প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বলায় প্রধানমন্ত্রী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউনূস সেন্টারকে।

লিখেছেন লিখেছেন এম আয়ান মিয়া ১৯ জুলাই, ২০১৩, ১০:১৪:০৭ সকাল



১. প্রধানমন্ত্রী: প্রফেসর ইউনূস একজন স্বার্থপর মানুষ, যিনি নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য যেকোনো কাজ করতে পারেন'

-ইউনূস সেন্টার: প্রফেসর ইউনূসের মালিকানায় কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই। গ্রামীণ নামধারী, কিংবা গ্রামীণ নামধারী নয়, কোনো রকম কোম্পানিতে তার একটিও শেয়ার নেই।

-তিনি কি এক লাখেরও বেশি ছেলে-মেয়েকে চাকরি দিতে গিয়ে তাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে বড়লোক হয়েছেন ?

২. প্রধানমন্ত্রী: ‘নরওয়ের টেলিনর কোম্পানি প্রফেসর ইউনূসের জন্য লবিং করেছে। টেলিনর বিশাল অংকের অর্থ ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে দিয়েছে, যাতে তারা ইউনূসের জন্য নোবেল পুরস্কার এনে দিতে পারে '

- ইউনূস সেন্টার: নরওয়ের মানুষ এই পুরস্কারটিকে কেন্দ্র করে জাতীয়ভাবে গর্ব অনুভব করে। লবিং করে নোবেল পুরস্কার কেনা যায়- এই অভিযোগের পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণাদি দিতে পারলে পুরো পুরস্কারটিই আগামীতে তার সমস্ত মর্যাদা হারাবে। টেলিনর। এটা নরওয়ের সরকারের মালিকানায় পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। দুর্নীতির এই অভিযোগ কার্যত নরওয়ে সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ালো।

-ক্লিনটন ফাউন্ডেশন যেটা প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এবং তিনি সেটা নিজে পরিচালনা করেন। তার স্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। হিলারি ক্লিনটন আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিযোগিতা করবেন বলে জল্পনা-কল্পনা শোনা যাচ্ছে। তার প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এটা প্রমাণ করা গেলে তার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আর কোন সুযোগই থাকবে না।

৩. প্রধানমন্ত্রী: ‘গরীব মানুষকে ঋণ দেবার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এই ব্যাংকের টাকা ড. ইউনূস গ্রামীণ শক্তি ও এ ধরনের অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে সরিয়ে ফেলেছেন'

- ইউনূস সেন্টার: প্রফেসর ইউনূস তার ব্যক্তিগত কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো টাকা সরিয়ে ফেলেননি। তার কোনো ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানই নেই, তাই ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে টাকা সরিয়ে ফেলার কোনো প্রশ্নই উঠে না।

৪. প্রধানমন্ত্রী: 'প্রফেসর ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় এমনকি 'ইউনূস সেন্টার' প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার ভাইয়েরা এবং আত্মীয়-স্বজনরা গ্রামীণ ব্যাংক এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অনেক আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন '

-ইউনূস সেন্টার: ইউনূস সেন্টার সম্পূর্ণভাবে ড. ইউনূসের নিজস্ব উপার্জনের টাকা দিয়ে চলে। তিনি তার নিজস্ব টাকা ইউনূস সেন্টারকে দান করেন। প্রতি বছর বিভিন্ন সম্মেলনে বক্তৃতা দিয়ে তিনি যে উপার্জন করেন তার সামান্য অংশ দিলেই এর খরচ পুষিয়ে যায়। প্রতি বছর তিনি অনেক বক্তৃতা করেন। প্রতি বক্তৃতার জন্য তিনি বিরাট অংকের সম্মানি পান। এগুলোর একটা বা দুটো বক্তৃতা থেকে প্রাপ্ত সম্মানির টাকা দিলেই ইউনূস সেন্টারের সব খরচ বহন করা হয়ে যায়। ইউনূস সেন্টারের অফিস গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে অবস্থিত। গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড 'গ্রামীণ নোবেল লরিয়েট ট্রাস্ট' নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করে ব্যাংকের একটি ফ্লোর এই ট্রাস্টকে ২৫ বছরের জন্য বিনামূল্যে ইজারা দেয়। এই ট্রাস্ট ইউনূস সেন্টারকে ফ্লোরটি নামমাত্র মূল্যে ইজারা দিয়েছে।

৫. প্রধানমন্ত্রী: 'একটি শক্তিশালী দেশ প্রফেসর ইউনূসকে এতদিন মদদ দিয়ে এসেছে। এমন দিন আর দূরে নয় যেদিন সে দেশের মানুষ যখন প্রফেসর ইউনূসের অজানা সব তথ্য জেনে যাবে তখন তারা প্রফেসর ইউনূসের ওপর থেকে সমস্ত সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য তাদের সরকারের উপর চাপ দেবে। সেদেশের সরকার যখন মুখ ফিরিয়ে নেবে, তখন প্রফেসর ইউনূস যাবেন কোথায়'

-ইউনূস সেন্টার: বাংলাদেশ সরকার বহুরকমভাবে, এমনকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবহার করে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রফেসর ইউনূসের 'দুর্নীতি ও অনাচারের' মিথ্যা তালিকা প্রচার করেও দেশ-বিদেশের মানুষকে প্রফেসর ইউনূসের তথাকথিত অজানা কাহিনী বিশ্বাস করাতে পারেননি। একজন নাগরিককে ভণ্ড প্রমাণ করার পেছনে সরকার যতই তার মেধা ও অর্থ ব্যয় করছে, ততই নিজের দেশের সামনে, দুনিয়ার সামনে নিজেকে ভণ্ড প্রমাণ করে যাচ্ছে।

ইউনূস সেন্টারের বক্তব্যে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ মিথ্যা।

সুত্র: Click this link

এখন ইউনূস সেন্টার কি করতে হবে?

সুত্র: Click this link

ইউনূস সেন্টার বলতে হবে: ইউনূস সেন্টারের বক্তব্যে সম্পূর্ণ মিথ্যা । প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্য, সত্য, সত্য, সত্য, সত্য। প্রধানমন্ত্রী কখন ও মিথ্যা বলেন না।

ছেলে বুড়ু সবাই জানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কত বড় সত্যবাদী কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যুক বা মিথ্যাবাদী বলা যাবে না, আইনগত ব্যবস্থা আছে।

ড. পিয়াস করিম বলেন, দেশ টা মিথ্যার উপর দাড়িয়ে আছে । কিন্তু জানতে ইচ্ছা করে, কোন কোন মিথ্যাবাদীরা দেশটাকে মিথ্যার উপর নিয়ে দাড় করালো ?

বিষয়: বিবিধ

২১১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File