আমার বৌ-মা খৃষ্টান হেফাজতের কর্মীরা গায়ে রং মেখে শুয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার তেীহিদ ১৯ জুন, ২০১৩, ০৮:৪৮:১২ রাত

ঢাকা: গত ৫ মে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে যৌথবাহিনীর অভিযান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘হেফাজতের কর্মীরা গায়ে রং মেখে সেখানে শুয়েছিল, পরে পুলিশ দেখে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়, তাহলে কি লাশ উঠে দৌড়ালো?’

বুধবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনার একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিরোধী দল বলে বেড়াচ্ছে, এক লাখ ২০ হাজার গুলি খরচ করে নাকি ৫ মে হেফাজতের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। যদি এক লাখ গুলি খরচ করা হয় তাহলে তো মতিঝিলের ভবনগুলোতে গুলির চিহ্ন থাকতো, কয়েক হাজার মানুষ আহত হতো। সে দিনকার ঘটনা তো টিভিতে লাইভ প্রচার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যদি হত্যাকাণ্ডের মতো কোনো ঘটনা ঘটতো তাহলে তো আমরা দেখতাম। বরং হেফাজতের কর্মীরা গায়ে রং মেখে সেখানে শুয়েছিল, পরে পুলিশ দেখে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়, তাহলে কি লাশ উঠে দৌড়ালো?’

এর আগে বিরোধী দলের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমি পয়েন্ট অব অর্ডারে তিস্তা চুক্তি নিয়ে বক্তব্য দিলে সরকারদলীয় সিনিয়র সংসদ সদস্য তোফায়েল সাহেব সুন্দর বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কোন বিধিতে বক্তব্য দিলেন জানি না।’

তিনি বলেন, ‘আসলে এগুলো তারা প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতেই বলে থাকেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো আপনাকে খুশি করতে তারা বক্তব্য দিচ্ছেন, আপনি তাদের পোর্ট-ফোলিও দিয়ে দেন। তাহলে তারাও খুশি হবেন।’

মওদুদ আহমেদের বক্তৃতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মওদুদ সাহেব তাদের পোর্টফোলিও চাচ্ছেন নাকি নিজের চাচ্ছেন বোঝা বড় দায়। গ্রামে একটা গল্প আছে। এক লোক বিভিন্ন জায়গায় দাওয়াত খেতে গিয়ে বলেন, উনার পাতে (প্লেটে) দিন, উনার পাতে দিন। আসলে এটি তারই প্রয়োজন এটা কিন্তু বোঝা যায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো মওদুদ সাহেবকে অনেক আগ থেকে চিনি। উনি জিয়ার সরকারে ছিলেন, পরে এরশাদ সাহেবের সঙ্গে এখন আবার বিএনপির সঙ্গে। এতো ঘাটের পানি খেয়েছেন তিনি যে, আর পানি হজম হবে না। আর তিনি লিখেনও ভালো। তবে লেখেন এক আর বলেন আরেক। ঘরে বলেন এক কথা আর বাইরে বলেন আরেক কথা।’

সংসদে বিএনপি সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ওনারা আমার ছেলের বউকেও বাদ দিয়ে কথা বলেননি। আমার ছেলের বউ নাকি ইহুদী। তারা এটাও জানে না আমার ছেলের বউ ইহুদী না খৃষ্টান। আর খৃষ্টান হলো আমাদের আহলে কিতাব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের প্রখ্যাত আইনজীবী ড. কামাল হোসেন সাহেবের মেয়ের জামাই হচ্ছেন ইহুদী। আর বিএনপি তারটা আমার ছেলের বউয়ের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী সংসদে দেয়া তার নিজের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি বলেছিলাম আপনারা তত্ত্বাবধায়ক-তত্ত্বাবধায়ক করেন, তত্ত্বাবধায়ক চাইলে কোনো দিনই নির্বাচন হবে না। তার মানে আমি বলেছি, এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক তো দুই বছর পরে নির্বাচন দিয়েছিল কিন্তু যদি আবার তত্ত্বাবধায়ক আসে তাহলে কোনো দিনই নির্বাচন হবে না। আমার এই বক্তব্যটি বিকৃত করা হয়েছে। আর বলা হচ্ছে- আমি নাকি বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক চাইলে নির্বাচন হবে না।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় থাকতে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তি করে বিশাল সমুদ্রসীমা জয় করেছি। ভারতে সঙ্গেও এই বিরোধ নিষ্পত্তির পথে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে ভারতের কাছ থেকে তারা এই সমুদ্রসীমা আদায় করতে ভুলে যাবেন,তাদের সময় তাদের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে পানির হিস্যা নিয়ে কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন।’

খবরটি পড়ুন এখান থেকে তাজা নিউজ

বিষয়: বিবিধ

১৮৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File