বেঁচে নেই ইলিয়াস আলী

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার তেীহিদ ১৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:০৪:৫১ বিকাল

ইলিয়াস আলী বেঁচে নেই বলে নিশ্চিত হয়েছেন বিএনপিতে তার ঘনিষ্ঠরা। রমনা থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী আলমের মতোই বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পরিণতি হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির নীতি নির্ধারকরা। কিন্তু কৌশলগত কারণে তারা এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না বলে জানা গেছে।

জনপ্রিয় একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক জানান, তিনি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইলিয়াস আলীর বিষয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই সম্পাদকের সঙ্গে ইলিয়াস আলীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাই তিনি ইলিয়াস আলী সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ছিলেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিখোঁজ হওয়ার দুই-তিনদিনের মধ্যেই না ফেরার দেশে চলে যান ইলিয়াস আলী। তাকে ফিরিয়ে আনতে নানা মহলে দর কষাকষি হলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় তা আর ইতিবাচক দিকে এগোয়নি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সরকার ইলিয়াস আলীর মতো সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় একজন নেতাকে সরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি।

ইলিয়াস আলীর পরিবার আজও আশায় আছেন তিনি ফিরে আসবেন। শোকে কাতর ইলিয়াস আলীর মা সূর্যবান বিবি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চাইলেই যে কোনো দিন ফিরে আসবে আমার ছেলে ইলিয়াস। আগেও সপ্তাহে তিন চার দিন সিলেটে থাকতো ইলিয়াস। আমার প্রয়োজন না হলে ফোন দিতাম না তাকে। কিন্তু সে সিলেটে এসেই ফোন দিয়ে বলতো মা আমি সিলেটে। রাতে বা সকালে বাড়িতে আসবো। এই ভাবে সারাদিন বাড়িতে থেকে রাতে আবার চলে যেতো সিলেটে। কিন্তু গত এক বছর এই ফোন আর আমি পাইনি।’

ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করি আমার স্বামী ফিরে আসবেন। আমার বাচ্চাদেরও একই বিশ্বাস। আমার স্বামী, সন্তান, পরিবারের জন্য আপনারা দোয়া করবেন। আর কিচ্ছু চাই না আমি, আমার স্বামীকে ফেরত চাই।’

সিলেটের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট দিলদার হোসেন সেলিম জানান, ইলিয়াস আলীর মতো নেতা সব তৈরি হয় না। কালেভদ্রে এমন একজন নেতার আত্মপ্রকাশ ঘটে। তিনি বলেন, সিলেটে বিএনপির সুদৃঢ় অবস্থান গড়ে তুলতে ইলিয়াস আলীর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ছিলেন সিলেটের মেহনতী মানুষের কণ্ঠস্বর। কিন্তু সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হয়ে গত একবছর আগে আমরা তাকে হারিয়েছি। তবে আমাদের বিশ্বাস তিনি ফিরে আসবেন।

ইলিয়াস আলী মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম বলেন, সরকার ইলিয়াস আলীকে গুম করে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদীতার পরিচয় দিয়েছে। তার মুক্তির দাবিতে গত একবছর আমাদের আন্দোলন অব্যাহত ছিল। ভবিষ্যতেও আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাব।

গত বছরের ১৭ এপ্রিল দিনগত রাতে পুলিশ সাবেক এই সংসদ সদস্যের গাড়িটি রাজধানীর মহাখালীর আমতলী রেলক্রসিং এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই গাড়ির চালক আনসার আলীরও। ১৭ এপ্রিল মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ইলিয়াস নিখোঁজ বলে জানিয়েছিলেন তার পরিবার। এর পর তাকে সন্ধান পেতে দলীয়ভাবে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর তার স্ত্রী, সন্তানরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। বেঁচে থাকলে ইলিয়াস আলীকে শিগগির খুঁজে বের করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এখনও তার কোনো সন্ধান মেলেনি।

//আমরণ অনশনে মাহমুদুর রহমান জেলহাজতে// লেখাটি পড়ুন এখানে Click this link

বিষয়: বিবিধ

১৪২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File