অন্তর দহন...
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল মান্নান মুন্সী ২১ মার্চ, ২০১৪, ০৮:০২:০৬ রাত
তোমাকে আমার ভালো লেগে ছিলো
যে ভালো লাগার মোহ্ আজো কাটেনি
যার স্বাদ আজো পাই একাকিত্বে
তোমায় দেখি বহুদুর থেকে-অন্তর নয়নে
সেই পুরনো সদ্য যৌবনা এক কিশোরী
যার ভালোবাসার স্পর্শ আজো দূল খায়-
হৃদয় বসন্তের কিনারায়-সাদা কাশফুল হয়ে,
আমি জেগে উঠি স্বপ্নভরা উদ্দিপনায়
নতুন বসন্তে সাজাবো-জীবনের প্রতিধাপ,
স্বপ্ন সুন্দরী তাই স্বপ্নেই করো আনাগোনা
যার চরন ধ্বনি আজো কানে বাঁজে !
আজো সুনি-সেই চাঁপা-কন্ঠের কাঁপা কথা
পথ চেয়ে থাকবো হে প্রিয়-বহুকাল...
নীয়তি বাঁজিয়ে দিলো-তাহার বিদায় ঘন্টা !
সে চলে গেলো-বাঁধা হাত পায়ে
ভিন্ন কোন গাঁয়ে-যাহা আজো অচেনা
বসন্ত উজার হলো তীব্র খড়ায় !
নীয়তির সাজা এতো যন্ত্রনার-জানা ছিলোনা
যাহা আজো দহে দিবানিশি-অন্তর পুড়ে
তাহার তরে ভালোবাসা তবু ফুরায় না।
বিষয়: বিবিধ
১২৮০ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যে ভালো লাগার মোহ্ আজো কাটেনি
যার স্বাদ আজো পাই একাকিত্বে
তোমায় দেখি বহুদুর থেকে-অন্তর নয়নে
অনেকদিন পর আপনার কবিতা পেলাম।
অসাধারন মন্তব্যের মধ্য দিয়ে...আপনাকে সালাম।
কিন্তু আমরা যারা কবিতা লিখার চেষ্টা করি তাহারা মানবতার হক আদায় করতে পারছিনা আই এম সরি বেরি সরি তাইতো মজুমদার ভাই আমাকে বাঁশ দিয়েছে....
*******************************
মানুষের বিভৎষ্য চেহারায় এত্তো বিনোদন-
কেউ কোন দিন দেখেনি !
প্রতিশোধ স্পৃহা সফলতার দ্বার প্রান্তে,
বেদনা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ফুর্তির কাতুকুতু-
আফসোস শিক্ষিত শেয়ালগুলো বুঝতে পারেনি !
মনের ভেতর আত্মতুষ্টি বাবা সফল হচ্ছি,
চোখে গ্লিসারিনের কাঁন্না ঘরে প্রিয় রান্না-
কেউ খায়নি এত্তো ক্ষূদা নিয়ে !
ক্ষমতার মেলেরিয়ারা ঝুট বেঁধেছে রক্ত খাবে,
জীবন বাঁজির পণ করেছে সর্বনাসিবে-
রক্তস্রোতে গাঁ ভাসাঁবে দিনে দুপুরে...
আজ বড় প্রয়োজন এমন কবির
যারা মানুষের আত্ম চীতকার নিয়ে লিখবে।
বড় প্রয়োজন আজ সে কবির
যে চোখ বেধে মেরে ফেলা
মৃত মানুষদের কথা লিখবে।
লিখবে সুবিধা বন্ঞিত
খোলা আকাশের নীচে
জেলে বন্দী মানুষগুলো নিয়ে।
যে কলমে নজরুল
প্রেমের গান গাইতো
সে কলমেই বিদ্রোহ করেছে।
আজ সে কবিতার
বিদ্রোহী কবির প্রয়োজন।
কবি হে, তুমি কি লিখবে
সে আহতদের কথা?
তাহলে আজই শুরু হোক..
ধন্যবাদ।
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল মান্নান মুন্সী ০৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:১৮:৫৭ রাত
<< আগের পোস্ট পরের পোস্ট >>
কবিতা আজ বিদ্রোহী-রক্তচক্ষ্যু দেখায়
নিরবতায় কেঁপে উঠে কবিতার হৃদয়
নিঃশব্দ চিৎকারে বলে হে ভীরু কবি
তুমি কবিত্বের সমাজে কলঙ্ক তিলক্,
মানবতার অবমাননার নিরব দর্শক
তোমায় ধ্বিক্কার হে পদলেহি কবি
কবিতায় তোমার চাটুকারিতার চাতুর্য্য
তুমি পদলেহন কর মানবতা বিরোধীর,
মানবতার গলাটিপে দাও শব্দের চাতুর্যে
তোমায় ধ্বিক্কার হে কবি শব্দচোরা
শব্দে শব্দে রচ মিথ্যার কথামালা
বিসর্যন দাও আত্মসম্মান হীন স্বার্থে,
কবি ধ্বিক্কার তোমায় ঘৃণার বর্ণমালায়
ধ্বিক্কার মজলুমের আর্তচিৎকারে-অভিসাপে
তুমি সময়ের নিরব খলনায়ক
বর্তমানের ভীরুতায় নিক্ষিপ্ত-
তুমি আস্তাকুড়েড় কিট্।
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল মান্নান মুন্সী ২৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:২৮:২৬ রাত
<< আগের পোস্ট পরের পোস্ট >>
আমার ইচ্ছে করছে উল্টা পায়ে হাটতে,
বাঙ্গালী জাতীর জন্য লাল মরিচ বাটতে।
এত্তো হজম শক্তি জাতী কোথায় পায় ?
যাহাই পায় অন্ধ চোখে গোগ্রাসে খায় !
তাই ভাবছি লাল মরিচ বাটা খাওয়াবো,
রক্ত আমাশয় সহ জাতীর ডায়েরিয়া করাবো।
দেখি কত্তো দৌড়াইবার পারে ছোট ঘরে,
শুধু ভয় না জানি জাতী-ছোট ঘরেই বসবাস শুরু করে।
হায়রে এডজাস্টম্যান্ট আজব সহশীলতা,
পাছায় লাগার পরও কি অসাধারন ভদ্রতা ?
বুঝাই যায় জাতীরে পাইছে নাড়কাটা ভুতে,
এ ভুত তাড়াবার কবিরাজ আজ দুধে ভাতে।
বগলের তলে বসে বন্দনার গীত গায়,
জয়হো মহারাজ-জয়তু বিনা দ্বিধায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন