বাংলাদেশি বনাম বাঙ্গালী,
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল মান্নান মুন্সী ০২ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:০৬:২৯ রাত
একটা অসহনীয় যন্ত্রনা বুকের ভেতর
মাঝে মধ্যেই বিপি হাই মনে হয়
চ্যানেল বদলাই দেখি গণতন্ত্রের গণধোলাই!
এরা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি-
তাই এ রাজাকারদের এই বাংলায়-ঠাই নাই
আচ্ছা এটা বাংলা নাকি বাংলাদেশ ?
মানচিত্রটার একপাশে লিখা দেখি বাংলাদেশ,
তবে ওরা এই বাংলা এই বাংলা বলে কেন ?
এরা এত্তো এলোমেলো বক্তব্য দেয় কেন ?
বাংলাদেশ এই বাংলা হয় কেমন করে ?
আমি বাঙ্গালী আমার ধর্ম কর্ম সংস্কৃতি-
সবই বাংলায় হতে হবে-পাঞ্জাবি পড়া যাবেনা
টুপি পড়া যাবেনা-চলনে বলনে আল্লাহর নাম নেয়া যাবেনা!
পড়লে তবেই বাঙ্গালী জাতীর জাত যাবে,
পহেলা বৈশাখে কাল-বৈশাখিকে নেঁচে গেয়ে ডাকতে হবে
মাখামাখি বেপর্দায় ইলিশ ভাঁজা খেলেই বাঙ্গালী হবে,
নবযৌবনা ছেলেমেয়েরা থ্রিকোয়াটর হাফপেন্ট স্কিনটাইট পেন্ট পড়লেই প্রগতিশীল হবে -
আর এই প্রগতিশীলদের প্রাইবেট টিচার হবেন পরিমল জয়ধরেরা,
ছেলেটা ছোট দাড়ি রেখেছে-মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে-
মাঝে মধ্যে ইসলামি মনিষিদের বই পুষ্তক পড়ে,
আর কোরআন হাদিস অধ্যায়নের অব্যাস করেছে
তাই সে বেক ডেটেড! ক্ষেত প্রকিৃতির ছেলে কথিত হয়!
মেধা তালিকায় সর্বদাই উপরের ধাপে তাতে কি-সে বাঙ্গালী হতে পারেনা,
কারন সে পারেনা অর্ধ নগ্ন- হতে-পারেনা বেহায়া হতে
ইসলাম তাকে সালিনতার চাদরে ঢেকে দিয়েছে,
দিয়েছে কোরআন অনুধাবনের মহা-মহিয়ান হৃদয়,
তাই সে মেপে চলে-মেপে বলে-কৌশলি সত্য কথা,
সে চাইলেও কথিত বাঙ্গালী হতে পারেনা-
পারেনা মিথ্যা দেশপ্রেম দেখাতে,
সে বাংলাদেশি তাই বাংলাতেই স্রষ্টার গান গায়,
বাংলাদেশই তার প্রানের প্রিয় মাতৃভূমি-
যার তরে তার প্রান।
ইন্ডিয়াতেও নাকি বাংলা প্রদেশ আছে-যার বেশির ভাগই ভিন্ন ধর্মে বাংলাবাসী,
ওখানে মুসলিমও আছে যাহারা আবার সংখ্যালগু-মাঝে মধ্যে নোমেন্স লে্ন্ডে পাওয়া যায় !
যারা মিলে মিশেই নাকি ভারত প্রেম নিয়ে বসবাস করে,
এটাই স্বাভাবিক ওদের প্রথম পরিচয় ওরা হিন্দি তারপর বাংগালি টেলেগু মালাইয়ালাম টামিল-
তাদের মধ্যে রাজনিতির হানাহানি নেই-
আছে গণতন্ত্রের মিল,
আর আমরা কাগজে কলমে মানচিত্রে বাংলাদেশি হয়েও-
জয়বাংলা আমদানি করা স্লোগান নিয়ে আত্মতুষ্ট!
হায় কি বিচিত্র এ দেশ-আর তাদের দেশপ্রেম-
যাহা বাংলাদেশিদের হৃদয়ে বিদ্রোহের আগুন ধরায়-
আর তাতে বাঙ্গালীরা উলুধ্বনি দেয়।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৯ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুশিক্ষা ও নৈতিকতার চর্চা মানব সমাজের দুটি ইতিবাচক উপাদান, এর বিপরীতে কুশিক্ষা, অনৈতিকতা, দূর্নীতির অবাধ প্রসারে সাধারণ মানুষ ভুলে গেছে তাদের কল্যানমূখী প্রকৃত সংষ্কৃতি। ফলে কুজনেরা তৈরী করছে অকল্যানমূখী অবাস্তব অপসংষ্কৃতি। সুস্থ্য সংষ্কৃতির স্বাভাবিক চর্চা আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরেই অনুপস্থিত। আমরা বিজাতীয় সংষ্কৃতির অন্ধ-অনুকরণ বা কখোনো বিকৃত অনুকরণ করা শিখেছি আর আমাদের নিজস্ব সংষ্কৃতিকে ঘৃনা করেছি কখোনো অপ-ধর্মের নামে, কখোনো নষ্ট-রাজনীতির নামে কিন্তু আপন সংষ্কৃতির উন্নয়নে চেষ্টা করিনাই। চেষ্টা করবোই বা কিভাবে দূর্নীতি আর সৎ-উন্নয়ন কখনো এক সাথে হয় না।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন