দুদক তথ্য গোপন করে মামলা-তারেক রহমান খালাস । বিচারকের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগ !
লিখেছেন লিখেছেন এম আয়ান মিয়া ১৮ নভেম্বর, ২০১৩, ০৯:৩৭:৩৮ সকাল
একটা তথ্য জন্য তারেক রহমান মানি লন্ডারিং মামলা থেকে খালাস পেলেন । বর্তমান সরকরের আমলে বিচার শুরু হওয়ার ৪ বছর ২২ দিন পর এই মামলার রায় ঘোষিত হলো ।
টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড-এর কর্ণধার খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা আদায় করেন।
বিচারক রায়ে বলেন, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তারেক রহমানের মাধ্যমে কাজ পাইয়ে দিতে মামুন খাদিজা ইসলামের কাছে অর্থ দাবি করেন।
১. তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন,খাদিজা ইসলাম মামুনকে ঘুষ দিতে বাধ্য হন।
কিন্তু বাদী তদন্ত কর্মকর্তা বলেননি যে আসামি তারেক রহমান খাদিজার কাছে অর্থ দাবি করেছেন।
-গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ওই টাকার বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি বলে দুদক আইনে করা পৃথক মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
মামুনের মাধ্যমে ২০০৩-২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পথে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা অবৈধভাবে সিঙ্গাপুরে পাচার করেন তারেক রহমান। সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএ-তে তার একাউন্টে জমা করেন মামুন। পরে এই একাউন্ট থেকে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা উত্তোলন করেন।
২. সাক্ষী এফবিআইয়ের প্রতিনিধি ডেবরা লাপ্রোভোত্তে সাক্ষ্যে বলেছেন যে তারেক রহমান ৫০ হাজারের বেশি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, ৫৪ হাজারের বেশি ইউএস ডলার ব্যয় করেছেন এবং তারেক রহমান এই অর্থের উৎস প্রকাশ করেনি।
কিন্তু বিচারক রায়ে বলেন, তারেক রহমান তাঁর সম্পদ বিবরণীতে ওই অর্থ দেখিয়েছেন। খরচ করা অর্থ আড়াল বা গোপন করেননি। তাই আসামি তারেক রহমানকে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৩ ধারায় মানি লন্ডারিং আইনের অপরাধের দায় হতে খালাস দেওয়া হলো।
তারেক রহমান মামলা খালাস কিন্তু প্রশ্ন হলো মামলার বিচারক তারেক রহমানের সম্পদ বিবরণীর তথ্য পেলেন কোথায়?
মামলার শুরু থেকে শেষ প্রর্যন্ত তারেক রহমানের কোন আইনজীবি ছিলো না ।
তারেক রহমানের পক্ষে কোনো জেরা করা হয়নি।
সম্পদ বিবরণীর বিষয়টি সাক্ষ্য হিসেবে আদালতে উপস্থাপনই করা হয়নি।
দুদকও সাক্ষ্য হিসেবে এ ধরনের কোনো কাগজ উপস্থাপন করেনি।
দুদক মামলার যে প্রধান উপাদান গোপন রেখে মামলা করে ছিলো, সে কথাটাই বললেন দুদকের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক এবং অপর কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন ।
দুদকের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক এ বিষয়ে Click this link, সম্পদ বিবরণীর বিষয়টি সাক্ষ্য হিসেবে আদালতে উপস্থাপনই করা হয়নি। কিন্তু এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে আদালত কিছু কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে রায় দিয়েছেন, তা আইনসিদ্ধ হয়নি। তিনি বলেন, তারেক রহমানের পক্ষে কোনো জেরা করা হয়নি। দুদকও সাক্ষ্য হিসেবে এ ধরনের কোনো কাগজ উপস্থাপন করেনি। তিনি প্রশ্ন করেন, তাহলে আদালতে তা কীভাবে এল?
অপর কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন বলেন, তারেক রহমানের সম্পদ বিবরণীর বিষয়টি মামলায় বিবেচ্য ছিল না। অথচ আদালত সম্পদ বিবরণীতে ওই অর্থের বিষয় উল্লেখ রয়েছে বলে তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন। তিনিও বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, তারেকের সম্পদ বিবরণীর এই তথ্য কীভাবে এল।
!
বিষয়: বিবিধ
১৫১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন