বেপক বিনুদুন পেতে চাইলে এই লেখটি পড়েন!!সংসদে মহাজোট এমপিদের তথ্য : মুহাম্মদ (সা.) ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার তেীহিদ ০৪ মার্চ, ২০১৩, ১১:২৭:০২ রাত
নিউজমিডিয়াবিডি.কম, সংসদ রিপোর্টার, ০৪ মার্চ : এবার জাতীয় সংসদে হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে ধর্মনিরপেক্ষ বলে ঘোষনা করা হয়েছে। মুহাম্মদ (সা.) এর উম্মতের সাথে বাঙালি উম্মতের তুলনা করে বলা হয়েছে, মুহাম্মদ (সা.) এর মদীনা রাষ্ট্রের বিরোধীতাকারী বনী কোরায়জার ৬শ লোকের কল্লা কেটে দেয়া হয়েছে। এখন আমরা কেন বাঙ্গালী উম্মতের বিরোধীতাকারীদের বিচার করতে পারবো না। পাশাপাশি জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হাদীসের অপব্যাখ্যাকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষনের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বামপন্থী নেতা জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাইন উদ্দিন খান বাদল ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমান এ কথা বলেন। বাদল বলেন, রাসুল (সা.) যখন মক্কায় ছিলেন, তখন তিনি ছিলেন ধর্মপ্রচারক। রাসূল (সা.) মদীনায় গিয়ে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি মদীনা সনদ প্রতিষ্ঠা করেছেন। যারা মদীনা রাষ্ট্রের বিরোধীতা করেছেন তাদেরকে মদীনা থেকে চলে যেতে বলেছেন। মুহাম্মদ (সা.) এর উম্মাহর বিরোধীতার জন্য রাসুল বনী কোরায়জার ৬শ লোকের কল্লা কেটে দিয়েছেন। রসুল যদি ৬০০ বিদ্রোহীর বিচার করতে পারেন তবে আমি কেন আমার পিতা-মাতা-বোন-ভাই হত্যার বিচার করতে পারবো না। তাহলে আমরা কেন বাঙ্গালী উম্মতের বিরোধীতাকারীদের বিচার করতে পারবো না।
মাওলানা সাঈদীকে কটাক্ষ করে তিনি আরো বলেন, যারা চাঁদের মধ্যে তাবিজ বিক্রেতার ছবি দেখছেন তাদেরকে বলতে চাই, রসুলের আচরণ তার সুন্নাহ দেখুন। কোন কিতাব অনুসরণ করে সংখ্যালগুদের ঘর বাড়ি পোড়ানো হচ্ছে? কোন কিতাবে বলা আছে হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না। রাসুলের কিতাব খুলে দেখেন, আমি যা বলেছি তার ব্যতিক্রম কিছু হলে, আমাকে প্রস্তারাঘাত করতে পারেন।
তিনি বলেন, যারা গণতান্ত্রিক চাদরে আচ্ছাদিত থাকবেন তারা সমাদর পাবেন। যারা এই চাদর ছিড়ে ফেলতে চাইবেন তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আমাদের এই সংসদ যথেষ্ট শক্তিশালী।
নাসিম ওসমান বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। মাইন উদ্দিন খান বাদলের বক্তব্যেও এ বিষয়টি বুঝা গেছে। ভারতের মুসলমানরা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাইবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের মধ্যে মানুষের হককে। ইসলাম অমুসলিমের জন্মগত অধিকার নিশ্চিত করে। ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম হতে পারে, স্বয়ং ইসলাম ধর্মনিরপেক্ষ ধারন করে। আমরা নাস্তিকদের সমর্থক নই। রাজীব নাস্তিক ছিলেন না। এ জন্য আমরা রাজীবের সমর্থক।
দেশে নিরাপত্তা নেই প্রমাণে বোমাবাজি করছে বিএনপি-জামায়াত :
এদিকে সোমবার সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাড়িয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, দেশে কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই এটা প্রমাণে বিএনপি-জামায়াত জোট বোমাবাজি শুরু করেছে। তিনি বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফর করছেন। খালেদা জিয়া নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে তার সঙ্গে দেখা করেননি। এর সত্যতা প্রমাণ করার জন্য বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা বোমাবাজি করছে। নিরাপত্তাহীনতা বোঝাতে চাইছেন তারা। তিনি আরো বলেন, কানসাটের বিদ্যুৎ সাব স্টেশন পুড়িয়ে দিয়েছে। বোরোর মৌসুম চলছে। বিদ্যুতের অভাবে সেচের জন্য কৃষক দিশেহারা। খালেদা জিয়া চান সমগ্র বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হোক। এর জন্য বিদ্যুতের ওপর টার্গেট করে তান্ডব চালানো হচ্ছে। জামায়াতের হরতালের লেজুড় হিসাবে খালেদা জিয়াও হরতাল দিয়েছেন উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই তান্ডব, জুলুম ও হত্যায় খালেদার উস্কানির ফয়সালা হওয়া দরকার। জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১১৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন