শাহাবাগিদের শিক্ষানেওয়া উচিত গনজাগরন মঞ্চ কাহাকে বলে !
লিখেছেন লিখেছেন টবমন ০৬ এপ্রিল, ২০১৩, ০৮:৫২:৩০ রাত
শুনেছি ব্লগার ইমরান নাকি, সাবেক ছাত্রলীগের একজন নেতা, না কর্মী ছিল, ছাত্রলীগের নেতা থাকাকালিন কিছু অপকর্ম করার কারনে দল থেকে নাকি বহিষ্কারও করেছিল।এখন অবশ্য তিনি নিজেকে প্রকৃত দেশ প্রেমিক মনে করেন,যদিও নতুন প্রজন্ম সহ দেশের প্রয় সবাই উনাকে নাস্তিক মনে করছেন।কারন প্রথমে গনজাগরন মঞ্চের ভুমিকা এবং এর নিয়ন্ত্রক যে মুলত আওয়ামীলিগের এজেন্ডা বস্তবানের জন্য, সাধার জনগনের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট না, একটু পরে হলেও সাধারন জনগন তা পুরোপুরি বোজতে পেরেছে । যে কারণে প্রথমে জনগন সেখানে গেলেও এখন প্রয় শুণ্যের কোঠায় এসে পৌছেছে।
ইমরান সাহেব নিজেকে এত চালাক মনে করে ছিল যে, ভেবেছিল স্বাধীনতার সংগ্রামের সময় বঙ্গ বন্ধুর ডাকে যেভাবে জনতা সারা দিয়েছিল, মিঃ ইমরান মনে করেছে বাংঙ্গালী মনে হয় ঐরকম সারা দিয়েছে । মিঃ ইমরান আরু নিজেকে ভারতের সম্প্রতি আন্না হাজারের অনশনের সফলতা দেখে নিজেকে আন্না হাজারে ও মনে করেছিল ।কিন্তূ আমার প্রথমে এ আনন্দোলন দেখে মনে হয়েছিল মিঃ ইমরান সাহেবের কপালে এত সুখ সইবে না, একটু দেরি হলেও আমার ভাবনা সঠিক হয়েছে, অর্থাৎ উদ্দেশ্য কারু অসত হলে কোনদিন জয়ী হওয়া যায়না।পাশা পাশি উদ্দেশ্য সত হলে বিজয় নিশ্চিত, যুগে যুগে এটাই প্রমানীত,উদাহারণ হিসাবে বলাযেতে পারে যেমন, ইহুদি নাছারা ওখৃষ্টনরা ইসলামের বিরোদ্ধে কত ধরনের স্বরযন্ত্র করতেছে, নতুন নতুন কত কায়াদা কৌশল অবলম্ভন করচ্ছে, অন্যায় ভাবে কত নিড়িহ লোকের জীবন কেরে নিয়েছে, তাই বলে কি তারা জয়ী ? কখনোই না, ইসলাম ধর্মের ইমানি শক্তির কাছে তারা সব সময় পরাজীত । যেমন পরাজীত সত্যের কাছে মিথ্যার । আজ তৌহিদি মহা গনজাগরন মঞ্চ এটার বাস্তব আর একটি প্রমান। আমাদের এই মাতৃভূমি যেমন নরম কোমল এদেশের মানুষের হৃদয়ও তেমন নরম কোমল, এটাকে পূজি করে কে কখন যে কত কিছু লোটে নেয়, বোঝা ভড়ই মুষকিল, তবে আমরা বাংঙ্গালি আমাদের হৃদয়ে যেমন ভালবাসর কমতি নেই, ঠিক তেমনি বদলে যেতও সময় লাগেনা, অতএব আজকের তৌহিদি মহা গনজাগরন দেখে নাস্তিক দের শিক্ষা নেয়া উচিত। বাংঙ্গালিদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগলে পালানুর পথ খুজে পাবে না ।সরকারেরও এটা বুঝা উচিত।শাহাবাগের কথিত গনজাগরন মঞ্চের লম্ফ জম্ফ আজ দেখুক, এদেশে নাস্তিকদের স্থান হবেনা, ষরযন্ত্র কারিদের আর ভারতের দালাল দের স্থান বাংলার মাটিতে নাই । এদেশের মানুষ অধীকাংশ মুসলিম হলেও সকল ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধার কমতি নেই, এটা বাংঙ্গালি জাতির আরেক অহংকার, পরিশেষে বলব শাহাবাগীদের মনে রাখা উচিত আওয়ামীলিগের দালালি না করে, দেশ ও দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আনন্দোলন করা উচিত, ইসলামের কুটুক্তি না করে, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা দরকার, এদেশে এমন একজন মুসলমাও নেই যে, অন্য কোন ধর্মের প্রতি কুটুক্তি করে, কেন ইসলামের ছায়াতলে থেকে এরই বিরোদ্ধে কুটুক্তি করতে হবে? আজ শাহাবাগিরা যদি নাস্তিকতা না করতো, সরকার যদি নাস্তিদের পক্ষ না নিত, তাহলে হয়ত তৌহিদি জনতার এমন আনন্দোলনে যেত না। সরকারের হাতে এখনু সময় আছে,আজকের এই মহা থেকে মহা সমাবেশ দেখে তাদের দাবি মেনে নিয়ে, সকল বিরোধীদলকে ডেকে দেশের যত সমস্যা আছে তা নিয়ে ভাবা উচিত, তাহলে হয়ত সংকট কমবে। নতুবা দেশ এক অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যাবে, যা কারু কাম্ম নয়, আশা করি আলোচনার মাধ্যমে তা করা সম্ভভব। শেষে তৌহিদি জগরণে অংশ গ্রহন কারি নবী প্রেমী প্রত্যেক ভাইদের সুসাস্থ কামনা করে এবং তাদের আনন্দোলনের সাথে একাত্বতা পোষন করে আজকের মত শেষ করলাম আল্লাহ হাফেজ ।
বিষয়: বিবিধ
২০০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন