রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, ধর্মের বিধান সংবিধানে সন্নিবেশিত যা অবৈধ ঘোষণা সময়ের ব্যপার মাত্র ।

লিখেছেন লিখেছেন এম আয়ান মিয়া ০৬ নভেম্বর, ২০১৩, ০৯:২০:২৯ সকাল

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বেআইনি ঘোষণা তার সাথে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম প্রশ্নবিদ্ধ ।

রায়:

বর্তমান (পঞ্চদশ সংশোধনী মুলে) এবং পূর্ববর্তী (অষ্টম সংশোধনী মুলে) যাই হোক না কেন, যেখানে ‘রাষ্ট্র ধর্মের’ বিধান সন্নিবেশিত করা হয়েছে তা সংবিধানের প্রস্তাবনার সাথে অ-সামঞ্জস্যপূর্ন এবং অ-আপোষ যোগ্য । একই ভাবে ঐ বিধানটি সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে উল্লেখিত রাষ্ট পরিচালনার মুল নীতিরসমুহ অর্থাৎ অনুচ্ছেদ ৮ ও ১২ এর সাথেও অ-সামঞ্জস্যপূর্ন ।

৫ম সংশোধনী সংক্রান্ত রায় অনুযায়ী সংবিধানের ঐ অনুচ্ছেদ দু’টি উপরোক্তভাবে অর্থাৎ ‘অনুচ্ছেদ ৮ ও ১২’ ১৯৭২ সালের মুল সংবিধানে যেরুপ অবস্হায় ছিলো তা সংবিধান থেকে কখনও বিলোপ হয়নি বলে বিবেচিত হবে এবং অনুচ্ছেদ দু’টি কখনও সংশোধীত হয়েছে গন্য হবে না এবং ভবিষ্যতেও ঐ অনুচ্ছেদ দু’টি সংশোধন যোগ্য নয় ।

অনুচ্ছেদ -৮ (মুলনীতিসমুহ):

(১) জাতীয়বাদ, সমাজতন্ত্র, গনতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা - এই নীতিসমুহ এবং তৎসহ এই নীতিসমুহ হইতে উদ্ভত এই ভাগে বর্ণিত অন্য সকল নীতি রাষ্ট্রপরিচালনার মুলনীতি বলিয়া পরিচিত হইবে ।

(২) এই ভাগে বর্ণিত নীতিসমুহ বাংলাদেশে-পরিচালনার মুলসত্র হইবে, আইন প্রণয়নকালে রাষ্ট্র তাহা প্রয়োগ করিবেন, এই সংবিধান বাংলাদেশের অন্যান্য আইনের ব্যাখ্যাদানের ক্ষেত্রে তাহা নির্দেশক হইবে এবং তাহা রাষ্ট্র ও নাগরিকদের কার্যের ভিত্তি হইবে, তবে এই সকল নীতি আদালতের মাধ্যমে বলবৎ যোগ্য হইবে না ।

আনুচ্ছেদ -১২ (ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা ):

ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি বাস্তবায়নের জন্য

(ক) সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা,

(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান,

(গ) রাজনৈতিক উদ্দশ্যে ধর্মের অপব্যবহার,

(ঘ) কোন বিশেষ ধর্মপালনকারী ব্যাক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাঁহার উপর নিপীড়ন বিলোপ করা হইবে ।



মহান আল্লাহর বাণীসমুহ হতে এটা অত্যন্ত পরিস্কার যে, তিনি মানুষকে তাঁর সন্ত্তষ্টি অর্জনের জন্য নামাজ কায়েম, যাকাত আদায়, রোজা ও হজ্জ পালনে, যা ইসলামের মুল ভিত্তি, এবং সমাজের অন্যান্য মানুষের প্রতি হক আদায়ের আদেশ দিয়েছেন ।

রাষ্ট্রের জন্য নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত কোনটি পালনীয় নয় । বেহেশত-দোযখ মানুষের পুরস্কার ও শাস্তি হিসাবে শেষ বিচারে মহান আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারীত হবে ।

রাষ্ট্রের জন্য কোন ইবাদত নেই, বিচারও নেই । রাষ্ট্র বেহেশতেও যাবেনা, দোযখেও যাবে না; যাবে মানুষ ।

রাষ্ট্র যেহেতু ধর্ম পালন করতে পারেনা, তাহলে রাষ্ট্রের আদৌ কি কোন সুনির্দিষ্ট ধর্মের প্রয়োজন আছে?

: হাইকোটের মাননীয় বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম রায়ের অংশ বিশেষ ।

বিস্তারিত:জাজমেন্ট

বিষয়: বিবিধ

২০৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File