আওয়ামীলীগ ১৯৭২ রে বিচারের সময় জামায়াতের একজন নেতার নামেও দালাল আইনে একটি মামলাও করতে পারেনি কিন্তু এখন বিচার করার মানে কি?
লিখেছেন লিখেছেন রিপোর্টার ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১০:৫১:৫৯ রাত
১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ শহীদদের পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে পাক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ঢাকার রাজপথে মিছিল বের হয়। মিছিলে পাক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করা হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব রাজাকার, আলবদর, আলশামস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা করেছে তাদের বিচারের জন্য ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি দ্য বাংলাদেশ কোলাবরেটরস (স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল) অর্ডার ১৯৭২ বা দালাল আইন আদেশ শিরোনামে আইন প্রণয়ন করা হয়।
...
১৯৭৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এই আইনের আওতায় দুই হাজার ৮৮৪টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় সাজা দেওয়া হয় ৭৫২ জনকে। এদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিল। দালাল আইনের অধীনে ৩৭ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিভিন্ন আদালতে তাদের বিচার আরম্ভ হয়।"
আমিই শুধু একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছিনা। ২০১৩ সালে এসে শীর্ষ সব যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আন্দোলন করতে হচ্ছে। তাহলে ৭২-৭৩ এ যে বিচারটা হলো তখন এই শীর্ষ অপরাধীদের বাদ দিয়ে কাদের বিচার করা হয়েছিল?
যারা বর্তমানে মানবতাবিরাধী অপরাধে আটক এরা তো কারও বেয়াই-তালই ছিলো না।
বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতা রুই-কাতলা বাদ রেখে চুনোপুঁটিদের শাস্তি দেবেন এটা আমি বিশ্বাস করি না।
এমনকী বর্তমানে যারা বন্দী তাদের নামে তখন একটা মামলাও হয় নাই। কেনো? জামায়াতের তো তখন বর্তমানের মতো সারা দেশে হরতাল-অবরোধ করার ক্ষমতা ছিল না। তাহলে কেন মামলা হয় নাই? এই দায়ভার কার?
তাহলে কী সেই বিচার প্রহসনের বিচার ছিল?
বঙ্গবন্ধু জাতির কাঁধে এতবড় একটা কলঙ্ক রেখে যাবেন, এটা কখন সম্ভব?
অবশ্যই না।
তাহলে বর্তমানে এটা কী হচ্ছে?
আমার কাছে হিসাব মিলছে না।
বিজ্ঞ কেউ জানলে একটু জানাবেন দয়া করে।
(from fb)
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন