নিকাহনামা
লিখেছেন লিখেছেন কানিজ ফাতিমা ০২ আগস্ট, ২০১৪, ১২:৩১:৪৫ রাত
বর্তমানে যে নিকাহনামা বাংলাদেশে প্রচলিত তা ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইনের ৯ ধারা অনুযায়ী তৈরি। এটি একটি ফরমের মতো যাতে ২৫টি অংশ রয়েছে। নীচে ক্রমানুযায়ী অংশগুলো উল্লেখ করছি। (সাধু ভাষায় লিখিত)
১. ওয়ার্ড, শহর, ইউনিয়ন, তহশীল, থানা এবং জেলার নাম যেখানে বিবাহ কার্য সম্পন্ন হইয়াছে।
২. নিজ নিজ বাসস্থানসহ বর ও তাহার পিতার নাম।
৩. বরের বয়স (বা জন্ম তারিখ)।
৪. নিজ নিজ বাসস্থানসহ কন্যা ও তাহার পিতার নাম।
৫. কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্তা নারী কি না?
৬. কন্যার বয়স (বা জন্ম তারিখ)।
৭. কন্যা কর্তৃক উকিল নিযুক্ত হইলে ঐ উকিলের নাম, পিতার নাম ও বাসস্থানের ঠিকানা।
৮. পিতার নাম, বাসস্থান ও কন্যার সহিত সম্পর্কের বর্ণনাসহ কন্যার উকিল নিয়োগের ব্যাপারে স্বাক্ষীদের নাম।
৯. বর কর্তৃক উকিল নিযুক্ত হইলে ঐ উকিলের ও পিতার নাম ও বাসস্থানের ঠিকানা।
১০. পিতার নাম ও বাসস্থানসহ বরের উকিল নিয়োগের ব্যাপারে স্বাক্ষীদের নাম।
১১. বিবাহের স্বাক্ষীদের নাম, তাহাদের পিতার নাম ও বাসস্থানের ঠিকানা।
১২. যে তারিখে বিবাহের কথাবার্তা ঠিক হইয়াছিল সেই তারিখ।
১৩. দেনমোহরের পরিমাণ।
১৪. দেনমোহরের কি পরিমাণ মু‘য়াজ্জল এবং কি পরিমাণ মু‘অজ্জল।
১৫. বিবাহের সময় দেনমোহরের কোন অংশ পরিশোধ করা হইয়াছে কি না? যদি হইয়া থাকে তবে উহার পরিমাণ কত?
১৬. বিশেষ বিবরণ ও পক্ষগণের মধ্যে চুক্তিসূত্রে নির্ণীতসহ কোন সম্পত্তি সম্পূর্ণ দেনমোহর বা উহার অংশ বিশেষের পরিবর্তে প্রদত্ত হইয়াছে কি না?
১৭. বিশেষ শর্তাদি থাকিলে তাহা।
১৮. স্বামী স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা প্রদান করিয়াছে কি না? করিয়া থাকিলে কি কি শর্তে?
১৯. স্বামীর তালাক প্রদানের অধিকার কোন প্রকারে খর্ব হইয়াছে কি না?
২০. বিবাহের সময় দেনমোহর, খোরপোষ ইত্যাদি সম্পর্কে কোন দলিল করা হইয়াছে কি না? যদি হইয়া থাকে তবে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
২১. বরের কোন স্ত্রী বর্তমান আছে কি না এবং থাকিলে অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য বর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অর্ডিন্যান্স মোতাবেক সালিসী কাউন্সিলের অনুমতি লইয়াছে কি না?
২২. অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য সালিসী কাউন্সিলের নিকট হইতে বরের নিকট প্রেরিত অনুমতিপত্রের নম্বর ও তারিখ।
২৩. যে ব্যক্তির দ্বারা বিবাহ পড়ানো হইয়াতে তাহার নাম ও জন্ম তারিখ।
২৪. বিবাহ রেজিস্ট্রি করার তারিখ।
২৫. পরিশোধিত ফি।
উল্লেখিত এই পঁচিশটি বিষয় রয়েছে বর্তমান নিকাহনামায়। এর মধ্যে কিছু বিষয় রয়েছে যা পাত্র-পাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের আলোচনা সাপেক্ষে স্থির হওয়া জরুরী। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই পাত্র-পাত্রী এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ বেখবর থাকেন, তারা জানেন না যে তাদের নিকাহনামায় কি লেখা হচ্ছে । যেমন ১৮নং ধারাটি, এখানে বলা হয়েছে স্বামী স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দান করিয়াছে কি না? এটা সাধারণত স্বামী বা স্ত্রী কাউকেই জিজ্ঞাসা করা হয় না। ঢালাওভাবে লেখা হয়, ‘যদি বনিবনা না হয় বা আমি খোরপোষ না দেই তবে আমার স্ত্রী আমাকে তিন তালাকে বাইন দিয়া বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করিতে পারবে।’ সৌভাগ্যবশত আইনের মাধ্যমে এই ধারাটি সেভাবেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আইনের দ্বারাই স্ত্রীর তালাক দিবার অধিকার বাংলাদেশে স্বীকৃত। অর্থাৎ কোন যৌক্তিক কারণে স্ত্রী যদি স্বামীকে তালাক দেয় তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী স্ত্রী মোহরানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না, অর্থাৎ মোহরানা বাকী থাকলে স্বামী মোহরানা আদায়ে বাধ্য থাকবে। আর মোহরানা আগেই আদায় হয়ে গেলে স্ত্রী মোহরানা ফেরতে বাধ্য থাকবে না। কিন্তু এই ধারাটিতে যদি ‘না’ লেখা হয় অর্থাৎ স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা না দেয় তবে স্ত্রী তালাক চাইলে (খোলা) স্ত্রীকে তার মোহরানার অধিকার ছাড়তে হবে অর্থাৎ মোহরানা আদায় হয়ে গেলে স্ত্রীকে সেটা ফেরত দিতে হবে। কাজেই এ ধারাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা স্ত্রীর অধিকারকে সংরক্ষণ করে।
১৭নং ধারাটিতে বলা হয়েছে বিবাহে কোন শর্ত আছে কি না। এখানেও পাত্র বা পাত্রী কাউকেই জিজ্ঞাসা না করে ঢালাওভাবে সাধারণত লেখা হয় ‘আমি আমার স্ত্রীকে মাসিক ভদ্রচিত হারে খোরপোষ দিব।’ এটি খুব সাধারণ একটি কথা। এটি লেখা না হলেও ইসলাম সম্মতভাবেই এটি প্রতিটি স্বামীর জন্য ফরজ। বস্তুত এই ধারাটি রাখা হয়েছে একারণে যাতে আলোচনার মাধ্যমে এখানে বিভিন্ন শর্তের উল্লেখ করা যায়। যেমন ছাত্রী বধুর ক্ষেত্রে থাকতে পারে ‘স্ত্রীর লেখাপড়া চালিয়ে যাবার ক্ষেত্রে আমি (স্বামী) সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো বা কোন বাধা প্রদান করবো না’ বা কোন স্ত্রী যদি শ্বশুরালয়ে থাকতে না চায় সেক্ষেত্রে ‘আমার স্ত্রী শ্বশুরালয়ে বসবাস করতে বাধ্য থাকবে না।’ মনে রাখা প্রয়োজন আলোচনা সাপেক্ষে এরূপ যে কোন হালাল শর্ত নিকাহনামায় সন্নিবেশিত হতে পারে। বিবাহে কোন স্টাইলের ডিজাইনের শাড়ী - গহনা দেয়া হবে সে আলোচনার থেকে ভবিষ্যত জীবন সুন্দর করার জন্য এ জাতীয় আলোচনা বা প্রয়োজনীয় শর্তের উল্লেখ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। স্ত্রীর পক্ষ থেকে যুক্তিসঙ্গত শর্তের প্রস্তাব করলে বরের পক্ষ থেকে সেটিকে বিরূপভাবে গ্রহণ করা উচিত নয়। এতে অপমানিত বোধ করারও কিছু নেই। মনে রাখতে হবে বিয়ে একটি পবিত্র চুক্তি যাতে শর্ত থাকাই স্বাভাবিক।
এই ফরমের দু’টি ঘাটতি আমার চোখে পড়েছে। প্রথমটি হলো, বাংলাদেশের অন্যান্য অনেক ফরমের মতোই এ ফরমেও পুরুষদের সুবিধাটা কিঞ্চিৎ বেশি। এ ফরমের ৫নং ধারায় দেয়া আছে কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্তা কিনা? কিন্তু বর কুমার, বিপত্নীক বা তালাকপ্রাপ্ত কি না সে ব্যাপারে কোন ধারার উল্লেখ নেই। অর্থাৎ একজন নারী বিধাবা বা তালাকপ্রাপ্তা হলে তাকে এ পরিচয় বহন করে বেড়াতেই হবে, কিন্তু পুরুষ বিপত্নীক বা তালাকপ্রাপ্ত হলেও সেটা তার পরিচয়ের অংশ হবে না; দ্বিতীয় বিবাহের সময় সমাজ তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করে বিব্রত করবে না।
দ্বিতীয় ঘাটতিটি হলো বিয়ের কথাবার্তা কবে হয়েছে এবং বিয়ে কবে রেজিস্ট্রি হয়েছে তার তারিখ এ ফরমে থাকলেও বিয়ে কবে হয়েছে তার কোন রেকর্ডের সুযোগ এখানে নেই। অনেক সময় এটা হয় যে, যেদিন বিয়ে হয় সেদিনই রেজিস্ট্রি করা হয় না। ফলে বিয়ের তারিখটির কোন রেকর্ডই এই ফরমে পাওয়া যায় না। আশা করি কর্তৃপক্ষ এ ঘাটতিগুলো বিবেচনায় আনবেন।
( ঈদের পরে অনেকেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন, তাদের জন্য এই পর্ব উত্সর্গ করলাম )
বিষয়: বিবিধ
২৮০৫ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উচ্চতা,
ওজন,
ব্লাড-গ্রুপ,
সনাক্তকারী চিহ্ন,
ভাষার পারদর্শিতা,
খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ এবং
শখ
সংযোজিত হলে আরো ভালো হয়! তাঁরা ব্লগার কিনা সে অপশনটিও সহৃদয়ে বিবেচনাযোগ্য! ধন্যবাদ আপনাকে!
স্ত্রীর তালাক দেয়ার ক্ষসতা আরোপটি বাধ্যতা মুলক। যা প্রচুর সমস্যার সৃষ্টি করছে সমাজে। অথচ ধর্মিয়ভাবে "খুলা" এপ সুযোগ আছে।কিন্তু নারি অধিকার রক্ষার নামে আমরা কত পুরুষ এবং তার পরিবারকে বিপদে ফেলছি।
০ যৌক্তিক কারণ কি প্রমাণ সাপেক্ষ , নাকি বললেই হয়ে গেল ? যদি যৌক্তিক কারণ প্রমান না করতে পারে অথবা স্ত্রীরই বেলেল্লাপনার জন্য স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিতে বাধ্য হয় ? তাহলে দেন মোহরের কি ফয়সালা ? সূরা বাকারার ২২৮-২২৯ নং আয়াতটা দেখে একটু বলেন ।
''এই ফরমের দু’টি ঘাটতি আমার চোখে পড়েছে। প্রথমটি হলো, বাংলাদেশের অন্যান্য অনেক ফরমের মতোই এ ফরমেও পুরুষদের সুবিধাটা কিঞ্চিৎ বেশি। এ ফরমের ৫নং ধারায় দেয়া আছে কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্তা কিনা? কিন্তু বর কুমার, বিপত্নীক বা তালাকপ্রাপ্ত কি না সে ব্যাপারে কোন ধারার উল্লেখ নেই।''
০ একটা বেসিক জিনিস আমাদের সবারই বোঝা উচিত ।
''ছেলেরা বিয়ে করে আর মেয়েরা বিয়ে বসে ''
কারণ বিয়ের প্রস্তাব ছেলের তরফ থেকেই যায় মেয়ের কাছে এবং মেয়ে পক্ষ সেটা কবুল করে বা বাতিল করে ।
তাই নিকাহ নামাটা ছেলের পক্ষ থেকেই হয় মেয়ের জন্য । সেখানে সে কি কি দেবে এবং মেয়ের প্রাথমিক বায়োডাটা কি কি থাকবে সেটা লেখা থাকে । এতে মেয়ে ছেলেকে কি দেবে তা লিখা থাকে না বা শক্ত করে কিছু বলাও থাকে না যেটা ছেলের ব্যাপারে বলা থাকে ।
এতে দেখা যায় যে যার তরফ থেকে নিকাহনামাটি তৈরি হল দিতে হবে শুধু তারই , যার সাথে চুক্তি হচ্ছে তার তরফ থেকে কিছু দেবার কথা বলা নেই ।
কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে আমরা দেখি ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন । চাকরিদাতার নিয়মকানুন দেখে চাকুরের মনে ভয় হয় যে , পান থেকে চুন খসলেই বুঝি চাকরি যাবে ।
নিকাহনামায় তার প্রাপ্য সবই লিখিত থাকলেও স্বামীরও যে তার কাছে প্রাপ্য আছে সেটা কোনকালেও নিকাহ নামায় লিখা থাকে না । আর লিখা থাকে না বলে ছেলেদের প্রাপ্য মেয়েরা ইজিলি ডিনাই করতে পারে যেহেতু কোন লিখিত এভিডেন্স নেই এর পক্ষে যেমনটা আছে মেয়েটার পক্ষে ।
কিন্তু মহান আল্লাহর উপর অগাধ বিশ্বাস আছে বলেই ছেলেরা নিজেদের প্রাপ্যটার জন্য কোন লিখিত চুক্তি করে না নিকাহনামার নামে ।
০ যৌক্তিক কারণ কি প্রমাণ সাপেক্ষ , নাকি বললেই হয়ে গেল ? যদি যৌক্তিক কারণ প্রমান না করতে পারে অথবা স্ত্রীরই বেলেল্লাপনার জন্য স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিতে বাধ্য হয় ? তাহলে দেন মোহরের কি ফয়সালা ? সূরা বাকারার ২২৮-২২৯ নং আয়াতটা দেখে একটু বলেন ।
''এই ফরমের দু’টি ঘাটতি আমার চোখে পড়েছে। প্রথমটি হলো, বাংলাদেশের অন্যান্য অনেক ফরমের মতোই এ ফরমেও পুরুষদের সুবিধাটা কিঞ্চিৎ বেশি। এ ফরমের ৫নং ধারায় দেয়া আছে কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্তা কিনা? কিন্তু বর কুমার, বিপত্নীক বা তালাকপ্রাপ্ত কি না সে ব্যাপারে কোন ধারার উল্লেখ নেই।''
০ একটা বেসিক জিনিস আমাদের সবারই বোঝা উচিত ।
''ছেলেরা বিয়ে করে আর মেয়েরা বিয়ে বসে ''
কারণ বিয়ের প্রস্তাব ছেলের তরফ থেকেই যায় মেয়ের কাছে এবং মেয়ে পক্ষ সেটা কবুল করে বা বাতিল করে ।
তাই নিকাহ নামাটা ছেলের পক্ষ থেকেই হয় মেয়ের জন্য । সেখানে সে কি কি দেবে এবং মেয়ের প্রাথমিক বায়োডাটা কি কি থাকবে সেটা লেখা থাকে । এতে মেয়ে ছেলেকে কি দেবে তা লিখা থাকে না বা শক্ত করে কিছু বলাও থাকে না যেটা ছেলের ব্যাপারে বলা থাকে ।
এতে দেখা যায় যে যার তরফ থেকে নিকাহনামাটি তৈরি হল দিতে হবে শুধু তারই , যার সাথে চুক্তি হচ্ছে তার তরফ থেকে কিছু দেবার কথা বলা নেই ।
কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে আমরা দেখি ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন । চাকরিদাতার নিয়মকানুন দেখে চাকুরের মনে ভয় হয় যে , পান থেকে চুন খসলেই বুঝি চাকরি যাবে ।
নিকাহনামায় তার প্রাপ্য সবই লিখিত থাকলেও স্বামীরও যে তার কাছে প্রাপ্য আছে সেটা কোনকালেও নিকাহ নামায় লিখা থাকে না । আর লিখা থাকে না বলে ছেলেদের প্রাপ্য মেয়েরা ইজিলি ডিনাই করতে পারে যেহেতু কোন লিখিত এভিডেন্স নেই এর পক্ষে যেমনটা আছে মেয়েটার পক্ষে ।
কিন্তু মহান আল্লাহর উপর অগাধ বিশ্বাস আছে বলেই ছেলেরা নিজেদের প্রাপ্যটার জন্য কোন লিখিত চুক্তি করে না নিকাহ নামার নামে ।
মেয়েদের জন্য কোটা আছে ছেলেদের জন্য নেই ।
যে কোন চাকরির ওয়েবসাইটে যান, দেখবেন বেশ কিছুতে লেখা আছে '' শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য'' যেখানে পুরুষরাও ক্যান্ডিডেট হতে পারে ।
প্রাইমারী বিদ্যালয়গুলোতে মেয়েদের জন্য লাগে এস.এস.সি. পাশ আর ছেলেদের লাগে ডিগ্রী পাশ - নুন্যতম ।
মেয়েদের জন্য শিক্ষা অবৈতনিক রাখা হয়েছে বা হচ্ছে ডিগ্রী পর্যন্ত । ছেলেদের জন্য এরকম নেই ।
বাসে মেয়েদের জন্য আলাদা সিট রাখা হয় , ছেলেদের জন্য রাখা হয় না ।
বাংলাদেশে তো মেয়েদের জন্য আলাদা আইনই বানানো হয়েছে শরিয়তের বিপরীতে গিয়ে যেটা পুরুষদের শরিয়ত প্রদত্ত প্রভাবের পরিপন্থী ।
এমন একটা আইন দেখান যেখানে মেয়েদেরকে ছোট করা হয়েছে পুরুষদেরকে সুবিধা দিয়ে ?
" পুরুষ বিয়ে করে আর নারী বিয়ে বসে " - অবাক হলাম শুনে। এটুকু অন্তত আমাদের জানা দরকার যে মেয়েরা বিয়ে বসে এটা হিন্দুয়ানী কালচার। ইসলামে নারী ও পুরুষ উভয়ে বিয়ে করে। খাদিজা রা বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন রাসুল স: তা গ্রহণ করেছেন।
আমার লেখায় বলেছি ফর্মে পুরুষের সুবিধা নিয়ে। উদাহরণ চেয়েছেন। হায় কপাল! বাংলাদেশের পাসপোর্ট খুলুন - পরিচয়ের পাতায় লেখা আছে পিতা বা স্বামীর নাম। হওয়া উচিত ছিল spouse name . একজন মহিলার তালাক হলে পাসপোর্ট পাল্টাতে হয় , কিন্তু একজন পুরুষের কোনো সমস্যাই নাই। আমি অবাক হচ্ছি এগুলো আপনাদের চোখেই পরেনা অথচ আপনারা বলার সময় বলেন আপনারা নারীদের অনেক সম্মান করেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন