শিশুদের সাথে সংলাপ

লিখেছেন লিখেছেন কানিজ ফাতিমা ২২ জুলাই, ২০১৫, ০৩:০৯:২৮ দুপুর

কথা বলুন! আপনার সন্তানের সাথে আলোচনা করুন যে কোনো বিষয়ে এবং সকল বিষয়ে, আপনি সারা দিনে কী করেছেন তা নিয়ে, বিভিন্ন বিষয়ে আপনার অনুভূতি কী এবং আপনার সন্তান এটা-সেটা নিয়ে কী ভাবছে সে বিষয়ে। যোগাযোগকে অগ্রাধিকার দিন; আপনার সন্তানকে চিনুন, জানুন। আপনি আপনার চিন্তাকে কিভাবে প্রকাশ করছেন তা আপনার সন্তানের জানা জরুরী। সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো ছাড়াও ভাষার উন্নয়ন এবং স্পষ্টভাষিতার জন্যও কথা বলা জরুরী। আপনাকে যাতে ‘বিরক্ত’ না করতে পারে সেইজন্য দূরে রাখার উদ্দেশ্যে টেলিভিশন, ইন্টারনেট অথবা কম্পিউটার গেম দিয়ে তাকে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন কথা বলার অভাবের ফল হলো নির্জীব মেধা এবং জড়তা।

যোগাযোগের মধ্যে যেমন থাকা উচিত গুরুগম্ভীর আলোচনা তেমনি এবং পারস্পরিক হাসি-কৌতুক। মা-বাবার অবশ্যই সন্তানদের সাথে হাসি-কৌতুক এবং খেলাধুলা করা উচিত। কারণ হাসি-কৌতুক সম্পর্ক মজবুত করে এবং একঘেয়েমি ভাব দূর করে। অনেকসময় বাচ্চাদেরকে বড় করার কাজে বাবা-মা এত বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে, তারা এ বিষয়টিকে উপভোগ করতে ভুলে যান । এটা একটি বড় ভুল। শিশুদের ভুবন আনন্দ আর খেলায় পরিপূর্ণ। তাদের আনন্দ করার এবং খেলাধুলার চাহিদা অসীম। সেসব বাবা-মা বাচ্চাকে নিয়ে খেলতে বা বাইরে ঘুরতে যাওয়ার বদলে টিভি বা কম্পিউটারে মুখ গুজে পরে থাকতে পছন্দ করেন বাচ্চারা তাদের প্রতি বিরক্ত হয়। জীবন যখন নানামুখী চাপ আর উদ্বেগে পরিপূর্ণ, তখন শিশুরাই পারে কিছুক্ষণের জন্য হলেও চাপ কমানোর সর্বোত্তম ওষুধ দিতে (মা-বাবাকে তাদের শিশুসুলভ জগতে হারিয়ে যেতে সাহায্য করার মাধ্যমে)। কিছু মা-বাবা মনে করেন বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা নিজেদের গাম্ভীর্য ও সিরিয়াস ব্যক্তিত্বের জন্য ক্ষতিকর; এর মানে হলো জীবনের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কাজকে অবহেলা করা। বাস্তবতা হলো, আপনি যখন শিশুদের সাথে হাসেন, তখন তারা আপনার সঙ্গে সহজ ও নির্ভয় হতে ভরসা পায়। এতে আপনার সঙ্গে তাদের ভালোবাসার এক অদৃশ্য বন্ধন তৈরী হয় এবং বাচ্চারা তাদের আত্মপ্রকাশে সাবলীল হয়। কৌতুক এবং হাসি-ঠাট্টা করা যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ।- অনুবাদ Parent Child Relations

বিষয়: বিবিধ

১৪৭৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

331130
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৪
হতভাগা লিখেছেন :
সেসব বাবা-মা বাচ্চাকে নিয়ে খেলতে বা বাইরে ঘুরতে যাওয়ার বদলে টিভি বা কম্পিউটারে মুখ গুজে পরে থাকতে পছন্দ করেন বাচ্চারা তাদের প্রতি বিরক্ত হয়।


চারপাশে যেরকম আগ্রাসীভাবে হাউজ বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে তাতে খেলাধুলার মাঠ কমে এসেছে ।

আর বাবা মায়েরা অফিসের কাজে ৯-৬টা পর্যন্ত ব্যস্ত থাকে । বাসায় পৌছাতে পৌছাতে ৭-৮ টা ।
আর এসব খেলার মাঠ স্থানীয় গুন্ডা পান্ডাদের অভয়ারন্য হয়ে থাকে আজকাল।

তাই , সরকারের কাছে কিছু কিছু প্রস্তাব পেশ করতে পারেন :

০ এখনও যেসব মাঠগুলো আছে সেগুলো যাতে রক্ষা করা হয় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের হাত থেকে

০ কিছু কিছু বাড়ী ও স্থাপনা ভেঙ্গে যেন শিশুদের জন্য খেলার মাঠের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ।

০ পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাদেরকে যেন চাপ দেওয়া হয় যাতে তারা খেলার মাঠ গুলোকে মাস্তানমুক্ত রাখে

০ বাবা মায়েরা যাতে তাড়াতাড়ি সন্তানের কাছে চলে আসতে পারে চাকরি থেকে সেজন্য অফিস টাইম ৯-৬ টার পরিবর্তে ৯-৩ টা করা হয়
২২ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:০৫
273367
কানিজ ফাতিমা লিখেছেন : খুব ভাল কিছু প্রস্তাব। সরকার না করলেও জনগণ কিছু উদ্দ্যোগ নিতেই পারে। যেমন প্রতিটা apartment -এ একটা ফ্লোর বাচ্চাদের খেলার জন্য উন্মুক্ত রাখা। ধন্যবাদ
২৩ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:৩১
273466
ছালসাবিল লিখেছেন : আকাসকুসুম কল্পনা Tongue phbbbbt
২৩ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:৩২
273467
হতভাগা লিখেছেন : পোস্টটাও আকাশ কুসুম
331159
২২ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:০৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
এখন বেশিরভাগ মা-বাবা বিশেষ করে বাবা সন্তান দের সাথে খেলাধুলা করাকে মনে করেন অপমানজনক। তারা মনে করেন প্রচুর টাকা আর লেখাপড়ার চাপ প্রয়োগ করেই সন্তান কে বড় করতে হয়্
331171
২২ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২৩
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : সুন্দর পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:০১
273432
কানিজ ফাতিমা লিখেছেন : Happy
331175
২২ জুলাই ২০১৫ রাত ০৯:০৭
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:০২
273433
কানিজ ফাতিমা লিখেছেন : ধন্যবাদ
331199
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:৩৩
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন :
যোগাযোগের মধ্যে যেমন থাকা উচিত গুরুগম্ভীর আলোচনা তেমনি এবং পারস্পরিক হাসি-কৌতুক। মা-বাবার অবশ্যই সন্তানদের সাথে হাসি-কৌতুক এবং খেলাধুলা করা উচিত। কারণ হাসি-কৌতুক সম্পর্ক মজবুত করে এবং একঘেয়েমি ভাব দূর করে

সুন্দর বলেছেন আসলে এ বিষয়ে অবিভাবকদের একটু নজর দেয়া উচিত।

সুন্দর সচেতনতা মুলক লেখাটি. জন্য ধন্যবাদ।
331230
২৩ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:৩২
ছালসাবিল লিখেছেন : আপপপপপি, সময় মতো পড়ে নিবো, এখন বাচ্চা কাচ্চার কোন খবর নেই Hypnotised Hypnotised আমর ইয়ে কোথাও তাও জানি নাহ্ Crying Worried
331235
২৩ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৯:১২
কানিজ ফাতিমা লিখেছেন : প্যারেন্টিং আসলে শুরু হয় বিয়েরও আগে থেকে। কারণ বিয়ের সময় প্যারেন্টিংএ সচেতন কাউকে খুঁজে নিতে হয় Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File