Approaching the Sunnah: Comprehension and Controversy- ড : ইউসুফ আল কারদাওয়ী
লিখেছেন লিখেছেন কানিজ ফাতিমা ২১ জুন, ২০১৪, ১২:৪২:১০ রাত
ড : ইউসুফ আল কারদাওয়ী এর Approaching the Sunnah: Comprehension and Controversy বইটি সুন্নাহ বোঝার জন্য একটি অপরিহার্য বই। সুন্নাহ বিষয়ে ড: ইউসুফ আল কারদাওয়ী একজন প্রথম সারির স্কলার। তিনি তার বই Approaching the Sunnah: Comprehension and Controversy তে সুন্নাহকে সঠিকভাবে স্টাডি করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এখনকার সময়ের জন্য এই বইটি একটি সময়োপযোগী সংযোজন - কারণ বর্তমান সময়ে উম্মাহ সুন্নাহ নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তি ও বিতর্কে নিয়োজিত ও বিভক্ত। এব্যাপারে জ্ঞানের অপরিসীম অভাব, কঠিন ভুল বুঝাবুঝি, ভুল ব্যাখ্যা ও ভুল উপস্থাপন, prejudice (পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জনের পূর্বেই সংস্কারের ভিত্তিতে পছন্দ-অপছন্দ বা মতামত নির্ধারণ) উম্মাহকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। ফলে এসময়ে এমন একটি বই সুন্নাহের ব্যাপারে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গী লাভের জন্য একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্যে পরিনত হয়েছে।
অনেকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সুন্নাহর authenticity কে অস্বীকার প্রয়াস পান। কিন্তু ইসলামে সুন্নাহর অবস্থান ও গুরুত্ব অপরিসীম । এটাই কোরানের একমাত্র valid ব্যাখ্যা এবং ইসলামিক শরীয়ার দ্বিতীয় উত্স। কোরান সুস্পষ্ট ভাবে রাসুল ( স) এর আনুগত্যকে বিশ্বাসীদের জন্য বাধ্যতামূলক করেছে এবং এটাকে বিশ্বাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ করেছে। কাজেই সুন্নাহর authenticity কে যেমন একদিকে এড়িয়ে যাওয়া অনাকঙ্খিত তেমনিভাবে অন্যদিকে সুন্নাহকে সঠিক ও সামগ্রিক্ভাবে না বুঝে এর superficial জ্ঞানও সমাজের জন্য একটি বড় সমস্যার কারণ। এই বইটিতে সুন্নাহ বিষয়ক এসব মৌলিক সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে।
Approaching the Sunnah: Comprehension and Controversy বইটি তিনটি চ্যাপ্টারে বিভক্ত -
১ম চ্যাপ্টার -সুন্নাহর কতিপয় বৈশিষ্ট্য বা গুন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যেমন - universality (সার্বজনীনতা), coherence (সঙ্গতি সামঞ্জস্যতা), compassionate realism ( সহানুভুতি বা সদয় ভাবে বাস্তবতা অনুধাবন), moderation (মধ্যম পন্থা), এবং humility (বিনয় )
২য় চ্যাপ্টার -ইসলামী আইন শাস্রে (Jurisprudence) বা নৈতিক বিধান তৈরীতে সুন্নাহর মানদন্ড ও সুন্নাহকে ব্যবহারের পন্থা/ পদ্ধতি (standards and procedures) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে
৩য় চাপ্টার- সুন্নাহ বোঝার ক্ষেত্রে মুসলিম সমাজে যে কমন ভুলগুলো করা হয় তা বিস্তারিত উদাহরণসহ বর্ণনা করা হয়েছে , যেমন - হাদিসের পরিপেক্ষিত না জেনে শুধুমাত্র হাদিসের টেক্সট জানা; হাদিসের আইনগত দিক ও নৈতিক দিক (moral instruction)- এ দু'টির পার্থক্য না বোঝা বা গুলিয়ে ফেলা ; কোনটি উদ্দেশ্য আর কোনটি উদ্দেশ্য হাসিলের মাধ্যম (means and ends) তা বুঝতে না পারা; কথার ভাবার্থ আর আক্ষরিক অর্থের পার্থক্য না বোঝা (figurative and literal meaning ),ইত্যাদি।
পরিশেষে এ সমস্যা গুলো থেকে উত্তরণের পথ নিয়ে বইটিতে আলোচনা এসেছে।
পুরো বইটির মধ্যে তৃতীয় চ্যাপ্টারটি খুবই গুরুত্বের দাবীদার। ইসলাম যারা বুঝতে চান বা ইসলামের জন্য কাজ করতে চান তাদের জন্য বইটির এ অংশটি পড়ে নেয়া খুবই জরুরী যাতে করে তারা ইসলামের এই গুরুত্বপূর্ণ উত্স সুন্নাহকে বোঝার নিয়মাবলী সম্পর্কে অবগত হতে পারেন।
ইউসুফ আল কারদাওয়ীর মতে সুন্নাহের বিশেষ বৈশিষ্ট্য গুলো হলো -
১. এর সমগ্রতা (completeness ) ও ব্যাপকতা comprehensiveness . সুন্নাহ এর ব্যাপ্তি একদিকে যেমন vertically জীবনের শুরু বা জন্ম থেকে জীবনের শেষ বা মৃত্য অবধি তেমনি আবার horizontally এটি জীবনের সব বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। সাথে সাথে এর গভীরতা মানুষের চিন্তা ও ইচ্ছা বা intentions পর্যন্ত বিস্তৃত। অর্থাত সুন্নাহের ব্যাপ্তি মানুষের জীবনের সব অধ্যায় , সব বিষয় ও সব ফ্যাকাল্টিকে নিয়ে।
২. সুন্নাহের দ্বিতীয় বৈশিষ্ট হলো এর ভারসাম্যপূর্ণ (balanced) and মধ্যমপন্থী ও পরিমিত ( moderate) দৃষ্টিভঙ্গী। এটি জীবনের প্রতিটি বিষয়কে ভারসাম্য পূর্ণ করে। জীবনের কোনো একটি বিষয়কে বেশী গুরুত্ব দিতে গিয়ে অন্য বিষয়কে অবহেলা করে না। ইসলাম জীবনকে একক ইউনিট হিসাবে দেখে; জীবনের কাজকে দুনিয়াবী (secular) ও ধর্মীয় (religious) এরূপ দুই ভাগে খন্ডিত করে না- আর ইসলামের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্টটি সুন্নাহ থেকেই পরিস্কার হয়ে উঠেছে। সুন্নাহ থেকেই বিস্তারিত ভাবে বোঝা যায় জীবনের প্রতি ইসলামের এই একক দৃষ্টি ভঙ্গী।
৩. সুন্নাহের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট হলো এটা integrated , realistic (বাস্তবতা সম্পন্ন ) এবং সহজ (easy). সুন্নাহ মানুষকে একদিকে যেমন ফেরেশতা হিসাবে দেখেনা তেমনি জন্মগত পাপী (originally sinner) হিসাবেও দেখেনা। সুন্নাহ জীবনকে সহজ ও সুবিধাজনক (convenient) করতে চায়। রাসুল স বলেন " প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ আমাকে এজন্য প্রেরণ করেননি যে আমি সবকিছুকে কঠিন বা কষ্টকর করব বরং তিনি আমাকে প্রেরণ করেছেন শিক্ষক হিসাবে এবং সহজতা আনয়নের জন্য, মানুষের জীবনকে সহজ করার জন্য " পৃ - ৯
ইউসুফ আল কারদাওয়ী উম্মাহের বিভিন্ন দিক ও বিষয় নিয়ে প্রচুর লিখেছেন। educational, jurisprudential, cultural, দাওয়াতী - সব দিকেই তিনি লিখেছেন। এই বইটিতে তিনি যেটা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছেন তা হলো - মুসলমানদের চিন্তা প্রক্রিয়ার সমস্যা ( crisis in thought). এটাকেই তিনি বর্তমান সময়ে মুসলমানদের সব থেকে বড় সমস্যা বলে চিন্হিত করেছেন। লেখকের মতে সুন্নাহ বোঝার ক্ষেত্রে /insight into the sunnah ( শুধু জানা নয় ) এবং বাস্তব জীবনে এর ব্যবহার এর (application ) ক্ষেত্রে মুসলিমদের চিন্তার সীমাবধ্ধতা ( crisis in thought) এর একটি বড় প্রমান। পৃ - ১১
এই পরিস্থিতিতে মুসলমানদের জন্য এটা শেখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ যে কিভাবে সুন্নাহকে বুঝতে হয়/ insight into the sunnah ( শুধু মাত্র জানা নয় ) এবং কিভাবে জীবনের বাস্তব ক্ষেত্রে এর ব্যবহার করতে হয়।
লেখক সুন্নাহের ক্ষেত্রে তিন ধরনের চালেঞ্জকে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি রাসুল স এর একটি হাদিস এর মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে পাঠকদের সাবধান করেছেন, রাসুল স বলেন - "প্রত্যেক জেনারেশন / প্রজন্ম থেকে একজন ন্যায় পরায়ন ও সত্য সন্ধানী (just and upright) এর আবির্ভাব ঘটবে যিনি সুন্নাহের সঠিক জ্ঞানকে তুলে ধরবেন; এবং extremist দের কৃত ক্ষতি , মিথ্যা মিশ্রীতকারীদের বিচ্যুতি ও অজ্ঞ মানুষদের ব্যাখ্যা থেকে সুন্নাহকে মুক্ত রাখবেন। "
এই হাদিসে সুন্নাহের চালেঞ্জ হিসাবে তিনটি গ্রুপের কৃত ক্ষতিকে দেখানো হয়েছে -
১. Extremists- এরা সুন্নাহের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি / কঠোর/ প্রান্তিক দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করে ও সুন্নাহের উদ্দেশ্য থেকে একে সরিয়ে ফেলে ও ক্ষতি সাধন করে। সাধারণ দৃষ্টিতে এদের এক অংশকে সুন্নাহর অভিভাবক মনে হয়। কিন্তু বাস্তবে বাড়াবাড়ির কারণে এরা সুন্নাহের মূল স্পিরিট থেকে সরে পরে।
( অন্য প্রান্তে আরেক ধরনের extremist রা পুরো সুন্নাহ্কেই অস্বীকার করে )
২. Falsifier - এরা সুন্নাহ এর সাথে মিথ্যা মিশ্রিত করে/ মিথ্যা হাদিস তৈরী ও প্রচার করে।
৩. Ignorant - এখানে অজ্ঞ বলতে একেবারেই হাদিস সম্পর্কে জানেনা এমন গোষ্ঠিকে বোঝানো হয়নি। বরং বোঝানো হয়েছে একদল হাদিসের ব্যাখ্যা দানকারী শ্রেনী যারা যথেষ্ট লেখাপড়া ও গবেষণা ছাড়াই সীমিত সংখ্যক কিছু হাদিস জেনেই এর ব্যাখ্যা দান করে আর এসব ব্যাখ্যা দ্বারা তারা সুন্নাহের ক্ষতি করে ফেলে। তাদের সল্প জানা থেকে যে খন্ডিত ব্যাখ্যা আসে তা সুন্নাহকে তার প্রকৃত স্পিরিট থেকে দুরে নিয়ে যায়। (হাদিস পড়া, মুখস্থ করা আর হাদিসের গবেষণা ভিত্তিক জ্ঞান - এ দু'য়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে)
এরপর লেখক সুন্নাহ ব্যবহারের বিস্তারিতভাবে কিছু মৌলিক নীতি (fundamental principles for the application of the Sunnah) আলোচনা করেছেন যাতে মুসলমানেরা নিজস্ব জ্ঞানের মাধ্যমে Extremist দের বাড়াবাড়ি, মিথ্যা মিশ্রীতকারীদের বিচ্যুতি আর জ্ঞানহীন ব্যাখ্যা গুলোর ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকতে পারে।
সুন্নাহের বিশেষ বৈশিষ্ট গুলো আলোচনার পরে লেখক ইউসুফ আল কারদাওয়ী সুন্নাহ ব্যবহারের বিস্তারিতভাবে কিছু মৌলিক নীতি (fundamental principles for the application of the Sunnah) আলোচনা করেছেন যাতে মুসলমানেরা নিজস্ব জ্ঞানের দ্বারাই Extremist দের বাড়াবাড়ি,মিথ্যা মিশ্রীতকারীদের বিচ্যুতি আর জ্ঞানহীন ব্যাখ্যা গুলোর ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকতে পারে।
লেখকের মতে সুন্নাহ বোঝা ও ব্যবহারের ( application) মূলনীতি গুলো নিম্নরূপ -
প্রথমত : সনদ ও মতনের ভিত্তিতে সুন্নাহের/ হাদিসের শুদ্ধতা যাচাই করতে হবে। Scientific methodology অনুসারে এই যাচাইয়ের কাজ করতেহবে। সন্নাহের সনদ বা বর্ণনাকারীদের পরম্পরা যাচাই যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনিভাবে সুন্নাহের মতন বা টেক্সট যাচাই ও গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বিতীয়ত : রাসুল স এর কথা বুঝতে হবে ( শুধু মাত্র আক্ষরিক অর্থে নয় বরং) ভাষার সামগ্রিক ভাবের মাধ্যমে। তাই হাদিসের সঠিক অর্থ বুঝার জন্যওই সময়ের পারিপার্শিকতা (circumstances ), ইসলামের সামগ্রিক উদ্দেশ্য ( the totality of the purposes of Islam), হাদিসের সামগ্রিক উদ্দেশ্য(the general intent of hadith), আইন প্রণয়নকারী ও অ-আইন প্রণয়নকারী (legislative and non-legislative) হাদিসের পার্থক্য - এসববিষয় বুঝতে হবে ও বিবেচনায় আনতে হবে। (পৃ -২০)
তৃতীয়ত: কোনো হাদিস এর থেকে শক্তিশালী কোনো টেক্সটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক (contradictory) হলে সেক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতির মাধ্যমে সেই হাদিসের টেক্সটের অর্থ গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে কোনো হাদিস বা এর অর্থ এমন হবে না যাতে তা এর থেকে শক্তিশালী কোনো টেক্সট যেমন কোরানের আয়াত, অন্য কোনো হাদিস যার অনেক বেশী সোর্স রয়েছে বা যাচাই বাছাইয়ে অধিকতর প্রমাণসিদ্ধ (more authentic ),ইসলামের মৌলিক principle এর সঙ্গে বেশী সঙ্গতি পূর্ণ হাদিস বা আইনের বিধানের উদ্দেশ্যের সঙ্গে বেশী সামঞ্জস্যশীল হাদিস - ইত্যাদির সঙ্গে বিরোধ ঘটে।
লেখক এই পর্যায়ে জোর দেন যে আইনগত সুন্নাহ ও নির্দেশনা মূলক সুন্নাহ (Legislative Sunnah and Guidance Sunnah ) - দুইয়ের ক্ষেত্রেই এরশুদ্ধতা প্রমানিত হতে হবে - authentic হতে হবে। কিন্তু , অর্চার্য জনক দেখা যায় যে অনেক মুসলিম আইনগত সুন্নাহ এর শুদ্ধতা এর ব্যাপারে সচেতনতা প্রদর্শন করলেও দিকেনির্দেশনা মূলক সুন্নাহ এর শুদ্ধতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা বোধ করে না। আর এই জন্য দাওয়ার বইগুলো ( যাতে অন্তর নরম করে/ যা আবেগকে উদ্বেলিত করে ) এবং সুফিইযম এর বইগুলো মিথ্যা ও সন্দেহ পূর্ণ হাদীছে ভরপুর। আবার এটাও দেখা যায় অনেক মানুষ ভালোর জন্য বা মানুষের ভালো হবে এমন মনে করে জেনে শুনে মিথ্যা হাদীছ তৈরী করে বা হাদিস কে বাড়িয়ে বলে। এধরনের মানসিকতাকে লেখক উদ্বেগপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করেন এমন মিথ্যা হাদিস তৈরী এমন মানসিকতার বহিপ্রকাশ যে আল্লাহ ধর্ম কে পরিপূর্ণ করেননি বা করতে পারেননি ; কাজেই এক্ষেত্রে আল্লাহর তাদের সাহায্য দরকার হয়ে পড়েছে। এটা একধরনের খেয়ালী।,দাম্ভিকতা ও অহংকারী মানসিকতার বহিপ্রকাশ।
(এটি বইটির অনুবাদ নয়, বইটির উপরে আলোচনা)
বিষয়: বিবিধ
১২৮৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকিল্লাহ
বইটির বাংলা অনুবাদ হয়েছে নাকি?
আপনি এখানেও পোস্ট দিলে ভালো হয়
এবং এখানেও
এবং এখানেও
তবে আমি যখন বাংলাটা পড়েছিলাম তখন ততটা সুখ পাঠ্য পায়নি। তাই ইংরেজীটা পড়েছি - আর এখন সহজ বাংলা করার চেষ্টা করছি। এই লেখাটা তার প্রাথমিক একটি ধাপ
আর যে পাপী এমন ভাবে যে আল্লাহ দ্বীনকে পরিপূর্ণ করতে পারে নি, সে তো কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়.....ভূল বললাম না তো??
ধন্যবাদ লেখিকাকে, তাঁর এই শ্রমের জন্য। আশা করি অচিরেই পূর্ণ বইটির বাংলা অনুবাদ পাবো আমরা।
আমি মানুষকে কাফের , মুশরিক এরকম বলা থেকে বিরত থাকি। আমি মনে করি আমার দায়িত্ব মানুষের ভুল ধরিয়ে দেয়া। আল্লাহর দায়িত্ব বেহশত দোজখ নির্ধারণ করা।
তাছাড়া আমি দেখেছি - একে অন্যকে কাফের / মুশরিক/ দালাল - এরকম ডেকে আমরা বিভেদ বাড়িয়েছি , সমস্যা বাড়িয়েছি
যারা ইচ্ছাকৃত জাল হাদিছ বানিয়েছেন তাদের কাজকে আমরা ঘৃনা করবো - কিন্তু তারা এজন্য কাফের হলো কিনা সেটার রায় দিয়ে দেব না। রায় দেয়ার ক্ষমতা ও হক একমাত্র আল্লাহর।
আবারও ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর উপস্থাপনা ও বইয়ের অধ্যয় ভিক্তিক বিষয় বস্তু তুলে ধরার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন