রায়ের পর সব হিসাব ফকফকা’
লিখেছেন লিখেছেন রিপোর্টার ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০১:৪১:৪৩ দুপুর
কসাই কাদেরকে দিতে না পারলে আমরা যারা বিচার চেয়েছি তাদের ফাঁসি দিক। ফাঁসি চাই ফাঁসি। আমি আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে অপরাধ করেছি। আমার ফাঁসি দেয়া হোক। আসেন আমরা সবাই একসঙ্গে গণফাঁসিতে ঝুলি। আগামীকাল একসঙ্গে পুরো বাংলাদেশে গণফাঁসি অনুষ্ঠিত হোক। এভাবেই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সহকারী সেক্রটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে ভার্চুয়াল মিডিয়ায় চলছে প্রতিবাদ। রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফেইসবুক, ব্লগ, ট্যুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিবাদ শুরু করে তরুণরা। বিভিন্ন সাইট অনুসন্ধান করে দেখা যায়, অধিকাংশ তরুণ প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের এই রায়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করেছে। রায় প্রত্যাখ্যান করে মিশরের তাহরীর স্কয়ারের মতো সমাবেশ করার কর্মসূচি দিয়েছে ফেইসবুকের মাধ্যমে। অপরদিকে জামায়াত-শিবিরের সমর্থকরাও ফেইসবুকে এ রায় প্রত্যাখ্যান করে প্রচারণা চালিয়েছে। হারতালের পক্ষে প্রচারণার তৎপরতা দেখা গেছে ব্যাপকভাবে। মইনউদ্দিন পাঠান নামে একজন ফেইসবুকে লিখেছেন, দেশে কিছু হলেই নেতাদের সবচেয়ে বিখ্যাত বুলিটা ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার আতঙ্ক। একটি রায়ের পরে সব হিসাব ফকফকা এখন। আগুনে পুড়ে, রাস্তায় চাপাতির কোপে নিরীহ সাধারণ মানুষ মরে। মৃত্যু যেখানে এত সস্তা সেখানে কাদেরের মতো মানুষদের জীবনের এত দাম! সাবাশ সরকার। দ্যাশ তো তোগো বাপের। যা খুশি কর। শহীদের রক্ত এতোই সস্তা! মূল্যহীন! জাতির নারীদের সম্ভ্রমের কোন মূল্য নেই? এতোই নগণ্য মা-বোনের সম্মান! আতিয়া ফেরদৌসী চৈতি লিখেছেন, আশা করি, আওয়ামী লীগ নিয়ে মানুষের মাখো মাখো আহ্লাদী এখন একটু কমবে। শাহনেওয়াজ রাহাত লিখেছেন, ৩৫০ জন লোকের হত্যাকারীর ফাঁসি হবে নাÑ এটা হতে পারে না। চট্টগ্রাম থেকে শুভ্র লিখেছেন, বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিটে (গতকাল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আমরা জমায়েত হবো, বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। এই রায় মানি না, মানার কোন সুযোগ নাই। আগে প্রতিপক্ষ ছিল শুধু জামায়াত শিবির, এবার তার সঙ্গে যুক্ত হলো আওয়ামী লীগ। কল্যাণ রায় লিখেছেন, জাতি সত্যিই কলংকমুক্ত হলো না। ওরা যতদিন এদেশে থাকবে ততদিন আমি আমার জাতীয় সংগীত গাইবো না। আমি আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিলাম। আমি অপরাধ করেছি। আমার শাস্তি দেয়া হোক। খন্দকার ইশতিয়াক মাহমুদ মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগ এই স্ট্যা- দেখিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে চায়। এটা হচ্ছে রাজনীতির খেলা। জনগণের মনের ইচ্ছা কোনদিনও পূরণ হবে না। মোস্তাফিজুর রহমান ব্যাঙ্গ করে লিখেছেন, গোলাম আযমের সম্ভাব্য রায় একাত্তরে দুষ্টুমির অপরাধে হালকা বকাঝকা আর সাঈদীর রায় হবে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা ও এক গাদা লাল গোলাপ! আর বিচারপ্রার্থীদের স্বজন মরে পঁচে গেছে। তাদের বলবে, তোরা বেঁচে আছিস কেন? বিষ খেয়ে আত্মহত্যা কর। সুদীপ্ত শাহাদাত তার ট্যুইটারে বলেন, যে জাতি ভাষার জন্য রক্ত দেয়, স্বাধীনতার জন্য দেয় জীবন, সেই জাতি জামায়াতের ভয়ে এমন ভাবে লেজ গুটিয়ে নেবে! এটা মানা যায় না। রাশেদ মেহেদী বলেন, দেশে যেমন বহাল তবিয়তে যুদ্ধাপরাধী এবং তাদের পোষ্যরা আছে, তেমনি আওয়ামী লীগেও খোন্দকার মোশতাকপন্থিরা আছে। নৃশংস হত্যাকাণ্ড, দেশদ্রোহিতা, কবি মেহেরুন্নেসা হত্যা, ৩৪৪ মানুষ মারার শাস্তি যদি হয় যাবজ্জীবন তাহলে হত্যাকারীদের শাস্তি না দিয়ে এ দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যারা লড়াই করেছেন এবং দেশের সকল মানুষ যারা এই ঘৃণিত অপরাধের বিপক্ষে তাদের ফাঁসি হোক। ফাহিম বলেছেন, আইনমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ সব পক্ষই হতাশ। আগে ছিল এক পক্ষের কাছে ‘বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল’। এখন বিতর্কিত সবার কাছে। আসেন সবাই মুড়ি খাই। শুকরানা লিখেছেন, ১ খুন করলে ফাঁসি হয়, ৩৪৪ জন মানুষ মারলে যাবজ্জীবন হয়। মানুষ যদি কেও মারেই বেশি করেই মারা উচিত। রজত দাস গুপ্ত বলেন, কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রমাণ করে বাদ বাকি একটারও মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে না। এদিকে জামায়াত সমর্থক এক তরুণ লিখেছেন, একদিনের কারাদণ্ডের শাস্তিও মেনে নেয়া হবে না। সংগ্রামের মাধ্যমেই মুক্ত করে আনা হবে। ১৯৭১ সালের কসাই কাদের নামে এক অপরাধীর বিচার কাদের মোল্লার উপর অর্পিত হতে পারে না বলেও তারা ভার্চুয়াল মিডিয়ায় মন্তব্য করে। জামায়াত সমর্থক এক্টিভিস্টরা দ-প্রাপ্ত কাদের মোল্লার অতীত কর্মকা-, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল এবং এক সময়ে ছাত্র ইউনিয়ন করার বিষয়টিও আনছেন তাদের বক্তব্যে
http://mzamin.com/details.php?nid=NDE1NTg=&ty=MA==&s=MzY=&c=MQ==
বিষয়: বিবিধ
১৩০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন