দাদা হেফাজত দাবি আদায়ে নাতিদের লাগবে

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ০৮ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:৫১:০৮ সকাল

হেফাজতে ইসলামের ডাকে লাখ লাখ মানুষ নেমে এসেছে , অনেকে শহিদ হওয়ার প্রস'তি নিয়েও এসেছিল। কিন' হেফাজতের কর্মসূচী ঘোষনা করার পরে অনেক সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। হেফাজতের কর্মসূচী হচ্ছে সেই দাদার আমলের কর্মসুচী । বাংলার মানুষ এখনও এত অভদ্র হয় নি যে কোন মুরব্বি ডাকলে আসবে না, কিন' অতটুকু ভদ্র যে তারা মুরব্বিদের কথা এক কান দিয়ে ডুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে দেয়। কিছু বৃদ্ধামনভাবাপন্ন কেউ হয় তো গ্রহন করে কিনত্মু তারও কর্ম দেখায় অনেক কম। কারণ মন থেকে মানতে পারে না। ৬ এপ্রিল লাংমার্চের সমাবেশ থেকে জাগ্রত জনতা যে ভাবে সমর্থন দিয়েছে সেভাবেই কর্মসুচী দিতে হবে। হুমকি দামকিতে এই সরকার ভয় পায় না কারণ এই সরকার হুমকি দামকি কিভাবে দিতে হয় এবং কিভাবে কঠোর থেকে কঠরতর হতে হয় তা তারা যানে। হেফাজতের দৌড় সম্পর্কে সরকার পূর্ন ধারনা নিয়ে নিয়েছে। অতএব এই সরকারের কাছ থেকে কোন দাবী আদায় করতে হলে তাদের চেয়ে শক্তিশালী হতে হবে। দেশের বিরোধীদল গুলো তাদের একটি দাবীও গত ৪ বছরে আদায় করতে পারেনি। পারেনি কোন আন্দোলন চাঙ্গা করতে পারেনি। বরং বিরোধী নেতাদের জেল খাটতে খাটতে দিশেহারা শুধু তাই নয় জীবন দিতে হয়েছে অনেক নেতাকে। জামায়াতে ইসলামের যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামীদের বিতকির্ত ট্রাইবুনাল করে খুন করার মত কঠোর কার্যকরার পায়তারা চলছে। মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর মত নেতাকে হয়তো কয়েক দিনের মধ্যে খুন করা হবে। তাতেও কিছু করতে পারবেনা জামায়তে ইসলামের মত বৃহৎ আনত্মর্জাতিক লবিং রাজনৈতিক দল। সেখানে এতো মিষ্টি মিষ্টি কথায় ১৩ দফাতো দূরের কথা ১ দফাও আদায় করা সম্ভব হবে না।

হেফাজতের নেতারা সরাসরি বলেছেন এই সরকার নাসিত্মক সরকার, এই সরকার দ্বিমুখী আচরণ করেছে এই সরকার মুনাফিক সরকার। সবচে’ বড় কথা এই সরকার কোটি কোটি মানুষের সামনে কথা দিয়ে কিছু সময় পর তা অস্বিকার করার রেকর্ডও আছে। তাহলে হেফাজতের গর্জন থেমে গেলো কেন ? মঞ্চে সকাল থেকে যে গজর্ন চলছিল তাতে সাধারন মানুষ সমর্থন করে নিয়ে ছিল।

কিন' এন্টিবায়োটিকের জোড়ে ১০৮ জ্বর ৮০ তে নেমে এসেছে। কোন সমঝোতায় বা কোন আশ্বাসে হেফাজত নমনীয় হয়েছিল। আমরা অনেকটা নিশ্চিত যে হেফাজত টাকা খেয়ে নমনীয় হয়নি। কিন' সরকারের কাছ থেকে এমন একটি আশ্বাস পেয়েছে যেটার জন্য তারা নমনীয় হয়েছে।

নাসিত্মক, মুনাফিকদের সাথে কিসের আপোষ, কিসের গোপন সংলাপ কারণ আপনারা নিজেরাই ঘোষনা দিয়েছেন এই সরকার নাসিত্মক সরকার, মুনাফেক সরকার।

নাসিত্মক, মুনাফিকদের সাথে যদি ইসলাম কখনো গোপন চুক্তি করে তাহলে যুগে যুগে নবী রাসুলদের যুদ্ধ করতে হতো না। কোন সাহাবীদের শহীদও হতে হতো না। জন্ম হতো না লাদেনের। ইসলামী ইতিহাসে নবী রাসুলরা যেমন নমনীয় ছিল তেমনি ইসলামের পতাকার জন্য ছিল তারো অধিক কঠোর।

এখন সরকার হেফাজতের মূল ইস্যুগুলো বাদ দিয়ে দেশের নারীদের পড়্গে নেওয়ার জন্য মিডিয়া দিয়ে হেফাজতের বিরম্নদ্ধে ১৩ দফার শেষের দিকের দু’একটা প্রচার করছে যে গুলো প্রচারে নারীরা হেফাজতকে দূরে নিতে পারবে।

যাইহোক, মুলপ্রসঙ্গ হেফাজত ও দাবী আদায়, হেফাজতে ইসলামের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ অনেকটা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে যে হেফাজতে ইসলামও গোপন সমঝোতায় বিশ্বাসী। তাই হেফাজতে ইসলামের পড়্গ থেকে অনেকই মুখ ফিরিয়ে নিয়েচ্ছে। আমি অনেকটা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি হেফাজতে ইসলাম যদি আবার লংমার্চের ডাক দেয় সেখানে ৬ এপ্রিলের জনসমাগমের অর্ধেক হাজির করতে পারবে না।

হেফাজতে ইলামের মুল নেতৃত্বে রয়েছে দাদারা (মুরব্বিরা) এই একুশ শতকে দাদারের বৃদ্ধামনোভাবে কোন দাবি আদায় সম্ভব না কারণ সরকারের মূল নেতারাই ইসলাম বিরোধী। সরকার শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশের সংবিধান থেকে সুরঞ্জিত দাদাদের পরামর্শানুযায়ি আলস্নাহর উপর পুর্ন আসত্মা ও বিশ্বাস উঠিয়ে দিয়েছে। এবং তা বাংলাদেশের ধর্মপ্রান মুসলমানকে হজমও করিয়েছে। তাহলে কিভাবে এই সরকারের কাছ থেকে এই দাবি আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব। নিশ্চয়ই শক্ত থেকে আরো শক্ত অবস'ানে আসতে হবে।

এই সরকারকে ড়্গমতার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই কারন এই সরকার ৯০ ভাগ নিশ্চিত যে তারা আরো পাঁচ বছর সরকার গঠন করবে।

হেফাজতে ইসলামের দাদাদের (বৃদ্ধাদের) নেতৃত্ব ছেড়ে জিহাদী মনভাবাপন্ন (নাতিদের) যুব হেফাজতের হাতে দাবী আদায়ের নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে পারলে বিজয় সম্ভব তা নাহলে মিনি মিনি করে যুদ্ধে জয়লাভ সম্ভব না।

ধন্যবাদ সকলকে

বিষয়: রাজনীতি

১১৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File