বৃটিশ রাজনীতিতে টিউলিপ ..... বংশ, বৃটিশের পো.মা.সারা.
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ২০ জুলাই, ২০১৩, ০২:১২:৫৮ দুপুর
সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিক বৃটিশ লেবার পার্টির মনোনীত প্রার্থী সংবাদটা কয়েকটি পরিবারের ও পত্রিকার জন্য খুশির হলেও জাতির কোন কিছুই না। এবং সে বাংলাদেশের জন্য সংবাদ শিরোনাম ছাড়া কিছুই নয়। আমরা হয়তো অনেকেই খুশি বৃটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের কন্য বৃটিশ পার্লামেন্টে বসবে । কিন্তু প্রশ্ন তিনি আমাদের কে কত টুকু মনে করেন।
১. প্রথমত তিনি বৃটিশ নাগরিক, এবং সে খুব গর্ব করে নাগরিকত্ব নিয়ে প্রথমেই বলেছেন আমি একজন বৃটিশ, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি। রাজনীতির সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পৃক্ততা ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি আমাকে আকৃষ্ট করেছে।
তার এই উক্তিতে বুঝাযায় অন্য একজন বৃটিশ নাগরিক ও তার মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই।অতএব আমাদেরও খুশি হওয়ার কিছু নেই। এতে একটি পরিবার ছাড়া দেশের জনগন ৩নং বাচ্চার মত লাফা লাফি করা ছাড়া কিছুই নেই।
২. শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক বলেছেন, পরিবারতন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন তিনি। বাংলাদেশে রাজনীতি করলে বলা হতো- ডায়নেস্টি পলিটিক্স, পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে এসেছি। তাই আমি বাংলাদেশী রাজনীতিতে নিজেকে জড়াইনি।
২নং উক্তিতে তিনি যা বলেছেন এটা শ্বিকার করা ছাড়া উপায় নেই করণ বৃটিশ রাজনিতীতে পরিবারতন্ত্রর সুযোগ নেই। অতএব উনি বিশ্বাস করলেও কিছু না, না করলেও কিছু না। সবচেয়ে বড় ব্যপার যেটা সেটা হচ্ছে বৃটিশরা যার বড়াই করছে তাকে খুব একটা প্রাধান্য দেয়না। সেখানেও তিনি তার পরিচয় দিয়ে কোন লাভ হতো না। উনি পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাস করেনা বিধায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে জড়ায়নি। এখানে বলা যায় উনি একজন বিচক্ষন রাজনীতিবিদ তাই উনি বুঝতে পেরেছেন এই পরিবারের খানা বেশি দিন এই দেশে থাকবে না বা জনগণ রাখবেনা। বাংলার জনগণ দিন দিন এই পরিবারকে প্রত্যাখ্যান করছে। উনি যদি এতই পরিবারতন্ত্রের উপর অবিশ্বাসী তাহলে বাংলার মাটিতে পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা রাখতে পারতেন। গড়ে তুলতে পারতেন পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন। জনগনকে তার পরিবারদের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা টুকু করতেন। না পারলে তখন তিনি বিদেশে বসে এই উক্তি করাটা শোভা পেতো।
টিউলিপের মা শেখ রেহানা বলেন, আজ আমার খুব আনন্দের দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর আমি লন্ডন এসে এ নির্বাচনী এলাকায় উঠেছিলাম, এখনও এ এলাকায় আছি। এখানে জন্ম নেয়া টিউলিপ এ এলাকার প্রার্থী হয়ে পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। তিনি বলেন, টিউলিপ নিজ যোগ্যতায় এতদূর এসেছে। অমুকের ভাগনি, অমুকের মেয়ে কিছুই না। আপনারা ওর জন্য দোয়া করবেন, যেন নানার (শেখ মুজিবুর রহমান) নাম রাখতে পারে। রাজনীতিতে সবকিছু সামলে নিয়ে, সৎভাবে থেকে টিউলিপ যেন মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারে, মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে, সেজন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চান শেখ রেহানা।
মা সন্তানের জন্য দোয়া চাইবে এটাই স্বাভাবিক- সবচেয়ে মজার ব্যপার হলো শেখ রেহানার আনন্দের দিন তার মেয়ে নিজ যোগ্যতায় বৃটিশদের মধ্যে একটা গ্রহণযোগ্য অবস্থানে পৌছেছেন। বংগবন্ধুর মৃত্যুর পরে তিনি লন্ডনে এসে উঠেছেন, এখনো সেই এলাকায় আছে। সেই এলাকায় তার কন্যা নির্বাচন করবে এটা তার জন্য চরম পাওয়া।কারণ তিনি সেই এলাকার মানুষের জন্য কাজ করবেন। সেই এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে পারে সেই জন্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন। সেই সাথে সহযোগিতাও চেয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কিভাবে সাহাযো করতে পারবে জানিনা। তবে এই পরিবারকে আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে সরকারে বসালে চরম সহযোগীতা করা হবে। তাতে বর্তমানে এই পরিবার লুটপাট করছে, (সংসদে পার্থের বক্তব্য পরিস্কার দেয়া আছে) এই লুটপাট করা টাকা যেন বৃটিশ নাগরীকের সাহযো করতে পারে।
আরো খুশির ব্যপার যে টিউলিপ সম্প্রতি বৃটেনের রোনাল্ড বার্জার স্ট্র্যাটেজি কনসালটেন্টসে পলিসি এডভাইজার হিসেবে কর্মরত শ্বেতাঙ্গ ক্রিশ্চিয়ান জন পার্সি ক্রিসকে বিয়ে করেছেন টিউলিপ।
তার মানে মোটা গাছে নৌকা বেধে ফেলেছেন। অতএব নৌকা হারানোর ভয় নেই।এই নৌকায় একটি পরিবার থাকবে আর কিছু তেলা পাবলিক তেল দিয়ে লাভবান হবে, আর সধারণ জনগন ......... মুড়ি খাবে।
পরিবারের কেউ বৃটিশ নাগরিক, কেউ ভারতের নাগরিক, কেউ আমেরিকান নাগরিক টাকা রোজগার বাংলাদেশে বেশ ভালতো, ভালো না। এরাই বাংলাদেশের জনগণের সেবা করবে। দুখ্: দুর্দশা দেখবে।
জনগন মুট করে বসে থাকবে।
http://press24tv.com/bn/?p=15228
বিষয়: বিবিধ
১৮৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন