স্বাধীনতার ৪০ বছর পরে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ৮০ বছর পিছিয়ে গেলো। কে করবে এই পরিবর্তন?
লিখেছেন লিখেছেন সোহেল ২৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ১২:৪৬:২৪ দুপুর
কিভাবে মুক্ত স্বাধীন হবে আমাদের পুলিশ বাহিনী। চোখ বুজলেই ঘুম হারাম হয়ে যায়। যে ভাবে দেশে গুম, যেখানে সেখানে লাশ, রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের উপর হামলা, মামলা নির্যাতন সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন পুলিশের স্ব-উদ্দ্যেগে করা হয়। অপরাধি পুলিশকে আবার জাতীয় ভাবে পুরস্কৃত করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফাই গায়। তার সাফাইতে পুলিশ উষ্কানি পেয়ে অপরাধের মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। দিন দিন গোটা জাতি পুলিশ বাহিনীর কছে জিম্মী হয়ে পরছে। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিনি কি বুঝতে পারছেন না তিনি এক দিন ব্যক্তি আলমগীর হয়ে যাবেন। হয়তো এমন একদিন আসতে পারে তার অবস'া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবরে মত হতে পারে। যে পুলিশ বাবরে কথায় অনেক কিছু করত সেই পুলিশ তাকে মারতে মারতে নাক থেকে রক্ত বের করে দিয়েছে। তার ভাষ্য মতে, জয়নুল আবেদিনে উপর আক্রমনের জন্য ডিসি হারম্ননকে পদক দেয়া হয়েছে। তিনি বুঝতে পারছেনা হয়ত এই ডিসি হারম্নন আরেকটি পদকের আসায় ব্যক্তি আলমগীরকে গুলি করতে হাত কাপবে না। পুলিশসম্পর্কে একটা বাসত্মব অভিজ্ঞতা না লিখে পাড়লাম না।
রামপুরা বাজারের সাথে একটা মেসে থাকতাম। মেইন রোডের খুব কাছাকছি মেসটি ছিল। একদিন রাতে ১টার দিকে কম্পিউটারে কাজ করতে করতে মাথাটা ব্যাথা করছে। মনে পড়লো মেইন রোডে একটি চায়ের দোকান খোলা থাকে। এক কাপ চা খেয়ে আসি হয়তো সেরে যেতে পারে। রম্নমের এক ছোট ভাইকে নিয়ে চায়ের দোকানে গেলাম। চায়ে অর্ডার দিয়ে অপেড়্গা করছি চায়ের জন্য। এর মধ্যে একটি জিএস মাইক্রো এসে পাশে থামলো । দোকানে আরো ২/৩জন কাষ্টমার ছিল। গাড়ী থেকে তিন চার জন্য লোক নামলো পরিচয় দিল ডিবি পুলিশ হতে সর্টগানও ছিল। আমাকে ডাক দিল, কাছে গেলাম,
পুলিশঃ এত রাতে কি করিস।
....ঃ মাথা ব্যাথা করছে চা খেতে আসলাম।
পুলিশঃ না তুইতো ছিনতাই করিস।
......ঃ এই পাশেই আমার বাসা। চাখেয়ে চলে যাব।
অন্য পুলিশঃ ওট গাড়িতে ওঠ।
........ঃ গাড়িতে উঠে পরলাম। ব্যপারটা ভালই লাগছে।
পুলিশঃ আরেকজনকে আপনি কি করেন।
ড্রাইভার সিএনজি ড্রাইভার
তাকে কিছু বলস্ননা।
পুলিশঃ আমাদের দুজনকে নিয়ে গাড়িতে উঠে পরলো।
গাড়িতে উঠে আরো মজার ব্যাপার দেখলা।
গাড়িরে পেছন দিককে একটা লোক বসে হেরোইন খাচ্ছে। দেখে অবাক হলাম একটু ভয় পেলাম। ডিবি পুলিশ নাকি অপহরন হচ্ছি।
ভেতরে ২জন পুলিশ ছিল তারা নেশায় চোখ বন্ধ করে কথা বলছে।
নেশাগ্রস' ঃ এই তোদের কাছে মোবাইল আছে?
.......ঃ না, মোবাইল নিয়ে বের হইনি?
অন্যজনঃ তাহলে কাছে কত টাকা আছে?
......: কোন টাকা নেই।
পুলিশঃ তাহলে থানায় যেতে হবে।
প্রায় টিভি সেন্টার আসতে আসতে রিক্সায় একটি ছেলে আসছে।
রিক্সাটি থামিয়ে
কোথায় থেকে আসলি।
স্যার হাসপাতালে গেছিলাম।
ভেতর থেকে পুলিশ মিথ্যা কথা ছিনতাই করে।
এক পুলিশ নেমে তার পকেটে সার্চ করে ৫০/৬০ টাকা পায় সেটি নিয়ে নেয়।
ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়। অন্য একটি ছেলে যাচ্ছে তাকে থামিয়ে।
এই কোথায় যাস।
স্যার বাসায়।
কি করিস
স্যার রিক্সা চালাই।
পকেটে হাত দিয়ে ২/৩ শত টাকা পায় নিয়ে যায়। ছেলেটি কেদে দেয়।
স্যার আমার সারাদিনে আয় ।
রাত বিরতে ছিনতাই করিস না।
ছেলেটি আর কথা বলতে পারলো না। চলে গেল।
পুলিশ আমাদের দিকে তাকিয়ে এই তোরা কি করবি। তোদের তো থানায় যেতে হবে।
.....: সেটাই ভাল থানায় নিয়ে চলেন।
পুলিশ: এই তুই কি করিস।
......: এই একটা ছোট খাট চাকুরি করি।
পুলিশ: কিসে চাকুরি করিস।
......: পাশ থেকে আমার সাথের ছেলেটি বলে ফেললো ।
,,,,,: স্যার, টিভি চ্যানেলে চাকুরি করেন।
পুলিশ: এ ভাই আপনি এত সময় পরিচয় দিবেন না। কোন চ্যানেলে আছেন।
আমি কিছু বললাম না । ,,,, উত্তর দিলো।
পুলিশঃ এই গাড়ি ঘুরা ভাইদের নামিয়ে দিয়ে আসি।
......: না ভাই ঠিক আছে অনেক কষ্ট করে সরকারি তেল পুরিয়ে অকেন ঘুরিয়েছেন। আর সরকারি তেল নষ্ট করতে চাইনা।
নেমে গেলাম গাড়ি থেকে হাটতে হাটতে চালে এলাম বাসা।
পুলিশ ততড়্গন গাড়ির পেছনে বসে একের পর এক হেরোইন সেবন করতে ছিল।
বিষয়: বিবিধ
১১৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন