জালেমের ঘরে আলেম হলেই দেশের পরিবর্তন সম্ভব।
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৩:৪৫:১৪ দুপুর
পুলিশ জনগনের রক্ষক হিসেবেই বলা হয়। মাঝে মাঝে পুলিশরাই দাবি করেন পুলিশ জনগনের বন্ধু। কিন্তু দেশের পুলিশদের কর্মকান্ডেই দিন দিন জনগনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। ঘরের বাবা যদি সন্তানদের সামনে প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলতে থাকে তাহলে সন্তানরা কিভাবে সত্যবাদী হবে। আমরা জানি প্রত্যক পুলিশের কর্মকর্তাদের সন্তানের দেশের বড় বড় স্কুল কলেজে লেখাপড়া করে। অনেকের সন্তানরা আবাবার দেশের বাইরে লেখাপড়া করে। কিন্তু এই লেখা পড়া করে লাভ কি? পুলিশের কয়েকজন চিহ্নিত উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা মাঝে মাঝে প্রকাশ্য এমন কি মিডিয়ার সামনে এমন ভাবে মিথ্যা কথা বলে সেগুলো যে মিথ্যা তা একটি দুগ্ধ শিশুও জানে।তারা যখন ক্যামেরার সামনে মিথ্যা বলে সেটা তাদের চেহারায়ও স্পষ্ট ফুটে ওঠে।একবার, দুবার ভূল হতে পারে কিন্তু বারবার যখন মিথ্যা বলে তখন সেই অপরাধের ভেতর পরে। তাহলে তারা ইচ্ছা করেই মিথ্যা বলে। কেন তারা এত সুন্দর করে মিথ্যা বলে। হয়তো চাকুরি বাচাতে তা না হয় উচ্চ পদ গ্রহন করতে তাও নাহলে অবৈধ্য কোন কাজে জড়িত থাকে এই জন্য। যদি অবৈধ্য কোন কাজে জড়িত না থাককেন তাহলে সে এত বড় বড় মিথ্যা কোটি কোটি মানুষের সামনে মিথ্যা বলতেন না। অপরাধের সাথে জড়িত বিধায় সত্য বলতে বা মিথ্যার প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। একে বারে যদি কোন অপরধের সাথে জড়িত নাও থাকে তাহলে মিথ্যা বলাটাই তো বড় অপরাধ।
তাদের এই আয় কতটুকু বৈধ্য, আর এই অবৈধ্য আয় দিয়ে স্ত্রি-সন্তান বা মা-বাবাদের খাওয়াতে একটুও কি খারাপ লাগে না? তাহলে কি ধরে নেয়া যায় এদের বাবা মাও কি মিথ্যাবাদী ছিলেন।তার সন্তানদের মিথ্যা শিক্ষিয়েছেন। এই কর্মকর্তারা কি জানেন না তাদের অপকর্মের জন্য তাদের বাবা-মাও গালি খায়।
আমরা শুধু শুধুই পুলিশের অপকর্মের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের অপবাদ দেই। মুলত: তাদের অপরাদের জন্য দায়ী তাদের পিতা-মাতা, দ্বিতীয়ত তাদের শিক্ষিত সন্তানেরা। সন্তানেরা যদি একটি বার বাবাকে বলতো বাবা তুমি এই মিথ্যা কথা কেন বললে। তাহলে ২য় দিন মিথ্যা বলতে একটু খারাপ লাগতো। কয়েক দিন বলতো তাহলে লজ্জায় হলেও প্রকাশ্যে এভাবে মিথ্যা বলতেন না। আমার মনে হয় পুলিশের অপরাধ ঠেকাতে তাদের সন্তানেরাই যথেষ্ঠ।
যাই হোক একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তিনি যদি ইচ্ছে করেন সমাজের অনেক অপরাধ নির্মূল করেতে পারেন।যখন সমাজের কোথাও বেশি অপরাধ হয় তাহলে বুঝতে হবে অত্র এলাকার পুলিশ কর্মকর্তা সবচেয়ে বেশি অপরাধী। একজন পুলিশের কর্মকর্তা কিভাবে এরকম একটি মিথ্যা মিডিয়ার সামনে কি ভাবে বললেন- পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একে এম শহীদুল হক জানান-গত ৪ মে হেফাজত ইসলাম ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের সাথে মিটিং করে রাজধানীর ছয়টি পয়েন্টে অবস্থানের অনুমতি চায়। পরে ৫ মে সকাল ১১ টার দিকে তারা পুনরায় জানায় যে, গুটিকয়েক লোক মতিঝিল শাপলা চত্বরে দোয়া করে চলে যাবে। এ কারনে আলেম ওলামাদের সরল বিশ্বাসে সমাবেশ করার অনুমতি দেই। কিন্তু হেফাজতের আমির আল্লামা আহম্মদ শফী যোহর, আসর ও মাগরিবের পরে সমাবেশে না এসে ওয়াদা ভঙ্গ করেছেন। পরে পুলিশি প্রহরায় তাকে বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রামে এবং সেখান থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসায় পৌঁছে দেয়া হয়।
এই কর্মকর্তার কথা কতটুকু সত্যে- হেফজতের ঢাকা অবরোধ কর্মসুচীতে লক্ষ্য লক্ষ্য লোক অংশ করেছিল। সেই অবরোধে শুধু হেফজত নয় সেই সাথে সাধারণ জনগনও অংশগ্রহণ করেছিলো। সেখানে কিভাবে গুটি কয়েকজন নিয়ে মতিঝিলে দোয়া করে চলে যাওয়ার অনুমতি চায়। তিনি বলেছেন আলেম ওলামাদের সরল মনে বিশ্বাস করেছিলেন। যদি সরল মনে বিশ্বাস করে থাকতেন তাহলে অনুমতি নিয়ে কেন এত তাল বাহান করা হয়েছিল। আল্লামা শফী যোহর, আসর ও মাগরিবের পরে সমাবেশে না এসে ওয়াদা ভঙ্গ করেছেন।আল্লামা শফীর কি তিনটি সময়ে আসার কথা ছিল। একটি ব্যক্তী তিন বার একই সমাবেশে আসবেন কিভাবে। যাই হোক তিনি তিনবার না এসে ওয়াদা ভঙ্গ করেছেন। কিন্তু পর দিন তো প্রায় অনেক পত্রিকায় প্রকাশ হয়ে ছিল আল্লামা শফীকে পুলিশ লালবাদের মাদ্রাসা থেকে আসতে দেয়নি। আর এটা চরম সত্যটা আইজিপি সাহেব নিজেই ভাল জানেন তিনি আসেনি না আসতে দেয়া হয়নি। হেলিকপ্টারে পুলিশ প্রহরায় চট্টগামে পাঠানো হয়েছিল। তাকে কেন পুলিশ প্রহরায় পাঠানো হয়েছিলো। তাকে তো পুলিশ প্রহরায় ঢাকা আনা হয়েছিলনা।নাকি তাকে গ্রেফতারের ইচ্ছা ছিল তাকে গ্রেফতার করলে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে পরতো তাই তাকে জোড় পূবর্ক পাঠিয়ে দিয়েছিল।
যাইহোক- যে ব্যক্তির প্রত্যকটি কথাই মিথ্যা সেই ব্যক্তি দিয়ে দেশের কতটা সত্যর পথে কাজ করা সম্ভব।দেশ বা জনগন কবে এই সকল মিথ্যাবাদী, অত্যাচারী দের হাত থেকে মুক্তি পাবে জানি না। আদ্যে পাবে কি না তা বলা সম্ভব নয়। কারণ এদের সন্তানরাই আগামীতে বাবা পরিচয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ন পদে বসবে। তারা নিশ্চই এরকমই মিথ্যাবাদী হবে। আর যদি গ্রাম্য একটি কথা সত্যি হয়- আলেমের ঘরে জালেম তৈরি হয়, আবার জালেমের ঘরে আলেম তৈরি হয় তাহলে হয়তো পরিবর্তন সম্ভব হতে পারে। তাবে এই জামেলগুলো এতো বড় জালেম এদের ঘরে আলেম আসার সম্ভাবনা খুবই কম।
ধন্যবাদ সকলকে
বিষয়: বিবিধ
২১৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন