একটু না লেখে পারলামা না।

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৪:৩২:৪৩ বিকাল

শাহবাগ স্কয়ার বলুন বা শাহবাগ প্রজন্ম বলুন আজ এত ভাল লাগছে এই জাগড়নে। যদিও যুদ্ধাপরাধে নিহত মা- বোনেদের আত্মা আজ এইক রকম আকাশে আত্মাস্কয়ারে পরিনত করে আনন্দ করছে। তারা যুদ্ধাপরাধিরে হাতে মরেও শানিত্ম পাচ্ছেন। হয়তো একাত্তরের মত এই রূপরেখা দেখতে পাচ্ছেন। একাত্তরে শেখ মুজিবর রহমানের এই শাহবাগে তার ডাকে সাড়া দিতে দলমত নির্বিশেষে যোগ দিয়ে ছিলেন লাখো মানুষ, সেখানে ধর্ম, বর্ন, কোন বেধাবেদ ছিলনা। এই আওয়ামীলিগ নেতা শেখ মুজিবর রহমান তারা জ্বালাময়ী এক ভাষণে ঝাপিয়ে পরেছিল বাংলার জনতা। মুক্ত করেছে দেশ। শহীদ হয়ে লাখ প্রাণ,ইজ্জত দিয়েছে মা-বোনেরা। আজ সেই আওয়ামীলিগ ড়্গমতায় , সেই শাহবাগ, সেই উত্তাল জনগন, সমসত্ম পেশা জীবিদের মিলনে এই কণ্ঠে বাজছে ‘রাজাকারের ফাঁসি চাই” কাদের মোল্যার ফাঁসি চাই। শহীদ আত্মারা আর কিছু চাওয়ার নেই। এই মুহুর্তে একটি গান মনে পরে যায়- “তুমি জানলেনা আমার হাসির আড়ালে কত যন্ত্রনা কত বেদনা, কতযে দুঃখ বোনা।”

আসলে এ গানটা অনেক অর্থ বহন করে। তাই গানটা উদহারণে আসছে। শহীদ আত্মাগুলো আবেগে আত্ম হারা হয়েছে। কিন' তাদের চাপা কান্না কেউ শুনতে পাচ্ছে না। কারণ এই শাহাবাগ থেকে যে কথা বলে শেখ মুজিব ৭ কোটি মানুষকে বিপদে ফেলেছিল শুধু নিজের ড়্গমতার জন্য কিছু মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে নিরস্ত্র মানুষ গুলোকে নামিয়ে ছিল। অবশ্য ধন্যবাদ জানাই প্রতিবেশী দেশ ভারতকে যারা ট্রেনিং, সৈনিক, অস্ত্র সহ নানা ভাবে সাহায্য করিছিল। যদি ভারত সাহায্যে না করতো আজকে এই রাজাকারদের অত্যাচারে আমাদের মা-বাবারা জন্ম নেওয়া সুযোগ পেত না। যাই হোক প্রসঙ্গে আসি-

শহীদ আত্মা গুলো বলছে সেই দিন আমরা ও যুবক ছিলাম, আমাদের রক্ত গরম ছিল তাই জ্বালাময়ি ভাষন শুনে বসে থাকতে পারিনি , ঝাপিয়ে পড়েছিলাম, আমরা সফল হয়েছিলাম কারণ আমাদের পাশে ছায়া হয়ে দাড়িয়ে ছিল ভারত। কিন' আজ তোরা যে ভুল করছিস সেখান কোন ছায়া নেই, আমাদের যুদ্ধাপরাধিদের উপর কোন ড়্গোভ নেই তাই হয়তো কোন ভাবে তারা এতদিন বের্চে আছে। কিন' স্বাধীনের পরে যে মুক্তিযোদ্ধারা রড়্গী বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন তাদের হত্যার বিচার কে করবে। মুজিব সাহেব যে মুক্তির কথা বলে ছিলেন সেই মুক্তি এক দিনেই বন্ধি করে ছিলেন সংবিধানে একনায়কতন্ত্রে। কড়ে নিয়েছিলেন মানুষের বাক স্বাধীনতা। তৈরি করেছিলেন বাকশাল। দেশকে পাকিসত্মানি শাসনের চেয়ে কঠর হাতে শাসন করতে শুরম্ন করলেন। আজ সেই প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠছে। তোমরা আবারও ভুল করছো। তোমরা যুদ্ধাপরাধিদের ফাাঁসি দাও কিন' অন্য দলকে দমন করার প্রতিধ্বনি একটু কৌশলে করছে সেটা বুঝতে পারছো না।

তোমাদের দিয়ে ভুত ছাড়িয়ে, নিজেইরা তোমাদের উপর ভর করবে। তাই চিলের পেছনে না দৌড়ে একটু কষ্ট করে কানে হাত দিয়ে দেখ কান আছে কিনা। আজ তোমরা যারা আওয়ামী কৌশলে পা দিয়েছো দেখবা একটু স্বার্থে আঘাত লাগলে তোমাদের বিশ্বজিতের স'ানে নিতে সময় লাগবে না আওয়ামী কর্মিদের। তোমরা যুদ্ধাপরাধের বিচারে অটুট থাকো কিন' কারো ফাঁদে পা দিয়েও না তাহলে আমরা সত্‌্িযকারের শানিত্ম পাব। আমাদের আত্মার শানিত্মর জন্য নিরপরাধ আত্মা কষ্ট না পায় । নিরপরাধ আত্মা কষ্টপেলে আমার আরো বেশি কষ্ট পারো। আত্মাদের এই আর্তনাৎ যে কারো কানে আসে না সেটা আত্মারা বুঝতে পেরেও আমাদের আবেগি বাঙ্গালিদের জন্য কান্না করছে।

তাই আমারা কারো রাজনীতিতে না পরে সঠিক ইসুতে আন্দোলন করতে থাকবে। থাবে এই নতুন প্রজন্ম।

বিষয়: বিবিধ

১০২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File