রাসুলের মসজিদ বনাম আমাদের মসজিদ

লিখেছেন লিখেছেন কানিজ ফাতিমা ৩০ জুলাই, ২০১৪, ১২:২৫:৫১ দুপুর

"রাসুল (সা: ) বিশেষ ভাবে শিশুদের পছন্দ করতেন এবং প্রায়ই তাদের সাথে খেলাধুলা করতেন। .... তার নাতনী উমামাহ তার খুব স্নেহধন্য ছিলেন। তাকে কাধে করে তিনি নামাজের জামাতেও ইমামতি করেছেন; যখন তিনি রুকুতে যেতেন তখন তিনি তাকে কাধ থেকে জায়নামাজে বসিয়ে দিতেন; আবার সিজদা থেকে উঠে দাড়ানোর সময় (কিয়াম করার সময়) কোলে তুলে নিতেন" Struggling to surrender - প্রফেসর জেফরী ল্যাং, আমেরিকার কানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটির গণিতের অধ্যাপক।

আমি আমার জীবনে অনেক দেশের অনেক মসজিদে নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছি। আমি কোনো ইমামকে রাসুলের (সা: ) এর এই সুন্নাতের অনুসরণ করতে দেখি নাই। ইমামদের কথা নাহয় বাদই দিলাম, মুসুল্লি কোনো পুরুষকেও এই সুন্নাতের অনুসারী পাই নাই। আর বাংলাদেশের মসজিদে তো শিশুদের দূর দূর করা হয়। ভাবটা এমন যে রাসুলের নাতনী কাধে নিয়ে নামাজ পড়তে, ইমামতি করতে সমস্যা না হলেও মসজিদের চিপা চাপায় একটা শিশু থাকলেও আমাদের ভাইদের "আধ্যাতিকতায় " (?) বিরাট সমস্যা হয়। পরিস্থিতি যখন এমনটাই বিরূপ তখন কিছু বোনকে দেখেছি অপেক্ষাকৃত ছোট পরিসরে, সর্বাপেক্ষা কম সুবিধা প্রাপ্ত এসি বা ফ্যান হীন 'মহিলাদের নামাজের স্থানে' নামাজ পড়তে এসে এই সুন্নতটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন - শিশুদের কোলে নিয়ে নামাজ পড়ছেন। সাবাস বোনেরা, ইমামরা বা ভাইয়েরা যা পারেনি তোমরা তা পেরেছ, বাঁচিয়ে রেখেছ প্রায় বিলুপ্ত একটি সুন্নত। Salute Sisters.

বিষয়: বিবিধ

১০৪৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

249570
৩০ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:০৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মসজিদে শিশুদের নিয়ে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম অনেক আগে। এমনকি ঈদের দিন পর্যন্ত মসজিদে শিশুদের একটু আওয়াজে বেশি বিরক্ত দেখান অনেক মানুষ। যাদের বেশিরভাগই ঈদের নামাজের পর আর মসজিদেই আসেন না। এই অবস্থা শ্রিঘ্রই বন্ধ হওয়া দরকার।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File