মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে দু’টি গল্প
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ১৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:৪১:১৮ বিকাল
এক দেশে ছিল এক রাজা, রাজা ছিল জনগনের খুবই প্রিয় ব্যক্তি কিন্তু ক্ষমতা পেয়ে তিনি মহা খুশি, যা চেয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়ে গেছে। এই অহংকারে দিশেহারা । কিন্তু তার আশে পাশে মন্ত্রিসভা সহ খুব কাছের সকলেই ছিল চোর । এই চোরেদের সাথে মিশতে মিশতে রাজাও হয়ে গেলেন চোর এলো ক্ষমতা হারাবার ভয়। শুর“ করে দিলেন অন্যায় অত্যাচার , হুম-হত্যা সহ বিশেষ বাহিনী। তিনি একদিন খুব ক্ষোভে বলেও ফেললেন আমার পাশে সব চোর আমি চোরের নেতা। রাজার অনেক গুলো ছেলে মেয়ে ছিল। ছেলেদের নারী নির্যাতন সহ অনেক অপকর্মে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে গেলো। অতিষ্ট হয়েগিয়েছিল নিজে কাছের অনেকেও। জনপ্রিয়তা চলে এলো শুন্যের কোঠায়। এই ক্ষোভেই একদিন ভয়াবহ হয়ে ধ্বংস করে দিল তার রাজত্ব, মেরে ফেললো সকলকে ওই দেশের জনগন। এই অত্যাচারী রাজার মৃত্যুতে মানুষ আনন্দ করল মিষ্টি খেয়ে । কিন্তু ভাগ্যর নির্মম পরিহাষ ঐদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য তারই উত্তারিধারী এক কন্য বেঁচে ছিলেন। কয়েক বছর বলে ঐ কন্যা মরিয়া হয়ে গেলো বাবার হারানো রাজত্ব ফিরিয়ে আনার জন্য। এই কন্যা এলো বহুরূপি হয়ে তিনি ছিল ভয়ংকর মিথ্যাবাদী, মিষ্টিভাষী মরিয়া হয়ে গেলো মতার জন্য। তাই তার দুহাত জনগনের দুই স্থানে রাখা শুর“ করলো। এক হাত রাখলো জনগনের গলায় অন্য হাত রাখলো জনগনের পায়ে। যদি সুযোগ পেত জনগনের গলা চেপে মেরে ফেলতে দ্বিধা করতো না অন্য দিকে রাজত্বের প্রয়োজনে জনগনের পায়ে হাত দিতেও দ্বিধা করতো না। তিনি অভিনয়ে ছিল অত্যাšন্ত পারদর্শী। মুহুর্তেই কেঁদে ফেলতো আবার হাসতেও সময় লাগতো না। তার মিষ্টি ভাষায় ও বহুরূপী আচরণ জনগন না বুঝে বসিয়ে দিলো রাজত্বে । কিন্তু রাজত্বে বসেই বাবার মত চোর দের সাথে মিশে হয়ে উঠলো আরো ভয়ংকর। ভুলে গেলো জনগনকে দেয়া সব প্রতিশ্র“তি । ভুলে গেল ধর্মকর্ম। নিজেকে নমরূদের মত মতাধর মনে করলো। তিনি জনগনকে নিয়ে খেলতে পছন্দ করতো। সম্মানীলোকদের অসম্মান করে আরো মজা পেতো। তাই তিনি রাজ্যর জ্ঞানী-গুনী লোকদের ধরে ধরে অপমানিত করতেন। আর তাকে যে খুব বেশি তেল মেরে কথা বলতো তার জন্য সবকিছু উম্মুক্ত করে দিলো। যে যত খারাপ হতে পারতো সে তত প্রিয় হতো। তিনি নিজ সিদ্ধাšন্তে ছিল অনড়। অত্যাচারে বাবাকেও ছড়িয়ে যেতে শুর“ করছে। বাবার মত তৈরি করলো বিশেষ বাহিনী সেই বাহিনী গুম-হত্যা সব বাবার আমালে সব কুকর্ম। ঠিক এই সময় এক কলম সৈনিক তার কলম দিয়ে জনগনকে বাবার ছলনা মিথ্যা কুকর্ম তুল ধরতে শুর“ করলো ঠিক তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন শুর“ করলো। অসম্মানীত হতে বাদ পরেনি নিজ ভুবনের লোকরাও। ঠিক সেই বাবার আমলের মতই জনগনও দিন দিন ক্ষেপে উঠেছে। কিন্তু ভবিষ্যৎ তো কেউ বলতে পারেনা তবে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিহাসের কথাই বার বার মনে কিরিয়ে দেয়। এটা একটা গল্প।
আশা যাক বর্তমান আমার সোনার দেশ ও দেশের সাংবাদিকতা নিয়ে। সাংবাদিক হচ্ছে গনতন্ত্রের আয়না এমনটাই জানি। বিশ্বে বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠ ইত্যাদি আছে। জাতি বা গোষ্ঠি হিসেবে এক থাকলেও ধর্ম ভিন্ন হতে পারে। ঠিক আমি মনে করি সাংবাদিক বা সাংবাদিকরাও ভিন্ন মতাদর্শের হতে পারে কিন্তু একটা পরিচয় তাদের এক থাকা উচিত সেটা হচ্ছে সাংবাদিক। সৎ, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এবং সাংবাদিক ¯^ার্থে একই থাকা উচিত। এব্যাপারে হয়তো কোন ছাড় হতে পারেনা। কিন্তু আমার সোনার দেশে কি হচ্ছে। একই ঘটনা পাশাপাশি ২ মিডিয়া ২ ধরনের উপস্থাপন করছে। শুধু দুধরনের নয় আকাশ-পাতাল পরিবর্তন থাকে। এতে করে সঠিক সত্য হারিয়ে যাচ্ছে। জনগন যেমন বিভ্রান্তিতে পরছে তেমনি নিজেদের গ্রহন যোগ্যতা ও পবিত্রতাও নষ্ট করে ফেলছে। আমারদেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে একপক্ষ বিক্ষোভ করছে অন্য দিকে কয়েকজন সাংবাদিক দাঁত বের করে হাসতে শুর“ করেছে। কিন্তু এটা যে নিজের বির“দ্ধে নিজে দাঁত বের করে হাসছে বুঝতে পারছেনা। আর একটা গল্প না বললে হয় না-
সেই অত্যাচারি রানী সম্মানি লোক নিয়ে খেলতে ভালবাসে। সেই সাথে জনগন নিয়ে এক সময় এক রকমের কর্মসুচী দিয়ে আনন্দও করে।
একবার তার ইচ্ছে হলো সাংবাদিক নিয়ে একটা খেলা খেলবে। রাজ্যে ঘোষনা দিল সকল সাংবাদিকদের আমার দেশে এমন একটা ফল নিয়ে আসো যে ফলটা আমি কখনও দেখিনি যদি কেউ এমন ফল আনতে পারও তাহলে আমি পুর®কৃত করব আর যদি আমার দেখা ফল আনো তাহলে তাৎনিক সিদ্ধন্ত একটা সাজা দেওয়া হবে। রানীর কথা শুনতে বাধ্য, তো সকল সাংবাদিক টেনশনে পরে গেলো একটা ঐক্যও করলো কি করা যায় এখন কিন্তু রানীর আশপাশের কিছু সাংবাদিক ব্যপারটা নিয়ে চিšন্ত করলো না এবং ঐক্য যাতে না থাকে সেজন্য বিভিন্ন অপকৌশল করে নিধারিত দিনের আগ পর্যšন্তঐক্য টিকিয়ে রাখতে দিলো না। কারন রানীর আশপাশের সাংবাদিকরা জানতো যে রানীতো আমাদের জন্য সব ক্ষমা করে দিবে আমরা তো সবসময় তাকে তেল মালিশ করি। যারা তেল মারে না তাদের একটু শাস্তির ব্যবস্থা করি। এটা ভেবেই ঐক্য টিকে রাখতে দিলো না রানীর পরে সাংবাদিকরা। যাই হোক নির্ধারিত দিন এসে গেলো রাজদরবারে সকল সাংবাদিক উপস্থিত সবাই কোন না কোন ফল নিয়ে এলো। রাজ্যর যে কলম সৈনিক রানীর অপকর্ম তুলে ধরতো সে খুব চিšন্তা করে একটা ছোট ফল (লিচু) নিয়ে গেলো। সাাতের সময় শুর“র আগে সিদ্ধাš— নিলো রানী যে শাস্তি হবে সেটা সাথে সাথেই হবে। আগে থেকে প্রচার করা হলো না। রানী এক কে বসে থাকলো এবং সাথে একজন জল্লাদ নিয়ে নিল আর কেউ থাকবে না। রানীর পরে সাংবাদিকরা পরামর্শ করে ঐ সাংবাদিককে আগে পাঠানোর ব্যবস্থা করলে । প্রথমে ডাক পরলো ঐ সাংবাদিকের, ভেতরে ডুকলো রানী প্রথমেই এই সৎ সাংবাদিককে দেখে খুব খেপে গেলেন।
রানীঃ- কি ফল এনে ছো দেখি।
সাংবাদিকঃ রানী আমি তো খুব ভেবে চিন্তে দেখলাম আপনি হয়তো এই ফলটি দেখেন নি। (লিচুটা বের করে রানীর দিকে এগিয়ে দিল)
রানীঃ ক্ষেপে গেলো, তোমার চিšন্তে এত দুর্বল আমি এই লিচু দেখিনি। রেগে গিয়ে জল্লাদকে ডাক দিয়ে বল রিমান্ডে নিয়ে একে এই লিচু মলদ্বার থেকে ঢুকিয়ে দাও। জল্লাদ হুকুম মোতাবেক সাংবাদিকরে মলদ্বার দিয়ে লিচু ঢুকিয়ে দিল। সৈনিক সাংবাদিক চিৎকার করলো চিৎকার শুনে রানীর ভালো লাগলো। নিজেকে রাজ্যের মতাধর মনে করে মনে খুব ভাল লাগলো। সাংবাদিক আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসলো দরজা থেকে বেরিয়ে হাসতে শুর“ করলো । যেই সাংবাদিকরা ঐক্য বানচাল করেছে তারা কেউ কাঠাল, কেউ তরমুজ, কেউ নারিকেল আনলো । এদের হাতে এই সম¯— বড় ফল দেখে এই সাহসী সাংবাদিক হাসতে লাগলো। পরবর্তী ডাক পরলো রানীর পক্ষের সাংবাদিকের তিনি একটা কাঠাল নিয়ে ডুকলো। রানীর পরে সাংবাদিক হাসতে হাসতে রানীর সামনে গিয়ে হাজির। রানী খুব রাগলেন কি এনে ছো। আপা কাঠাল এই ফলটা আপনি হয়তো দেখেন নি। রানীর মনে ইচ্ছে হলো লিচু ঢুকানোর সময় কতটুকু চিৎকার করেছে কাঠাল ডুকালে তো আরো বেশি চিৎকার করবে। মতার জোরে সে ভুলে গেছে কে তার লোক আর কে অন্যর । মতার দাপটে সে বলল জল্লাদ যাও এই কাঠাল ওর মলদ্বার দিয়ে ঢুকিয়ে দাও। জল্লাদ নিয়ে রওনা হলো রানীর পরে সাংবাদিক বার বার বলতে শুর“ করলো আপা আমি তো আপনার পক্ষের সাংবাদিক আমাকে এই শাস্তি দিয়েন না। ও যখন আকুতি করতে ছিল তখন রানী নিজেকে আরও মতাধর মনে করে জল্লাদকে বল জল্লাদ ওকে শুধু মলদ্বার দিয়ে ডুকাবে না কাঠালটা মলদ্বার দিয়ে ঢুকিয়ে মুখ থেকে বের করে ফেলবে।
রানীর পরে সাংবাদিক যখন বের হলো তখন তার মলদ্বার ও গলা দু দিক থেকে রক্ত বের হতে থাকলো। আর সত্যর পথের সাংবাদিকের শুধু মলদ্বার দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল কেউ দেখেছে কেউ দেখেনি কিন্তু রানীর পরে সাংবাদিকরা যখন বের হলো তখন সকলের দু’দিক থেকে রক্ত বের হতে দেখা গেলো। এবং সকলে পরবর্তীতে ঐক্য করার চেষ্টা করলো কিন্তু ততনে অনেক সাংবাদিকই রানীর অত্যাচারে মারা গেলো।
বন্ধুরা গল্পটা এই জন্য বললাম আজ যে সাংবাদিকরা মাহমুদুর রহমানের কষ্ট দেখে দাঁত বের করে হাসছে তারা বুঝতে পারছে না মতার দাপটে যখন কাউকে চিনবে না তখন তেল কেন, আরো তৈলাক্ত কিছু দিলেও মাফ হবে না। তখন দুদিক থেকেই রক্ত বের হবে। তাই দয়া করে সাংবাদিক ভাইদের বলব দয়া করে আপনারা এক পতাকা তলে আসুন, বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন কর“ন, কারো গোলামি করে হাজার বছর না বেঁচে বীরের মত একদিন বেঁচে থাকুন তা নাহলে এই পবিত্র পেশাকে কলংকিত করবেন না। মুদি দোকান দিয়ে খাঁটি তেলের ব্যবসা কর“ন । জাতিকে মুক্তি দিন।
আমার দুটি গল্প যদি কারো আতেঁ লাগে দয়া করে ভিন্ন ভাবে না নিয়ে সংশোধন করার চেষ্টা কর“ন।
ধন্যবাদ সকলকে
বিষয়: বিবিধ
১৩০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন