ভ্রমণ- আকাশ থেকে হোটেল
লিখেছেন লিখেছেন এম আয়ান মিয়া ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:২০:১৬ সকাল
বাজেট এয়ার লাইন, ছোট প্লেইন, ভাড়া কম । এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিটের ভ্রমণ । আকাশে উঠার পর আমাদেরকে দেওয়া হলো সুইস চকলেট, ক্রয়স্যান্ট, চা, কপি ও জুস। বাজেট এয়ার লাইনে তা পাওয়ার আশা আমাদের ছিল না।
জেনেভা এয়ারপোর্টে ইমিগেসন অফিসার আমাদের পাসপোর্ট দেখলো, আমাদের চেহেরা দেখে জিজ্ঞাসা করলো ' আমরা কি সিটি এয়ারপোর্ট থেকে এসেছি'? উত্তর দিলাম হ্যাঁ। আমাদের পাসপোর্ট আমাদের হাতে ফিরত পেলাম। ব্রিটিশ পাসপোর্ট সে জন্য আরিভেল শীল দেয় নাই।
এয়ারপোর্টের ভিতরে প্রী-পেইড কার্ড ব্যাবহার করে ক্যাশ মিসিন থেকে সুইস ফ্রাঙ্ক পকেটে রাখলাম। আমাদের হোটেল ছিল ফ্রান্স বর্ডারে তাই ফ্রান্স সাইড অনুসরণ করে এয়ারপোর্টের বাহিরে আসলাম। এয়ারপোর্টের ভিতর থেকেই হোটেলে ফোন করলাম আমাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য, হোটেল থেকে এয়ারপোর্ট, এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে যাওয় আসা ফ্রি।
হোটেল থেকে বলা হলো ২০মিনিটের মধ্যে গাড়ী আসবে, বাহিরে অপেক্ষা করতে।
বেঞ্ছে বসে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করছি সেই ফাকে ফেইছ বুক চালু করে দিলাম। কমেন্ট পড়ছি, উত্তর দেওয়ারও চেষ্টা করছি - সিটি এয়ারপোর্টে থাকতেই স্ট্যাটাস দিয়ে ছিলাম। মামু কমেন্টে লিখলেন সময় পেলে মাউন্ট /মন্ট ব্ল্যাংক পাহাড় দেখে আসতে, আরও লিখলেন সুইসরা ঘড়ির মত।
বিশ মিনিটের উপর সময় চলে গেছে গাড়ীর খোজ নেই, বিষয় কি! আরে, আমরা তো ভুল জায়গায় অপেক্ষা করছি! হোটেল সাঁটল সারভিচের গাড়ী পারকিং এর জায়গা ১০০মিটার সামনে। আবার হোটেলে ফোন করলাম, ওপাশ থেকে বলা হলো, গাড়ী এসে আমাদের পায় নাই। বললাম, দুঃখিত আমরা আগে ভুল জায়গায় ছিলাম, এখন সঠিক জায়গায় আছি। ওপাশ থেকে বলা হলো, যেখানে আছো সেখানে থাকো, গাড়ী আবার আসছে। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেল গাড়ীতে করে ৯-১০ মিনিটের রাস্তা মাত্র।
আবহাওয়া ভাল ছিল। দেশের আবহাওয়ার সাথে তুলনা করছিলাম। হোটেলে জিনিস পত্র রেখে চা বানাইয়া খেয়ে বাহির হলাম সুপার মার্কেটে যাওয়ার জন্য। সুপার মার্কেট হোটেলের সামনে, হেঁটে যেতে ৮/১০ মিনিটের সময় লাগে। চারিদিকে রাস্তা ও ক্ষেতের মাঠ। আমাদের হোটেল থেকে উঁচু উঁচু পাহাড় দেখা যায়। যে দিকে তাকাই সে দিকেই পাহাড়। সবুজ পাহাড় কখনও দেখতে মনে হয় আকাশের নিচে কালচে পাহাড় গুলা আকাশের সাথে মিশে আছে, দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
সুপার মার্কেট টা খুবই বড়। এ- টু-জেড সব কিছুই এক ছাদের নিচে পাওয়া যায়। চা, চিনি, দুদ, বিস্কুট, সুইট, কলা এই সবের দাম দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ালাম। কাউনটারে দাম দেওয়ার সময় বললাম, ৫০ ফ্রাঙ্ক কইন দেওয়ার জন্য, মিসিন থেকে বাসের টিকেট কিনার জন্য লাগতে পারে। কাউনটারের মহিলা হেসে বললেন, আমরা সুইস ফ্রাঙ্ক নেই কিন্তু ফেরত দেই ইউরো, ইউরো কইন দিতে পারি। বিষয়টা পুরাপুরি বুঝতে অসুবিদা হচ্ছিল, আমার হাতে নগদ সুইস ফ্রাঙ্ক, নিবে সুইস ফ্রাঙ্ক কিন্তু ফিরত দিবে ইউরো। লাইনের পিছন থেকে এক জন বলল, এটা ফ্রান্স সাইড, এখানে সুইস ফ্রাঙ্ক অথবা ইউরো দিয়ে দাম দিতে পারবায় কিন্তু কাউনটা থেকে শুধু ইউরো ফিরত দিবে। কেডিট কার্ড দিয়ে প্রে করলে আবার সুইস ফ্রাঙ্ক চাইলে পাবো । ধন্যবাদ, এখন শুধু নগদ দাম দিয়ে যাই।
মিনি বাজার নিয়ে আবার হোটেলে আসলাম। চা নাশতা খেয়ে আবার যাবো এয়ারপোর্ট, এয়ারপোর্ট থেকে জেনেভা সেন্টারেল স্টেশন ।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সম্ভবত ফোনেটিক দিয়ে টাইপ করছেন তাই বানান টা একটু খেয়াল রাখবেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন