গর্জনের চেয়ে বর্ষন কম হয়। হেফাজতে ইসলাম আমার ও লাখ মুসলিমের মনে আঘাত দিয়েছে
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তপাতা ০৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:৪০:০৩ দুপুর
হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিল লংমার্চকে নিয়ে মুসলিম জনতা একাত্মতা প্রকাশ করেছে তার প্রতিফলন ৬ এপ্রিল এদেশের মুসলিম জনতা দেখিয়ে দিয়েছে। একটি অরাজনৈকিত দল হেফাজতে ইসলাম। প্রিয় নবী (স ও ইসলাম নিয়ে জঘন্য কটুক্তি করার প্রতিবাদি হিসেবে হেফাজতে ইসলামের মাধ্যেমে ইসলামের বিরম্নদ্ধে নাসিত্মকদের কঠোর শাসিত্মর জন্য একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এখানে কোন দলমত ছিল না সর্ব সাধারন সকলে মিলিত হয়েছে। ইসলাম বিরোধিরা সব সময়ই বিরোধি ছিল এখনও আছে। দেশের মানুষ সব রাজনৈতিক দল গুলোকে একই ধারার মনে করে হেফাজতে ইসলামের ডাকে সাড়া দিয়েছে। জমায়েত হয়েছে লাখ লাখ ধর্মপ্রান মুসলমান।
হেফাজতে ইসলামের লংমার্চের ডাক যেদিন থেকে দিয়েছে সেদিন থেকে ৬ এপ্রিল দুপুর পর্যনত্ম লাখ ইসলাম প্রিয় যুব সমাজ থেকে ইসলামী জনতা নাসিত্মকদের বিশেষ করে শাহবাগিদের বিরম্নদ্ধে আরো কঠর কর্মসূচি আশা করে ছিল। শাহবাগিদের বিরম্নদ্ধে এই জন্য যে ৬এপ্রিল লংমার্চের ডাক দেয়া শুরম্ন থেকে শাহবাগিরা হেফাজতে ইসলামের বিরম্নদ্ধে সরাসরি অবস'ান করেছে। সেই সাথে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ প্রতিহত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচিও দেয়, শুধু তাই নয় শাহবাগিরা অনেকটা বাসত্মবায়নও করেছে। বিভিন্ন ভাবে বাধা দিয়েছে, মারধর করেছে, বন্ধ করে দিয়েছে বাস চলাচল। আর এতে সাহায্যে করেছে সরাসরি সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় হেফাজতে ইসলামের লংমার্চের ডাক থেকে শুরম্ন করে লংমার্চে ১৩ দফা দাবির আদায়ের কর্মসূচি ঘোষনার আগ পর্যনত্ম হেফাজতে ইসলামের, ইসলামের পড়্গে কঠোর অবস'ানকে সমর্থন দিয়েছে ইসলাম প্রিয় জনতা। কিন' হঠাৎ করে কেন হেফাজতের এই কঠোর থেকে নমনীয়তা এসে গেছে সেজন্য অনেক ধর্মপ্রিয় জনতা হতাশ হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের কি এতদিন শুধু গর্জনই ছিল না কি একটা শোডাউন দিয়ে সরকারকে ভয় দেখাতে চেয়েছে। নাকি একবার সুযোগ দিয়ে দেখেছে হেফাজতে ইসলামের মুরব্বিরা।
এতে সরকারও দুপুর পর্যনত্ম ভয়ে ছিল কিন' যখন হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচি ঘোষনা করা হলো তখন হাফ ছেড়ে বেচেঁছে সরকার। সরকারও দেখতে চেয়েছে হেফাজতে ইসলামের গজর্নটা কতটুকু। হেফাজতে ইসলামের গর্জন সম্পর্কে সরকারের ধারনা হয়ে গেছে। তাই পরবর্তী পদড়্গেপ সরকার সেই ভাবেই নেবে। এই সরকারকে মুনাফিকি সরকার ও নাসিত্মকদের সরকার বলে আখ্যা দিয়েও কেন নমনিও হয়ে গেলো হেফাজতে ইসলমা বোঝা কষ্টোকর। তবে আওয়ামীলীগের কোন আশ্বাসে নমনিও হয়ে থাকে তাহেল এটা একটা ভুল সিদ্ধানত্ম। যদি একটা সুযোগ দিয়েও থাকে তাহলে সেটাও একটা ভুল সিদ্ধানত্ম করণ বর্তমান সরকার এই সুযোগ হেফাজতে ইসলামকে আর কোন ভাবেই দিবে না। শুধু সরকার না ধর্ম প্রান মুসলিম জনগনও হেফাজতে ইসলামের ডাকে আর সাড়া দিবে না। কারণ একটাই হেফাজতে ইসলাম গর্জনই বেশি বর্ষ অনেক কম। হেফাজতের উপর অনেকের আসত্মাও অনেকটা কমে গেছে। সাধারণ জনগনও বুঝতে পেরেছে যে ৮তারিখ যে হরতালের আহ্ববান করা হয়েছে সেটাও উপসি'ত জনতার প্রতিবাদে তা নাহলে এটাও হতো না। ইতিমধ্যে সরকারের অনেক পড়্গ থেকে বলাহয়েছে হেফাজতে ইসলামের এই দাবি মানর মত নয়।
অনেক আগে টিভিতে একটা সিরিয়াল দেখতাম “ এরাবিয়ান নাইটস’ বা ‘সিন্দাবাদ’এই সিরিয়ালে পর্বে পর পর্ব শুধু হুমকি দামকি দিতে থাকতো কিন' মুল কাহিনীতে দেখা গেলো শয়তানের আর প্রতিবাদির দেখাই হয় না। কাহিনী অন্য দিকে ঘুরে যায় মুল কাহিনী হারিয়ে যায়। সর্বশেষ শানত্মনা আলস্নাহ যা করে ভালোর জন্যই করেন।
হেফাজতে ইসলাম-গনজাগরণ মঞ্চ-সরকারের কয়েক দিনের কার্যক্রম তুলে ধরা হলো:
‘নাস্তিক’ ব্লগারদের শাস্তির দাবিসহ ১৩ দফা দাবিতে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করে শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে মহাসমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। হরতাল-অবরোধ উপেক্ষা করে সারাদেশ থেকে হেফাজতের লাখো সমর্থক বিকল্প যানবাহন ব্যবহার করে এবং পায়ে হেঁটে ঢাকায় জড়ো হন।
২-এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম
সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেছেন, আগামী ৬ এপ্রিল চট্টগ্রামসহ সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ হবেই হবে। ওই দিন ঢাকা ঘেরাও হবে। আর এ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হলে পরদিন ৭ এপ্রিল থেকে সারা দেশে লাগাতার হরতাল শুরু হবে। পুরো দেশ অচল করে দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাস্তিক উল্লেখ করে হেফাজত নেতা মাওলানা আবদুল মালেক বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নিজে নামাজ পড়েন এবং নিজেকে মুসলমান দাবি করেন। নবীর ওপর বিশ্বাস থাকলে তিনি কেন এখনো নাস্তিকদের শাস্তি দিচ্ছেন না? নাস্তিকদের সহযোগিতা করে প্রধানমন্ত্রী নিজেও নাস্তিক।'
৩-এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম
হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিলের ঢাকামুখী লংমার্চ কর্মসূচিতে বাধা দিলে রাজধানী ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ রাজধানীর লালবাগে ওলামা সম্মেলনে এ হুমকি দেওয়া হয়েছে।
৪-এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম
সরকার সমর্থিত কয়েকটি সংগঠনের’ ডাকা ৬ এপ্রিলের হরতাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে প্রত্যাহার না করলে ৭ এপ্রিল থেকে লাগাতার হরতাল দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমাদ শফি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালবাগ শাহী মসজিদ মাদরাসায় ৬ এপ্রিল ঢাকামুখী লংমার্চ সফলের লক্ষ্যে হেফাজতে ইসলামের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
৪-এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম
‘৬ এপ্রিলের ঢাকামুখী শান্তিপূর্ণ লংমার্চে সারা দেশ থেকে লাখো-কোটি ঈমানদার জনতার সমাবেশ ঘটবে। এ লংমার্চে বাধা দেয়া হলে ছাত্র খেলাফত কর্মীরা বসে থাকবে না। ইতোমধ্যে প্রতি জেলায় ৩১৩ জনের শহীদী কাফেলা প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা স্বেচ্ছায় লংমার্চে আগত জনতাকে সেবা দান করবে। সরকার ও কুচক্রী মহল লংমার্চে বাধা সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেবে।’
৪-এপ্রিল খেলাফত যুব আন্দোলন
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক ডা. ইমরান এইচ সরকারকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত যুব আন্দোলনের নেতারা।
৫-এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম
জুনায়েদ বাবু নগরি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ লংমার্চ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করবে। কিন্তু আমরা দেখছি, এর উল্টোটা ঘটেছে। সরকার বাধা দিয়ে মুনাফেকি আচরণ করছে বলেও অভিযোগ করেন এই হেফাজত নেতা। লংমার্চে যেখানে বাধা আসবে সেখানেই অবস্থান নিয়ে দবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন এই নেতা।
৫ এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম
আলটিমেটামে তিনি বলেন, “অনেক হয়েছে। আর সহ্য করা যাবে না। স্পষ্ট বলে দিতে চাই দুপুর আড়াইটার মধ্যে লংমার্চে যাওয়ার গাড়ি চলতে না দিলে সারাদেশ থেকে চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে। তৌহিদি জনতার এ আন্দোলন দমিয়ে রাখবে এমন সাধ্য কারো নেই।”
৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম
শনিবার সন্ধ্যার আগেই শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন হেফাজত নেতারা। অনুষ্ঠান পরিচালনাকালে হেফাজত নেতা মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব এ দাবি জানান।
গণজাগরণ মঞ্চ
৪ এপ্রিল-গণজাগরণ মঞ্চ
গণজাগরণ মঞ্চ আগামী ৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ প্রতিহত করতে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি দিয়েছে। আজ রাত ৮টার দিকে শাহবাগে মিডিয়া সেলে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
৪ এপ্রিল-চট্টগ্রাম ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি
হেফাজতের লংমার্চ প্রতিরোধ এবং জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল পালনের ঘোষণা দিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলা শাখা। সারা দেশে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ২৭ সংগঠনের হরতাল কর্মসূচি রয়েছে।
৫ এপ্রিল-চট্টগ্রাম ঘাতক দালাল
শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে চট্টগ্রামে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ ২৭টি সংগঠনের ডাকা হরতাল শুরু হয়েছে। পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের লংমার্চকে ঠেকাতে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট মৃত্যুঞ্জয়ী স্কোয়াড অবস্থান করছে চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার সিটি গেটে।
৪ এপ্রিল-সরকার
হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিল ঢাকামুখী লংমার্চ বাধাগ্রস্ত করতে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলোকে এ বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শ্রমিক নির্যাতন এবং গাড়ি ভাংচুরসহ স্থানীয় ইস্যুতে জেলা ও বিভাগগুলোতে পরিবহন ধর্মঘট ডাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
৪ এপ্রিল-সরকার
ফেনী: ছয় এপ্রিল ঢাকা অভিমুখী লংমার্চ উপলক্ষে ফেনী শহরে বৃহস্পতিবার সকালে পূর্বঘোষিত মিছিল করতে করতে পারেনি হেফাজতে ইসলাম। মিছিল ঠেকাতে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে সাত শতাধিক মোটরসাইকেল আটক করে।
৪ এপ্রিল-সরকার
খুলনা থেকে ঢাকার লংমার্চে যাতে কেউ অংশ নিতে না পারে সে জন্য বাস ও রেন্ট-এ কারগুলোতে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তারা এ অভিযোগ করেন।
বিবিসি:
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন হেফাজতে ইসলামীর দাবী অনুযায়ী কোন আইন প্রণয়নের চিন্তা ভাবনা সরকারের মধ্যে নেই। হেফাজতে ইসলামীর এ দাবীকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত’ বলে বর্ণনা করেন তথ্যমন্ত্রী।
বিএনপির সিনিয়র নেতা লে: জে: (অব মাহবুবুর রহমানও বলেন তিনিও এ ধরনের আইনকে সমর্থন করেন না।
তবে এই বিষয়টিতে সরকার ও বিরোধী দলের সাথে একমত হতে পারেননি আরেকজন প্যানেলিষ্ট মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ। তিনি হেফাজতে ইসলামীর দাবীকে সমর্থন করেন। মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ বলেন ব্লাসফেমি আইনের দাবী নজিরবিহীন কোন দাবী নয়।
তিনি বলেন , “ইসলাম অবমাননার যতগুলো রূপের সাথে আমরা পরিচিত, সাম্প্রতিক সময়ে তার চেয়েও মারাত্মক বিষোদগার হয়েছে। এটা একজন মানুষ কল্পনায়ও আনতে পারে না।”
কালেরকন্ঠ
সরকার যেসব দাবি পূরণ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে, তার অন্যতম হলো ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে আইনের সংস্কার, কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি এবং গণজাগরণ মঞ্চ উঠিয়ে দেওয়া বা আরো সংকুচিত করার আশ্বাস। সরকারের পক্ষ থেকে একই সঙ্গে নিরপরাধ গ্রেপ্তারকৃত আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসাছাত্রদের মুক্তিদান এবং মামলা প্রত্যাহার করার আশ্বাসও দিয়েছে। তবে এসবই একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সূত্র জানায়, আলোচনার পর সমঝোতা হওয়ায় তাই সরকার ও আওয়ামী লীগ হেফাজতে ইসলামের ঘোষিত ১৩ দফা দাবি নিয়ে চাপ অনুভব করছে না বরং স্বস্তিতে আছে।
ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম নেতা বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলোর মধ্যে অনেকগুলো পূরণ হয়েছে, বাকিগুলো পূরণের পথে। তাদের অন্যতম দাবি আল্লাহ, রাসুল ও ইসলাম ধর্মের অবমাননার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বিধান রেখে সংসদে আইন পাস করা। এই আইন বলবৎ রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এই আইনের আরো সংস্কার করা হবে।
জানা গেছে, চলতি মাসেই হেফাজতে ইসলামের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হবে। সামনে নির্বাচন, তাই ভোটের রাজনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষুব্ধ না করতেই দাবি মেনে নেওয়ার কৌশল অবলম্বন করেছে সরকারি দল। হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াত যাতে কোনো ফায়দা না নিতে না পারে, সে জন্যে আপাতত এ পথে হাঁটতে চায় আওয়ামী লীগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা জানান, বিএনপি-জামায়াত সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে যাতে বিএনপির ১০ এপ্রিলের মহাসমাবেশ পর্যন্ত লংমার্চ কর্মসূচি টেনে নিয়ে যাওয়া যায়। হেফাজতে ইসলামের মঞ্চে জামায়াতের সংসদ সদস্য শামসুল ইসলাম উপস্থিত থেকে বারবার চেষ্টা করেছেন, এ কর্মসূচি টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তবে সরকারের নানা কৌশলে শেষ পর্যন্ত ঢাকা ছেড়েছে হেফাজতে ইসলাম।
সূত্র জানায়, কর্মসূচি শেষ করে হেফাজতকে নির্বিঘ্নে ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে- আলোচনায় সরকারি দলের এমন শর্ত ছিল। হেফাজতের নেতারা এ শর্ত মেনে নিয়ে সরকারকে এক মাসের সময় দিয়ে আগামী ৫ মে ঢাকা অবরোধের কর্মসূচি দিয়েছে। সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলানিউজ২৪
শনিবার বিকেলে গণজাগরণের পক্ষ থেকে এর মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার এ ঘোষণা দেন।
ইমরান এইচ সরকার ঘোষণায় জানান, ৮ এপ্রিল হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে ওই দিন সারাদেশে পতাকা মিছিল করা হবে।
এর পর দিন ৯ এপ্রিল সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র ধর্মঘট পালন করা হবে। এ ছাড়া জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে ১০ এপ্রিল আইন মন্ত্রণালয়ের সামনে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ বিকেল ৪টায় শাহবাগ গণজাগরণ চত্বরে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে এবং এ দিনের মহাসমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান ডা. ইমরান এইচ সরকার।
শনিবার হেফাজতে ইসলামের লংমার্চের শেষে শাহবাগি আন্দোলনের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার ঘোষণা দেন, ‘শাহবাগ শান্ত হবে হেফাজতে ইসলামের রক্ত দিয়ে।’ ইমরান ইসলামপন্থীদের প্রতিহত করতে সবাইকে গজারি লাঠি হাতে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।
মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশের পর শনিবার গণজাগরণ মঞ্চে এক সমাবেশে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, “শয়তানরা চোখ রাঙায়, যুদ্ধাপরাধীদের আস্ফালন চারপাশে;
“আমাদের আন্দোলনকে নানাভাবে প্রতিহত আর প্রশ্নবিদ্ধ করতে শ্বাপদেরা ফণা তুলে আছে; আর এদিকে সরকার বসে তামাশা দেখছেন।”
গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষে সমন্বয়কারী শরিফ চৌহান তার বক্তব্যে বলেন, ‘হেফাজত ইসলাম আগামী সোমবার দেশব্যাপী যে হরতাল ডেকেছে আমরা চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সেই হরতাল প্রত্যাখান করছি। আমরা সোমবার যোর যার অবস্থান থেকে পাড়া, মহল্লায় মিছিল, সমাবেশ করে হরতাল প্রতিহত করব।’
বন্ধুরা সর্বশেষ ইমরান এইচ সরকারের এত সাহস কি করে হয় হেফাজতে ইসলামের উপসি'ত মুসলমানদের শয়তান বলে আখ্যা দেওয়ার , হেফাজতে রক্ত দিয়ে শাহবাগ শানত্ম হবে। সেই সাথে সরকারকে ও হুমকি দেয়। সরকারের সরাসরি মদদ না থাকলে এত বড় সাহস ইমরানের হতো না।
সরকার দুই দিকেই মন রড়্গার চেষ্টা করছে । অতএব এই সরকার দ্বারা কোন ভাবেই সুন্দর ভাবে দাবি আদায় করা সম্ভব হয় নাই এবং হবেও না। হেফাজতের এই নময়ীতার সিদ্ধানেত্মর কারণে সত্যিকারের দাবি আদায়ের জন্য অনেক যুবককে শহিদ হতে হবে।
আলস্নাহ আমাদের মুক্তি দাও, ইসলামকে রড়্গা করও
ধন্যবাদ সকলকে
বিষয়: বিবিধ
২৩৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন