৪ ফেব্রম্নঃ জামাতের সমাবেশ, মিছিল ও ৫ ফেব্রম্নঃ মানবতা অপরাধের বিচারের রায় প্রসঙ্গে কে কি পেল
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০২:০৯:০৭ দুপুর
৪ ফেব্রম্নঃ জামাতের সমাবেশ, মিছিল ও ৫ ফেব্রম্নঃ মানবতা অপরাধের বিচারের রায় প্রসঙ্গে
যেখানে বার বার জামাত শিবির রাজধানিতে মিছিল মিটিং সমাবেশ করার অনুমতি তো দূরের কথা পরিচয় দিতে অলিখিত নিষিদ্ধ ছিল, ডিএমপি কমিশনার বলেছিলেন শিবির দেখা মাত্র গুলি করতে, পা ভেঙ্গে দিতে সেখানে এক রাতে কিভাবে এত বড় সমাবেশ করার অনুমতি পেল। অনুমতি পেল খুলনা, অনুমতি পেল চিটাগং। এই অনুমতিতে অনেক ধরনের ইঙ্গিত বহন করছে বলে মনে হয়।
পুলিশের টার্গেটঃ জামাত শিবিরের নেতারা গ্রেফতার হতে হতে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত নেতাদের অনেকেই পুলিশ বাহিনী চিনে না। এই সমাবেশের মাধ্যেমে পুলিশ তাদের নেতাদের চিনতে সুবিধা হয়েছে। শিবিরের রাজধানিতে ঘাটি অনুসন্ধান করতে সহজ হবে। তাই এই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
আওয়ামীলীগঃ
আওয়ামীলিগ দেখতে চেয়েছিল জামাত শিবির কত লোকের সমাগম ঘটাতে পারে। তাতে আওয়ামীলীগ কর্মিরা বড় কোন অঘটন ঘটালে সামাল দিতে পারবে কিনা। ছাত্রলীগ, যুবলীগ দিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে কিনা। নাকি গুম বাহিনী নামাতে হবে।
বিএনপিঃ
বিএনপির সর্বকালের সেরা ভিতু রাজনীতি বিদ কেন্দ্রীয় নেতা বিরোধিদলের চিপ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারম্নক এক বিবৃতিতে বলেছেন সরকার শিবির ঢেকাতে পারছে না, আরো চাপা মেরেছিল বিএনপি নামলে সরকার থাকবে না। এখানে বিএনপি দেখেছেন তারা জামাতের সঙ্গে থাকবে কি না। বিএনপি দূনিতীর জন্য সেরা কিন' রাজপথে আন্দোলন করার শক্তি তাদের নেই। তাই জামাতদিয়ে তুরম্নপের তাস বানাতে চাইছে জামাত শিবিরকে। সেটা হবে দেখে নিল জামাতের এই শোডাউনের পর বিএনপি আর জামাতকে ছাড়বে না।
জামাত:
জামাত অবশ্য তাদের শক্তি দেখিয়ে দিতে সড়্গম হয়েছে। এই সুযোগে তারা দলকে গুছিয়ে নিল। নেতা কর্মিদের দায়িত্ব বনটন করতে কোন বেগ পেতে হলো না। তারা এটাও বুজালো যে তারা আন্দোলন করতে পারে। এবং কিভাবে একটি সফল আন্দোলন করতে হয়ে দেখিয়ে দিল ৫ ফেব্রম্নয়ারির হরতালে। তারা মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় তাদের পড়্গে নিয়ে নিতে সড়্গম হয়েছে।
সাধারণ জনগন:
আমারা যারা সাধারণ জনগন আছি তাদের জনজীবন বিপর্যসত্ম, উত্তরায় পিতার চোখের সামনে সনত্মানের পুড়ে মতে হলো, ড়্গতি হলো দেশের কোটি কোটি টাকা যার প্রভাব জনগনের উপর পরবে। জনগন একটি মুল্যবান জিনিষ পেলে সেটা হচ্ছে পড়্গে বিপড়্গে কথাকাটা কাটি করে সময় কাটানো সুযোগ।
বর্হিবিশ্বঃ
আমেরিকা সহ প্রত্যেকটি দেশ আমাদের এই কামরা কামরি দেখে হাত তালি দিচ্ছে। আমাদের দেশের নেতা দের তারা বানর মনে করছে। কারণ তারা দেখছে আমরা যেভাবে নাচাই বাংলাদেশের নেতারা সেভাবেই নাচে। দুদেশ আমাদের বড় দুই দলকে নিয়ে নিয়েছে। আমেরিকা -বিএনপি, ভারত -আওয়ামীলিগ, পাকিসত্মান -জামাত, এরশাদ কাকার তো বেইল নাই । যদিও বর্তমানে ভারত নাচা নাচিতে এগিয়ে। তবে আমেরিকা এলইডি টেলিভিশন রেডি করছে তাদের নাচা নাচি দেখানোর জন্য তাই তো ছোট একটা ফু দিয়েছে। জাতিসংঘ এরই মধ্যে মানবতা অপরাধ ট্রাইবুনালকে অনেকটা নাকচ করেছে।
সর্বশেষ যে যাই করম্নক জামাত শিবির নিষিদ্ধ হোক নাই হোক, সরকারে যেই যাক আমরা সাধারণ জনগন মুক্তি পাচ্ছি না। কেউ আমাদের পাশে আসবে কিনা জানি না। কোন গায়েবি রহমতের অপেড়্গায় থাকলাম।
ধন্যবাদ সবাইকে
বিষয়: রাজনীতি
১১১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন