শাহাবাগ হচ্ছে বাংলাদেশের সব চাইতে বড় ট্র্যাজেডি !!!!

লিখেছেন লিখেছেন রিপোর্টার ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:৩২:১৯ রাত











[শাহবাগের মোড়ে আজ বিকাল তিনটার সময় কাদের মোল্লার ফাসির অভিনয় করতেগিয়ে সঞ্জয় চক্রবর্তী নামের ছাত্র ইউনিয়নের এক নেতার মৃত্যু ঘটে। উলেখ্য সঞ্জয় চক্রবর্তী, কাদের মোল্লার ডেমো ফাসির মঞ্চে অভিনয় করতে যখন নিজে গলায় ফাস লাগায়, তখন মঞ্চের পেছন থেকে ছাত্রলীগের দুষ্ট পোলাপাইন দাক্কা দাক্কি করলে তখন মঞ্চ ভেঙ্গে পড়ে, এতে সঞ্জয় চক্রবর্তীর গলায় ফাস লেগে যায়। গুরুতর আহত আবস্হায় বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে। সঞ্জয় চক্রবর্তী চারুকলা ৩য় বর্ষের ছাত্র।তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ বলে জানা যায়।img]http://www.bdtomorrow.net/blog/bloggeruploadedimage/shahid/1360339115.jpg[/img]

[যারা সাহাবাগে ইসলামের বিরুধে অবস্থান নিয়েছেন তারা যা করছে আদ ও কি কোন মুসলমানের সন্তান পারে আওয়ামী মুসলিমের FACE BOOK TATUS দেখুন!!! [img]http://www.bdtomorrow.net/blog/bloggeruploadedimage/shahid/1360336321.jpg[/img

জামায়াত শিবির কে চোখ কাণ খোলা রেখে হিসাব করা দরকার এই নাটক কেন খেলা হচ্ছে আর কাদের দিয়ে খেলা হচ্ছে আর ঐ নাটকের অভিনেতারা কী সংলাপ বলছে!!

সাহাবাগে যারা রাজাকারের বিচার চাচ্ছে তারা আওয়ামীলীগের ভিতরের রাজাকারদের বিচার চাচ্ছে না কেন??????



[img]http://www.bdtomorrow.net/blog/bloggeruploadedimage/shahid/1360337515.jpg[/img

img]http://www.bdtomorrow.net/blog/bloggeruploadedimage/shahid/1360337843.jpg[/img]

রাজধানীর শাহবাগে ‘প্রজন্ম চত্বর’ মহাসমাবেশ থেকে জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। একইসাথে ইবনে সিনা, দৈনিক নয়া দিগন্ত, দৈনিক আমার দেশ, ইসলামী ব্যাংক, দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক টিভি ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের হুমকি দেন আন্দোলনকারীরা। এ দিকে জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের নাগরিকত্ব বাতিল দাবি এবং জামায়াতের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকে ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপ’ অভিহিত করা হয়। জামায়াতের এসব কর্মকান্ডের জন্য বিরোধীদল বিএনপিকে দায়ী করা হয়। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে চলমান অবরোধ কর্মসূচীর চতুর্থ দিনে আয়োজিত মহাসমাবেশে এসব দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। এ দিকে সমাবেশের নিরাপত্তায় বিপুল সংখ্যক র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুটি পানির ট্রাক এবং দুটি ভ্রাম্যমাণ টয়লেটও ছিল।

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলে ওই দিন থেকেই ‘ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক’ এ আন্দোলন শুরু করে।

বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মহা জোটের শরিক বাম দলগুলোর কিছু নেতাকর্মীও আন্দোলনে যোগ দেন। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ব্যাক্তির পক্ষ থেকেও সংহতি জানানো হয়।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচীর আলোকে আজ বিকেল তিনটায় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে মহাসমাবেশের আয়োজন করে অবরোধকারীরা। হাজার হাজার মানুষ সমাবেশে অংশগ্রহন করে। তারা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, মুজিবের বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই, ফাঁসি ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করো, করতে হবে, রাজাকারের ঠিকানা পাকিস্তান আর গোরস্থান ইত্যাদি।

এর আগে অন্যান্য দিনের মতোই সকাল থেকেই বিভিন্ন ধরণের স্লোগান, প্রতিবাদী গানসহ অন্যান্য পরিবেশনাও ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে। দুপুরে লোকসমাগম কিছুটা কম থাকলেও বিকেলে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে শাহবাগ চত্বর। বিকেল তিনটায় শাহবাগ মোড়কে ‘প্রজন্ম চত্বর’ অভিহিত করে সেখানে সমাবেশ শুরু হয়। সেখানে সমাবেশের শুরুতেই সমবেতভাবে জাতীয় সংগীত পাঠ করা হয়। চরমপত্র পাঠ করেন ব্লগার শহীদুল ইসলাম রাজু। আন্দোলনের খবর কয়েকটি টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে।

মহাসমাবেশে পর্যায়ক্রমে অনেকেই বক্তব্য রাখেন। শাহবাগ মোড়ে ‘রজনীগন্ধা’ ভাস্কর্যের সামনে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে সেখানেই সমাবেশের কার্যক্রম চলে। মূলমঞ্চে অঞ্জন রায়ের উপস্থাপনায় পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ব্যাক্তি বক্তব্য দেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ভিসি অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক প্রাণগোপাল দত্ত, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের স্ত্রী মিলি রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, হাসান ইমাম, অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, হাসান ইমাম, মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফীউল্লাহ বীরউত্তম, ড. জাফর ইকবাল, সাংবাদিক আনিসুল হক, আলতাফ মাহমুদ, ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল হাসান, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এস এম শুভ, সাধারণ সম্পাদক হাসান তারেক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তমাল প্রমুখ।

অবরোধের প্রথম তিনদিনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বক্তব্য দিতে বাঁধা দিতে দেখা গেলেও গতকালের সমাবেশে বাম দলগুলোর সহযোগী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রায় সবগুলোর নেতাদেরকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ব্লগার ডা. ইমরান। তিনি লিখিত বক্তব্য শেষে সবাইকে শপথ পাঠ করান। দাবি আদায় না হলে অবরোধ কর্মসূচী চলবে বলে তিনি ঘোষণা করেন। তবে আজ সংগঠনটির পক্ষ থেকে কোনো নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়নি। ঢাবি ও জাবি ভিসিসহ অনেকেই তাদের বক্তব্যে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচী চলবে বলে ঘোষণা করেন।

লিখিত বক্তব্যের পর আগত সবাইকে শপথ পড়ানোর সময় ডা. ইমরান দৈনিক নয়া দিগন্ত, দৈনিক আমার দেশ, দৈনিক সংগ্রাম, সোনার বাংলা ব্লগ বয়কটের আহবান জানান। একই সাথে অবরোধকারীরা রেটিনা, ফোকাসসহ কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের কোচিং না করা এবং কারো সন্তানদের না পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন। তিনি ইসলামী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট না খুলতে এবং ইবনে সিনা থেকে কোনো সেবা না নিতে সবাইকে শপথ পাঠ করান। জামায়াত শিবির পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন বয়কট করার আহবান জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

দেশকে যারা গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার হুমািক দিচ্ছে তাদেরকে ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান ডা. ইমরান সমাবেশের নিরাপত্তায় বিপুলসংখ্যক আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। হোটেল রুপসী বাংলার মোড়ে, আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে এবং শহীদ জিয়া শিশুপার্কের সামনে নিরাপত্তা চৌকি বসায় পুলিশ। তারা বারডেম হাসপাতালের ছাদে উঠে দূরবীণ দিয়ে সমাবেশ স্থল পর্যবেণ করেন।

সমাবেশ এবং অবরোধ কর্মসূচীতে আসা সবাইকে ফ্রি খাবার সরবরাহ করছে শিকদার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। তারা আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে বিভিন্ন ট্রাকে করে খাবার নিয়ে এসে বিতরণ করছেন। এ ছাড়া স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল শাখার পক্ষ থেকে ফ্রি চিকিৎসা পাচ্ছেন কর্মসূচীতে আগত লোকজন। http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=1121

বিষয়: বিবিধ

২৩৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File