ধর্ষনের পর মেয়েদের দুই-আঙ্গুল টেষ্টটি বাতিল করা হোক
লিখেছেন লিখেছেন তমাল ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:৫৩:১২ রাত
ধর্ষণ মামলায় ‘টু-ফিংগার টেস্ট’ নামক ফরেনসিক পরীক্ষার শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের নিপীড়িত নারীরা। এ পরীক্ষায় চিকিৎসকরা ধর্ষণের শিকার নারীর যোণীপথে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে দেখেন যে, তিনি কুমারি কিনা।
মনে করা হয় দুই আঙ্গুল যদি যোনীতে প্রবেশ করে তাহলে নির্যাতিতা ধষিতা হয়েছেন, না হলে মনে করা হয়, ধর্ষিতা হয়নি।
এটা কোন পরীক্ষা হলো? এটার মাধ্যমে নারীকে আরেকবার মানসিকভাবে ধর্ষন করা হয়।
ধর্ষণের শিকার নারীদের ভালোভাবে না জানিয়েই ‘টু-ফিংগার টেস্ট’- এর মত পরীক্ষার সম্মতি আদায় করা করা হয়। এর ফলে এ ধরনের পরীক্ষার মুখোমুখি হয়ে ভুক্তভোগী নারীরা মানসিক আঘাত পান, যা তাদের ধর্ষণরে মতোই লাঞ্ছনার মুখোমুখি করে।
বিশ্বব্যাপী ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, পুলিশ এবং ফরেনসিক বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ‘টু-ফিংগার টেস্ট’ ধরনের পরীক্ষার কোনো সাক্ষ্যের মূল্য নেই। কোনো বৈজ্ঞানিক গ্রহণযোগ্যতাও নেই।
আমার মতে নারীর প্রতি অপমান সুলভ এই টেষ্ট বাতিল করা হোক
বিষয়: বিবিধ
২৭৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন