ্টিকারী গ্রেফতার সেই সাথে শিবির দেখা মাত্র ডিএমপি কমিশনারের নিদের্শ থাকাতে পুলিশ বাহিনীর আয়ের একটা মহাউৎসব যাচ্ছে। কোন রকম লকআপে নিতে পারলেই টাকা তা নাহলে শিবির হিসেবে চালান। প্রসঙ্গে আসা যাক:
বিরোধী দলের নেতা কর্মিদের বিভিন্ন অপরাধে মামলা দিতে দিতে জনগন এখন বুঝতে পেরেছে কোন টা সঠিক মামলা আর কোনটা মিথ্যা মামলা। মানি লোকের মান নিয়েও টানা টানি শুরম্ন হয়েছে। বর্তমান সরকার আমলে মানি লোকের মানতো দিতে ভুলে গেছি আমরা। প্রতিপড়্গকে নাজাহেল করতে আর কোন মামলা বাকি থাকতে পারে । প্রথমে ড.ইউনুস সাহেবে দিকে আসি বিদেশে মানুষটিকে এত সম্মান দিলেও দেশে তার কোন সম্মান নেই। তিনি তোক কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বনা। রাজনৈতিক নেতা একজন সাবেক শিড়্গা মন্ত্রি তার বিরম্নদ্ধে শুধু ইভটিজিং ছাড়া সব রকমের মামলা তার বিরম্নদ্ধে আনা হয়েছে। ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণ, খুন হতে শুরু করে মোবাইল সেট চুরি, পুকুরের মাটি চুরি, সিকোফাইভ ঘড়ি ছিনতাই, সোনার চেইন, নেকলেস, মানিব্যাগ, গরু চুরি, ফকিরের টাকা ছিনতাই, যার ঘর বাড়ি নেই, উদ্বাস্তু, মাদকাসক্ত, ছাত্রলীগ, যুবলীগ কর্মীর কাছ থেকে ছিনতাই, ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি, চুরি ডাকাতি, গোলাগুলি, হত্যাচেষ্টা, অগ্নিসংযোগ, এমন কি অন্য জেলায় গিয়ে হুমকি, চাঁদা আদায়, এহেনও অপকর্ম নেই যা তিনি করেন নি। সর্বশেষ দেখলাম বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরির মানতাবিরোধির অভিযোগে স্বাড়্গির অভাবে তাকে আটকে রাখা সম্ভব নাও হতে পারে যার জন্য সমকামিতা অভিযোগ মামলা করা হয়েছে। আর কিছু না হোক মানহানি তো হোক। এদিকে কয়েক টি পত্রিকা খুব আনন্দের সাথে ছাপিয়েছে। কিন' বার বার নির্বাচিত সাংসদ বিরোধি দলের চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা ব্যক্তি সাকার দিকে না তাকিয়ে তার পদের দিকে তাকিয়ে এহেন কাজ করার কতটুকু নৈতিকতার ভেতর পরে। আশা করি অতি উৎসাহির অনত্মত কারো সম্মানহানি করা থেকে বিরত থাকবেন ।
বিষয়: রাজনীতি
১৪৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন