রমজানেও আ:লীগ এর কুচক্র ও ষড়যন্ত্রের ফসল আগামী কালের রায়

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ১৪ জুলাই, ২০১৩, ০১:৩৫:৩৫ দুপুর



পবিত্র রমজান মাস এই মাস অন্য মাসগুলোর চেয়ে একটু আলাদা ধর্ম প্রাণ মুসলমানদের জন্য। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ। পবিত্র এই মাসে শুধু মুসলমানরাই না বিধর্মীরা রমজান সুফল পেতে চায়। রমজানের শুরুতে প্রকৃতিও সাড়া দিয়েছে তাই হঠাৎ প্রচন্ড গরম থেকে আল্লাহর রহমতে আবহওয়ারও পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছে। কিন্তু শয়তান কখনও চায়না মানুষ শান্তিতে থাকুক। তাই কিছু মানুষরূপী শয়তান শান্ত দেশটাকে অশান্ত করতে ব্যস্তহয়ে পড়েছে। আমরা অনেক বয়ানে শুনেছি রমজান মাসে শয়তান বন্দি থকে । কিন্তু প্রশ্ন আসতে পারে শয়তান বন্দি থাকলে কিভাবে মানুষরূপী শয়তান কিভাবে ষড়যন্ত্র করছে। যার কারণে একটি গল্প না লিখে পারছি না।

এক মাঠে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি শান্ত ভাবে বসে গল্প করছে। ঠিক ঐ সময় শয়তানের খারাপ লাগলো তাই চুপ না থেকে চিন্তুা করল একটু শয়তানি করে আস। শয়তান তো। উপায় না পেয়ে ঘোড়ার রূপ ধারন করে মাঠে নামলো । রাজনৈতিক ব্যক্তিগুলো ঘোড়া দেখে খুব খুশি। সব উঠে কেউ পিঠে, কেউ কাধেঁ যে যেখানে পারছে উঠে পরেছে। সকলেই যেভাবে পারছে উঠেছে কিন্তু ব্যক্তিদের মধ্যে জ্যোষ্ঠ নেতার জায়গা নেই । এখন সবাই চিন্তায় পড়ে গেছে ওনাকে কোথায় বসাবে। উনি বসা থেকে উঠে এসে বল্ল তোমরা আমার বসার জায়গা নিয়ে চিন্তা করো না । এই বলে একটা বাঁশ এনে ঘোড়ার মলধার থেকে ঢুকিয়ে দিলো।

শয়তান আর সহ্য করতে পারলো না।

শয়তান বলল ওরে বাবা আমি কোথায় আসলাম এরা তো আমার চেয়ে বড় শয়তান। শয়তান নিজের স্থানে চলে গেল।

তাই শয়তান কিছু শয়তান আ:লীগের ভেতর ঠুকেছে যাদের জন্য শয়তান বন্দি কেনও মারা গেলেও এরা শয়তানকে হারমানাতে পারবে। এই আস্তা শয়তানের আছে এদের উপর।

যাই হোক প্রসঙ্গে আসি-

রমজান মাস শান্তির মাস রহমতের, মাগফেরাত, নাজাতের মাস। মানুষ একটু স্বস্তিতে থাকলেও আ:লীগের কয়েক জন নেতার ব্যাপারটা ভাল লাগছেনা। অন্য দিকে সিটি নির্বাচনগুলোতে চরম পরাজয় হয়ে মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। সরকার গেছে পাগল হইয়া রায় চায় রায়।

আ:লীগ নিজেদের অহিংস, অসম্প্রদায়িক, গনতান্ত্রিক দল হিসেবে দাবি করে।

যার কারণে তারা বিএনপির ইফতার পার্টিতে যোগদানের ব্যপারে কত খেলা দেখালো অবশেষে হিংসার কারনে যেতে পারলো না। কারণ ছিল জামাতের নেতারা ছিল তাই। আমার প্রশ্ন জামাত নেতারা কি ভিন গ্রহের মানুষ, জামাত কি নিষিদ্ধ দল, জামাত কি রোজা নামাজের বিরুদ্ধে তাহলে কেন জামাতের জন্য ইফতার পার্টিতে যাবে না। নাকি লজ্জায় গেলো না। সৈয়দ আশরাফ সাহেবের পদত্যাগের গুজোব উঠিয়ে জনদৃষ্টি অন্য দিকে নেয়ার চেষ্টা শুধু ইফতারে না যাওয়ার ব্যাপারটা ঢেকে ফেলার জন্য। যাই হোক কোথায় যাবে না যাবে এটা তাদের ব্যপার।

কিন্তু সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলতে জামাত শিবিরকে হেয় করার জন্য উত্তপ্ত করার জন্য কুচক্রি আ:লীগ কয়েকটি দিন অপেক্ষা করতে পারলো না। তাই গোলাম আজমের বিতর্কিত মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় এই রোজার মাসেই বেছে নিয়েছে। আ:লীগ ১০০ ভাগ নিশ্চিত যে এই রায়ের ফলে জামাত-শিবির মাঠে নামবে হয়তো তাদের প্রিয় নেতার রায়ের কারণে ভাংচুর, হরতাল, সহ বিভিন্ন কর্মসুচি নিতে পারে। এত করে মিডিয়া লীগ (যেমন- বিটিভি, ৭১, সময়, মোহনা, মাই ইত্যাদি) টিভি ঢালাও ভাবে নিউজ কভারেজ দিয়ে জনগনের কাছে হেয় করার অপকৌশল মাথায় নিয়েছে। এই রায় কি হবে সেটা আ:লীগের নেতার বাদে সকলেই জানে। জামাত শিবির কি করবে এটা আ:লীগ নেতারা জানে। তাই আগামী কল থাকবে না তেমন কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা । অতএব জামাত-শিবির যা ইচ্ছে তাই করতে পারবে।

আ:লীগের কুচক্র, ষড়যন্ত্র জামাতের দাবী আদায় আর সাধারন জনগনের ভোগান্তি সব মিলিয়ে রামজান মাসটাতেও আমরা শান্তি আশা করতে পারি না। শুধু মাত্র কয়েকজন শয়তান রূপী নেতার অসৎ চিন্তা ভাবনা থেকে। আমরা কবে মুক্তি পাব তাও জানি। আমরা সাধারণ মানুষ মুক্তি চাই।

http://press24tv.com/bn/?p=14414

বিষয়: বিবিধ

১২৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File