জামায়াতে ইসলামী নাকি ; ইসলামের শত্রু ?জোমাতে ইসলামীর অনৈ্সলামিক আমলনামা (ধারাবাহিক) পর্ব -১ ।

লিখেছেন লিখেছেন ছাগু ও পাকি বিরোধী ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৪:০৭:০২ রাত

এই নামে মাত্র ইসলাম, কর্মকাণ্ডে শয়তানের গ্র্যান্ডফাদার ; দলটির জারজ জন্ম পাকিস্তানে।জনাব মওদুদি সাহেব ই এর জন্মদাতা। তার কিছু ইসলাম বিরোধী আমল নামা মওদুদি সাহেব লিখিত কিতাবের রেফারেন্স সহ উল্লেখ করলাম ।এর পরেও এ দলের অনুসারীকে কি জামায়াতে ইসলামী(ইসলামের দল) বলবেন, নাকি জামায়াতে শয়তান তথা শয়তানের দল বলবেন সে দায়িত্ব ভার রইল সচেতন ও বিবেকবান,আদর্শ মানুষের কাছে। নবী রাসূল থেকে নিয়ে হকপন্থীদের উপর যেমন তার কলম ছিল খরগ স্বরূপ, তেমনি কিছু বাতিলের বিরুদ্ধেও তার কলম ছিল সিদ্ধহস্ত। সে এতটাই বেপরোয়া এবং বেয়াদব ছিল যে, নবীদের সমালোচনা করতেও দ্বিধা করেনি। সাহাবায়ে কিরামতো তার কাছে কিছুই না। আর আল্লাহ তায়ালা এবং ফেরেস্তাদের সম্পর্কেও পোষণ করতো ভ্রান্ত আক্বিদা।

প্রমাণ স্বরূপ কয়েকটি ভ্রান্ত আক্বিদার নজীর নিচে উপস্থাপিত হল

আল্লাহ পাক সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদাঃ

“যে ক্ষেত্রে নর-নারীর অবাধ মেলামেশা, সেক্ষেত্রে যেনার কারণে (আল্লাহ পাকের আদেশকৃত) রজম শাস্তি প্রয়োগ করা নিঃসন্দেহে জুলুম।” (নাঊযুবিল্লাহ)

(তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ২৮১ পৃষ্ঠা)

ফেরেশতা সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদাঃ

“ফেরেশতা প্রায় ঐ জিনিস যাকে গ্রীক, ভারত ইত্যাদি দেশের মুশরিকরা দেবী-দেবতা স্থির করেছে।” (নাঊযুবিল্লাহ)

(তাজদীদ ও ইহইয়ায়ে দ্বীন, ১০ পৃষ্ঠা)

নবীদের ক্ষেত্রে মওদূদী সাহেবের বেয়াদবীমূলক মন্তব্য

হাদীসের বিশাল ভান্ডার আমাদের সামনে রয়েছে। কোন একটি হাদীস কোথাও নেই, যাতে নবীদের সমালোচনা করা হয়েছে। কোন নবীর ব্যাপারে তির্যক মন্তব্য বা খাট করা হয়েছে। কিন্তু মওদুদী সাহেব চরম ঐদ্ধতার সাথে বিভিন্ন নবীদের তার বেয়াদবী কলমে করেছেন নোংরাঘাত। নবীদের ব্যাপারে তার বেয়াদবীমূলক বক্তব্যের কয়েকটি উদাহরণ পেশ করছি।

১- আম্বিয়া আলাইহিমুছ ছালাত ওয়াস সালাম সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “নবীগণ মা’ছূম নন। প্রত্যেক নবী গুনাহ করেছেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) (তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ৪৩ পৃষ্ঠা)

২-মুসা আঃ এর উদাহরণ ঐ তাড়াহুরাকারী বিজেতার মত, যে নিজের অধীনতদের নির্দেশ দেয়া ছাড়াই মার্চ করতে করতে চলে যায়, আর পিছনে জংলার অগ্নির মত বিজিত এলাকায় বিদ্রোহ ছড়িয়ে যায়। [নাউজুবিল্লাহ] {রেসালায়ে তরজুমানুল কুরআন-২৯/৪-৫}

৩-হযরত দাউদ আঃ তার এলাকার ইসরাইলীদের সাধারণ রেওয়াজের বশবর্তী হয়ে উরিয়ার কাছ থেকে তালাকের আবেদন করেন। [নাউজুবিল্লাহ] {তাফহীমাত-২/৪২, দ্বিতীয় প্রকাশ, (তাফহিমুল কোরআন(উর্দু):৪র্থ খণ্ড, সুরা সাদ, ৩২৭ পৃ. ১ম সংস্করণ, অক্টোবর ১৯৬৬ইং)}

৪-হযরত দাউদ আঃ যে কাজটি করেছিলেন তাতে প্রবৃত্তির কামনার কিছু দখল ছিল, শাসন ক্ষমতার অসংগত ব্যবহারের সাথেও তার কিছু সম্পর্ক ছিল, এবং তা এমন কোন কাজ ছিল যা কোন ন্যায়নিষ্ঠ শাসকের জন্য শোভনীয় ছিল না। [তাফহীমুল কুরআন-১৩/৯৫, আধুনিক প্রকাশনী, ১১শ প্রকাশ}

৫- “হযরহ আদম আলাইহিস সালাম মানবিক দূর্বলতায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি শয়তানী প্রলোভন হতে সৃষ্ট তরিৎ জযবায় আত্মভোলা হয়ে নিজ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেন। ফলে আনুগত্যের উচ্চ শিখর হতে নাফারমানীর অতল গহ্বরে গিয়ে পড়েন।” (তাফহিমুল কোরআন (উর্দু): ৩য় খণ্ড, ১২৩ পৃ.)

৬- “হযরত নূহ আলাইহিস সালাম চিন্তাধারার দিক থেকে দ্বীনের চাহিদা হতে দূরে সরে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে জাহিলিয়াতের জযবা স্থান পেয়েছিল।” (তাফহিমুল কোরআন: ২য়খণ্ড, ৩৪৪ পৃ. ৩য় সংস্করণ, ১৯৬৪ ইং)

৭- হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম সম্পর্কেঃ “এখানে আর একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম যখন নক্ষত্র দেখে বলেছিলেন, এটা আমার প্রতিপালক এবং চন্দ্র-সূর্য দেখে এগুলোকেও নিজের প্রতিপালক হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন, তখন সাময়িকভাবে হলেও কি তিনি শিরকে নিপতিত হননি?” (তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড, ৫৫৮ পৃ.)

৮- “নবী হওয়ার পূর্বে মুসা আলাইহিস সালাম দ্বারা একটি বড় গুনাহ হয়েছিল। তিনি এক ব্যাক্তিকে কতল করেছিলেন।”

(রাসায়েল ও মাসায়েল, ১ম খণ্ড, ৩১ পৃ.)

৯-“হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম সম্পর্কেঃ ‘আমাকে মিসরের রাজকোষের পরিচালক নিয়োগ করুন’- এ কথাটি বলে শুধু অর্থমন্ত্রী হওয়ার জন্যই প্রার্থনা করেননি। কারো কারো ধারনা,বরং তিনি এ বলে ডিকটিটরীই চেয়েছিলেন মৌলিকভাবে। এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমান ইতালীর মুসোলিনির যে মর্যাদা তিনিও এর কাছাকাছি মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন।”

(তাফহীমাত: ২য় খণ্ড, ১২২ পৃ. ৫ম সংস্করন এবং নির্বাচিত রচনাবলী(বাংলা) ২য় খণ্ড, ১৫১ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম সংস্করন ১৯৯১ইং)

১০- “হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম এর দ্বারা রিসালাতের দায়িত্ব আদায় করার ব্যাপারে কিছু ত্রুটি হয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত তিনি ধৈর্যহারা হয়ে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই আপন স্থান ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন।”

(তাফহিমুল কোরআন: ২য়খণ্ড, সূরা ইউনুস (টিকা দ্রষ্টব্য) ৩য় সংস্করণ, ১৯৬৪ ইং)

১১- “হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম মারা গেছেন একথাও বলা যাবেনা, বরং বুঝতে হবে ব্যাপারটি অস্পষ্ট।”

(তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড (সুরা নিসা), ৪২১ পৃ.)

১২- হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কেঃ

“আল্লাহ তা’য়ালার নিকট কাতর কন্ঠে এই আবেদন করুন, যে কাজের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হয়েছিল তা সম্পন্ন করার ব্যাপারে আপনার দ্বারা যে ভুল ত্রুটি হয়েছে কিংবা তাতে যে অসম্পূর্ণতা রয়ে গেছে তা যেন তিনি ক্ষমা করে দেন।”

(তাফহিমুল কোরআন (বাংলা) ১৯শ খণ্ড, ২৮০পৃ. মুদ্রনেঃ ওরিয়েন্টাল প্রেস, ঢাকা ১৯৮০ ইং এবং কোরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা (বাংলা) ১১২পৃ. ৮ম প্রকাশ, আধুনিক প্রকাশনী: জুন ২০০২)

১৩- “মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবিক দূর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দূর্বলতার বশীভূত হয়ে গুনাহ করেছিলেন।”

(তরজমানুল কোরআন ৮৫ তম সংখ্যা, ২৩০পৃ. ও তরজমানুস্‌ সুন্নাহ, ৩য় খণ্ড, ৩০৫ পৃষ্ঠা)

১৪- “মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে মনগড়া কথা বলেছেন এবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষণ করেছেন।”

(তরজমানুল কোরআন, রবিউল আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী)

১৫- হযরত মুহাম্মদ (সা.) রিসালাতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করেছেন, তাকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।

(তাফহীমুল কুরআন, সুরায়ে নসর এর তাফসীর).।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।..।.।।বিঃদ্রঃ-----উক্ত রেফারেন্স গুলোর ব্যাপারে রাজাকার জামাতের - কিংবা রগকাটা শিবিরের প্রতিটি কর্মীকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম পারলে একটি রেফারেন্সকে ও ভুল প্রমানিত করুন । নচেৎ জামায়াতে শয়তানি ত্যাগ পূর্বক ঈমান নিয়ে বেঁচে থাকুন।

বিষয়: রাজনীতি

১৫৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File