খামাকা মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কেন ভিলেন হলেন! -এত টাকা দিয়ে কি করবে,আমাকে তিন কোটি টাকা দিয়ে দাও।
লিখেছেন লিখেছেন এম আয়ান মিয়া ৩১ মার্চ, ২০১৩, ০৩:৫০:৪২ রাত
স্কুলটির নাম ‘বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমি,দিরাই।
এতিম ও অসহায় পরিবারের মেয়েদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে এখানে শিক্ষাদান ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের গ্রামের বাড়ি থেকে মাত্র এক মাইল দূরে অবস্হিত ।
বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমির ভবন ও হোস্টেল নির্মাণ কর্মসূচি জন্য শুরুতে অর্থ বরাদ্দের জন্য জোর সুপারিশ করেছেন দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
আবেদন পত্রে নিজ হাতে ‘বিশেষ বিবেচনার জন্য সুপারিশ পত্র লিখে পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে।
অনেক চেষ্টার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের নানা ঘাট পেরিয়ে ১০ কোটি টাকার কর্মসূচি প্রস্তাব অনুমোদন হয়।
সুখবরটি জানাতে সুরঞ্জিতের বাসায় ছুটে যান বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমির সভাপতি জামিল চৌধুরী।
খবরটি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী বললেন, ‘এত টাকা দিয়ে কি করবে, আমাকে তিন কোটি টাকা দিয়ে দাও।
মন্ত্রীর স্ত্রী,ছেলে ও ছেলের বউ, সবাই মিলে মন্ত্রীকে অনুরোধ করলেন এতিমদের স্কুলটির জন্য সহযোগিতা করতে।
সুরঞ্জিতের সাফ কথা—তিন কোটি টাকা না দিলে তিনি বরাদ্দ বাতিল করে দেবেন ।
এতিমদের স্কুলের টাকা থেকে তিন কোটি টাকা দেয়ার বিষয়ে আমরা একমত হতে পারলেন না, একাডেমির সভাপতি জামিল চৌধুরী।
ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় সমুদয় অর্থ বরাদ্দের আদেশ বাতিলের জন্য গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রীকে ডিও লেটার পাঠান মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর অর্থ বিভাগের রাজস্ব বাজেট থেকে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এক নম্বর এজেন্ডায় ‘সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলাধীন বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমি (বিএফএ) ১৫০ আসনবিশিষ্ট শ্রেণীকক্ষ ভবন ও ১৫০ শয্যার ছাত্রীনিবাসের নির্মাণ কাজ’ শীর্ষক কর্মসূচিটি ছিল। ওই সভায় এটি অনুমোদন পায়। এরপর অর্থ ছাড়ের প্রক্রিয়াও শুরু হয়।
মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ওই ডিও লেটারের ওপর ভিত্তি করে বন্ধ করে দেয় হয় সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলাধীন বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমির ভবন ও হোস্টেল নির্মাণ কর্মসূচি।
ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বারের নালিশ :
The delegation from british chamber of commerce met you on 28th of july in London and presented the necessary papers regarding the project, when you assured that you will see the matter personally.’
Firstly the Budget Management Committee (BMC) of Education Ministry has approved the BFA Building project on 20/10/2011, Then the Money Release Committee of Finance Ministry approved on 28/11/2011 to release money for the said project and start the building work for the academy, but an influential cabinet member of the Government of the People’s Republic of Bangladesh, is trying to obstruct the project work because he wants a share to the grant money. Initially he was supporting the project work and gave his support to the Education Ministry. Unfortunately, now he is desperately trying to obstruct the release of the grant. The Education Ministry has already recorded his objection.
এই বিষয়ে আরো চিঠি দেয়া হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লেবার দলীয় এমপি রুশনারা আলী, বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা সচিব, ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন বরাবর।
সূত্র:
বিষয়: রাজনীতি
১৩০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন