আল্লামা শফীকে ফাসাতে গিয়ে নিজেই ফেসে গেছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৪:৪৭:০৯ বিকাল



ফাটা বাসের চিপায় ..... পরছে বের করতেও পারছেনা, আবার রাখতেও পারছে না।

২টি অসত উদ্দেশ্য গত শনিবার সোহরাওয়ারী উদ্যানে শ্রমিক মহাসমাবেশ এর আয়োজন করা হয়। অন্য দিকে নিজেও পরিবহন খাতের পর তৈরি পোশাক খাতের নেতা হওয়ার ১ম ধাপ পার করার ইচ্ছে ছিল।প্রথমে বাংলা নিউজ ২৪ অনলাইন পত্রিকায় দেখলাম শ্রমিকরা শফী হুজুরের ‘ তেতুলতত্ত্ব’ এর প্রতিবাদে মহাসমাবেশ কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল শ্রমিকদের নুন্যতম মুজুরীর দাবী আদায়ে মহাসমাবেশ। মহাসমাবেশে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও দু’একজন দালাল ছাড়া কোন শ্রমিকদের নেতাদের তেতুলতত্ত্ব নিয়ে কেনা মাথা ব্যাথা নেই।

অন্যদিকে ৭১ টিভিতে মহাসমাবেশের নেতাদের বক্তৃতার মধ্যে শফি হুজুরের ভিডিওটি দেখাচ্ছে। যদিও শফি হুজুর প্রসঙ্গ ঐসময়ে কোন বক্তা বক্তৃতা দিচ্ছিল না।

ব্যাপরটা স্পষ্ট যে আগে থেকেই দালাল পত্রিকা ও টিভি দ্বারা শফি হুজুরের বক্তব্যকে মূল আলোচনার বিষয় হিসেবে দার করানো। সেখানে ব্যর্থ হয়েছে।

যদি তার এই চেষ্টা আল্লামা শফী অনেক হেয় করাই উদ্দেশ্য।

২য়, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ভেবে ছিলেন যদি কোন ভাবে শ্রমিকদের পক্ষে কয়েকটি কথা বলেই তিনি পোশাক শ্রমিকদের নেতা হয়ে যাবেন। কিন্তু তার এই বক্তব্য কেউ তো মেনে নেইনি এছাড়া তাকে প্রত্যেকে প্রত্যাক্ষান করেছে। যার প্রমান পোশাক কারখানাগুলোতে সহিংসতা বন্ধ করে শ্রমিকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিলেও তাতে সায় দেয়নি সাভার গাজীপুরের হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক। বরং মঙ্গলবার রাজধানীসহ নতুন করে বেশকটি জায়গায় শ্রমিক বিক্ষোভ হয়েছে। বন্ধ হয়েছে আরো ক’টি পোশাক কারখানা।

গত শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক মহাসমাবেশের পর সাভার, গাজীপুরসহ রাজধানীর গার্মেন্টস অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পরিস্থিতি সামলাতে সোমবার সচিবালয়ে প্রথমদফা বৈঠকে বসেন নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান। বৈঠকে কারখানা মালিক, শ্রমিক নেতাসহ সরকারের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

দীর্ঘ বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন করে নৌ-মন্ত্রী জানান, আজ মঙ্গলবার থেকে দেশের সবগুলো বন্ধ কারখানায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে গোলযোগকারীদের শনাক্ত করতে সোর্স নিয়োগের কথা জানান মন্ত্রী।

পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে মালিকদের এমন আশ্বাস দিয়ে মঙ্গলবার থেকে কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার আহবান জানান। সেইসঙ্গে শ্রমিকদেরও কাজে যোগ দেওয়ার আহবান জানান তিনি। এরপর রাতে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে আবারো বৈঠকে বসেন নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান। সে বৈঠকেও এমন আহবান জানান তিনি। কিন্তু তার সে আহ্বানে শ্রমিকরা সাড়া দেননি। নৌ-মন্ত্রীর ওই ঘোষণার পরও শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখায় মঙ্গলবার নতুন করে সাভার, আশুলিয়া, বাইপাইল, জামগড়া, টঙ্গী, গাজীপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের বেশকিছু তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ করেছে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে সব মিলে বন্ধ কারখানার সংখ্যা চারশো ছাড়িয়েছে বলে জানা গেছে।

এখন পরিস্থিতি সামাল দেয়া কষ্ট হয়ে পড়েছে। শ্রমিকরা তার কথা শুনছে না অন্য দিকে আল্লামা শফী হুজুরও হেয় হইলো না।

সর্বশেষে নৌ-মন্ত্রীর কোন উদ্দেশ্য এখনো সফল হয়নি।উল্লেখ্য এই নৌ-মন্ত্রী বায়তুলমোকারম এক বেফাস কথা বলে উপস্থিত জনতা জুতা নিক্ষেপ করেছিল।

তাই তিনি ইসলামী চিন্তার মানুষের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে বলে ধারনা করা যায়।

বিষয়: বিবিধ

১৮৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File