মজলুম ইসলামি আন্দোলনের কর্মীদের কি করা উচিৎ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ?

লিখেছেন লিখেছেন মজলুম জনপদ ২৮ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৪:২৯:৫৯ বিকাল

গনতন্ত্রের নাম ধরে আওয়ামী লিগ ৭২-৭৫ এমন নিকৃষ্ট কাজ করেছে যে ৭৫ এ বাংলাদেশের শাসক শেখ মুজিবের আনাকাঙ্ক্ষিত পতনের মাধ্যমে দেশের মানুষ নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পায়। কিন্তু এখন নব্য-বাকশাল প্রতিশোধ-পরায়ন হাসিনার নেত্রিত্তে হত্যাযজ্ঞ আর অত্যাচারে নেমেছে

:: মজলুম ইসলামি আন্দোলনের কর্মীদের কি করা উচিৎ? ::

ইসলামের দৃষ্টিতে অধম আওয়ামী লিগের স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ‘ফরয’ – ‘জিহাদ’ যা হল সর্বোত্তম ইবাদত এবং বিনা বিচারে ‘জান্নাত’ যার পুরষ্কার!

(১) আপনি ‘মার’ খাবেন – আর তাদের আদর করবেন – এটা ইসলামের শিক্ষা নয়। এমনকি কথার ক্ষেত্রেও আপনার শক্তি/হিম্মত বিশেষে প্রত্যুত্তর দিতে হবে। হজরত আবু বকর (রা) কে একবার এক কাফির নবীজি (দ) সম্পর্কে কটূক্তি করেছিল। আবু বকর (রা) ঐ কাফিরকে বলেছিলেন “যাও – আর ‘লাতের (তাদের মহিলা দেবী) দুধ খাও”

(২) রাসুল (দ) বলেছেন “যুদ্ধ হল প্রতারনা”। সব ধরনের ‘ছলনা’ আর ‘চালাকি’র আশ্রয় নিতে হবে আওয়ামী পুলিশের বিরুধে ‘মারামারিতে’ – বাক্তি-বিশেষ কে শিক্ষা দিতে হবে – যাতে অন্যান্যরা দাত-ভাঙ্গা জবাব আর ভয় পায়।

(৩) মোবাইল ফোন আর টি এন্ড টি ফোন যত সতর্কতার সাথে ব্যাবহার করা যায় তত ভাল – কুটিল শাসক সবসময়ে আড়ি পাতছে সব ফোনে – ‘সঙ্কেতিক / কোড জাতিও শব্দ/বাক্য ব্যাবহার করুন

(৪) হাসান বিন সাবিত (রা) কে রাসুল(দ) ‘হিব্রু’ ভাষা শিখতে বলেছিলেন কারন কূটনীতির বাপারে রাসুল (দ) এর বক্তব্য ছিল “ আমি ইহুদিদের বিশ্বাস করি না”। হাসান বিন সাবিত (রা) বলেন “ আমি হিব্রু ভাষা মাত্র ১৪ দিনে শিখি” – চিন্তা করুন একেই বলে আল্লাহর সাহায্য – ইসলামের খেদমতে নতুন কিছু শিখা – হতে পারে টেকনোলজি শিখা (ইন্টারনেট এর মাধ্যমে প্রচার বা প্রোগ্রামিং সেখা যাতে ইসলামি আন্দোলনকে সাহায্য করতে পারেন বা হ্যাকিং শেখা্‌ ইত্যাদি) – শরীর সুস্থ রাখা এবং ‘কারাতি’ শিখা – যা খুব ই প্রয়োজনীয় । আল্লাহর কাছে দুর্বল ইমানদারের চেয়ে সবল ইমানদার বেশী পছন্দনীয়। কখন ও চিন্তা করেছেন কেন? কারন সবল বাক্তি দিনের খেদমত এবং জিহাদে বেশী কর্মক্ষম এবং উপযোগী।

(৫) ইসলামের শত্রুদের মনে ভয় তৈরি করতে হবে। এর জন্য সবধরনের কাজ চালাতে হবে। মনে রাখবেন শত্রুরা -- আওয়ামী পুলিশ, এমপি সব ভিতুর ডিম। এদের আতঙ্কগ্রস্ত করতে হবে – ক্ষতিসাধন করতে হবে। রাসুল (দ) এক ইহুদী গোত্রের সব গাছ কেটে দিয়েছিলেন অর্থনৈতিক ভাবে তাদের খতিগ্রস্থ করার মাধ্যমে আতঙ্ক-গ্রস্থ করতে (যদিও একাজ করা মানা – তবুও এক বিশেষ পরিস্থিতিতে রাসুল (দ) স্বয়ং একাজ করেন – প্রাইওরিটির জন্য । জিহাদের সফল ফলাফলের মানসে আপনার ‘ক্রিটিকালি’ কাজ করতে হবে প্রয়োজনে অন্য জায়গায় ছাড় দিয়ে হলেও।

সূত্র

(১) লাইফ অফ প্রফেট (ভলিউম ১,২,৩), ড, সাল্লাবি, ২০১০

(২) আনোযার আওলাকি বক্তব্য

The Life of the Prophet Muhammad (Medina Period)

CD 1-18

(http://www.kalamullah.com/anwar-alawlaki.html)

বিষয়: বিবিধ

১২৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File