কাদের মোল্লার পুঁজোর আগে ফাসিঁ ১৬ই ডিসেম্বরের আগে কার্যকর- বিদায় কাদের মোল্লা

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ২৭ আগস্ট, ২০১৩, ০২:৩৬:৩৯ দুপুর



জামায়েত শিবিরের জন্য দু:খ জনক হলেও আওয়ামী লীগের জন্য ব্যবসা। আগামী সংসদ নির্বাচন, চারিদিকে হরিলুট, বিডিআর বিদ্রোহ প্রায় অর্ধশত সেনা কর্মকতার মৃত্যু, চারিদিকে ব্যার্থতা, নাস্তিককে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষনা, হেফাজতের কালো রাত, ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের ঐতিহাসিক কর্মকান্ড, এমপি, প্রধান মন্ত্রীসহ, মন্ত্রিদের উল্টাপাল্টা বগ বগ, (যেমন এটিন এন বাংলার মাফুজসাহেব বলেই ফেললেন প্রধান মন্ত্রীকে বাচাল), বিভিন্ন নেতাদের গুম, নির্যাতন, বিরোধী দলকে ধবংস করতে হয়রানি মুলক মামলা, শেষ দিকে আবার অন্যর বিল বোর্ড দখল ইত্যাদি মিলিয়ে চরম ব্যর্থতা, সফলতার মধ্যে পাটের জিন আবিস্কার ছাড়া কিছুই নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারিদের ফাঁসি দেয়া হয়ে গেছে। সেখানেই অনেকটা ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন যদি ডিসেম্বরের আগে সকল মানবতাবিরোধী আসামীদের ফাসিঁর রায় কার্য করে ফেলতেন তাহলে তো পুরো ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতো। ভোট চাওয়ার কোন অবস্থা ছিল না। এক পাটের জিন তত্ত্ব নিয়ে কয়টা ভোট চাওয়া যায় বা পাওয়া যায়। এতদিন ভোট চাওয়ার মত দুটো ছিল এক বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় যুদ্ধাপরাধীর । যাই হোক দুই আলেম এক জায়গায় ওয়াজ করতে পারে না। তেমনি দুই ব্যবসায়ি একই ব্যবসা করতে গেলে হিংসামীও তৈরি হয়। আওয়ামী এর কাছে জামাত স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইসলামের পক্ষে ছিল তাই তার ইসলাম নিয়ে ব্যবস্যা করছে অন্য দিকে জামায়াতের কাছে আওয়ামী লীগ ভারতের ইন্ধোনে আর বঙ্গবন্ধুর ক্ষমতা না পাওয়ার যন্ত্রনায় যুদ্ধকরে যুদ্ধাপরাধী ও অসাম্পদায়ীকতা, ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে ব্যবসা করছে। তাই দুদলের অবস্থান বিপরীত। এখন যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রসঙ্গে- মাঠ, বল, রেফারি সবই আওয়ামীলীগের তাই এখন থেকে জিতে কাপ নেওয়ার কোন সম্ভাবনা জামাতের নেই। কোন ভাবে যদি জিতেই যায় তাহলে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব টিকানো কঠিন হবে। তাই এখেলায় অলৈাকিক কিছু না ঘটলে জামাতের জেতার কোন সম্ভাবনা নেই।

যাই হোক প্রসঙ্গে আসি। মানবতা অপরাধের বিচার। অনেক নাটক মঞ্চস্থ করার মাধ্যেমে প্রায় বিচার কার্য শেষ পর্যায়ে। কিন্তু রায় হচ্ছে না। এর একটাই কারন আগামী নির্বাচন। নির্বাচনে ভোট চাওয়ার একটাই আছে সেটি ক্ষমতায় এলে বাকি যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর করা হবে।

এখন কাদের মোল্লা প্রসঙ্গে।

আওয়ামীলিগ সরকার আদালতের উপর বন্ধুক রেখে যে কাযগুলো করেছে তার প্রত্যেকটিতে ধর্মীয় উৎসব বা যে কোন জাতীয় দিবস গুলোকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। তাই কাদের মোল্লার রায়ে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব তাই পুজোঁর আগ মুহুর্তে রায় দেয়া হবে এবং রায়ে ফাঁসি দেয়া হবে এবং এই রায় কার্যকরের জন্য একটি জাতীয় দিবস তেমননি ১৬ই ডিসেম্বরের আগে কার্যকর করা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

বিষয়: বিবিধ

২০৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File