সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের ভুল কর্মকাণ্ডের একটা সারাংশ
লিখেছেন লিখেছেন ফারহানা শারমিন ২৯ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:৫৭:১১ সকাল
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথমে রানা প্লাজা ইস্যুতে বললেন, মালপত্র সরাতে গিয়ে আটকে পড়েছে ভিক্টিমরা। তাদের কে নাকি আগে থেকেই সরে যেতে বলা হয়েছিল। এরপর সংসদে বললেন, রানা যুবলিগের কেউ না। আচ্ছা বাদ দিলাম শেখ হাসিনার কথা উনি এই রকম কথাবার্তা সব সময় ই বলেন।
মুরাদ জং বললেন তিনি রানা কে চেনেন না। পড়ে চুমাচুমির ছবি দেখা গেল। বাদ দিলাম ইয়াং এমপি, এইরকম টুকটাক ডাইল, ট্যাবলেট, মাস্তানি, ফাইযলামি করতেই পারে। রবীন্দ্রনাথ সাহার কাহিনী শুনলাম। বেপার না, সংখ্যালঘু, মানুষ ত আর না!
প্রধানমন্ত্রী তৃনমূল প্রতিনিধি বৈঠক স্থগিত করলেন না। রাষ্ট্রপতির শপথ পেছান হল না। বেপার না, উনারা বড় মানুষ এই সমস্ত ছোট খাট এক্সিডেন্ট হতেই পারে! কথা হল এরপর রাষ্ট্রপতি রানা প্লাজার উপর দিয়ে গেলেন কবর জিয়ারত করতে। যেতেই পারে রাষ্ট্রপতি দেশের, উনাকে নিয়ে সমালোচনা চলে না।
সাবেক স্বরাষ্ট্র নাসিম কইল, ভুল ত্রুটি হইতেই পারে, ফেরেস্তারাও ভুল করে। আচ্ছা তাও বাদ দিলাম। বড় বড় আওয়ামী নেতারা এদানিং এইরকম আবোল তাবোল কথা বার্তা ঘন ঘনই বলে। মখার নাড়াচাড়া থিউরি নিয়া কিছু বলার দরকার নাই।
দৌরে ছোটরা পিছায়া রইল না। এমপি শাহরিয়ার কইল এর জন্য বিরোধী দলের হরতাল ই দায়ি। হরতাল না দিলে ত হরতাল বিরোধী মিছিল হইত না, মিছিলের দরকার না থাকলে গার্মেন্টস খলা লাগত না। এইটাও বাদ দেন পুলাপান মানুষ।
টেলিগ্রাফ পত্রিকায় দেখলাম ইংল্যান্ড চাইছিল এক্সপার্ট রেস্কু টিম পাঠাইতে। বাঙালি না কইরা দিছে, আমরাই পারব। পড়ে দেখলাম পানির বুতল ভিক্ষা চাইতেছে জনগনের কাছে। বিএনপির আমলে ইন্টারনেট নেয় নাই। কৈফিয়ত রেডি আছে সমস্যা নাই।
টেরা ও মুছুয়া মিজান কে হারিকেন দিয়েও কোথাও খুজে পাওয়া গেল না। মানবাধিকার কঙ্ক্রিটে চাপা পড়ে আছে। বেপার না। উনাকে সময়মত পাওয়া যাবে, উনি নিশ্চয় সাভার ট্রাজেডি গণহত্যা কি না সেটা আমাদের জানাবেন। সুলতানা কামাল কে নারী অধিকার নিয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে না। সম্ভবত উনি হেফাজতে ইসলামের নারী বিষয়ক দফা নিয়া গবেষণায় বেস্ত আছেন। আচ্ছা বাদ দেন।
সবাই সাভার ট্রাজেডি নিয়া বেস্ত, শামিম উসমান নিয়া কেউ কিছু আলোচনা করে না। শামিম উসমানের টিভি ছাইড়া ডিনার করতে সমস্যা হইতেছে, তিনি ক্যাঙ্গারু পারভেজ কে পাঠালেন তকির বাবা রাব্বি সাহেব কে গুলি করার জন্য। পাবলিক গন পিটুনি দিয়া পলিশে দিতে যাওয়ার অপরাধে এসপির সামনে পুলিশ গুলি করল। বেপার না পুলিশের একটা ইজ্জতের বেপার যুবলীগ কেডারের মানিজ্জত নিয়া টানাটানি, কত বড় সাহস।
এর মধ্যে শুনলাম মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডঃ শিরিন শারমিন চৌধুরীকে স্পিকার করা হচ্ছে। বয়স বেশি না, ৬৬'র ৬ অক্টোবর জন্ম। মহিলা আসনে এমপি। বড় যোগ্যতা তিনি একজন নারী। রাষ্ট্রপতির পর এইটা দ্বিতীয় সেরা পদ। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু দাড়ায়া পেচাল আচাল পারে। স্পিকার কিন্তু বইসাই থাকে। সংসদে ৫ বারের বেশি এমপি দজন খানেক পাওয়া যাবে। সব বাদ দিয়া শিরিন শারমিন। বিকজ শি ইজ এন ওমেন। হয়াট এ লজিক!
বিষয়: বিবিধ
২০৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন