বাচ্চাদের ভাষা শিক্ষা দান

লিখেছেন লিখেছেন কানিজ ফাতিমা ০৯ জুন, ২০১৪, ০২:২৫:৫৯ রাত

বাচ্চদের ভাষা ( ইংলিশ বা আরবী ) শিক্ষা দেবার সময় একটা ব্যাপার জানা জরুরী। ব্যাপারটা হলো আমাদের মস্তিস্ক ভাষাকে কিভাবে গ্রহণ করে সেটা বোঝা ।

খুব সাধারণ ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় আমাদের মস্তিস্ক সাউন্ড বা ধ্বনির সঙ্গে ছবি (Picture) মিলিয়ে (Match করে ) এর অর্থ তৈরী করে।

যেমন , কোনো বাচ্চা যখন শোনে " ঘোড়া " তখন তার মস্তিস্ক এই শব্দ ( Sound) এর সঙ্গে কোন চিত্র বা ছবি মিলে (match করে) তা খুঁজে। সে যখন মিল পায় তখন সে সেই ছবিটি আউটপুট দেয় - সাথে সাথে বাচ্চাটি বুঝতে পারে ঘোড়া কি জিনিস।

একই ভাবে একটি কানাডিয়ান বাচ্চাকে যখন বলা হয় " ঘোড়া " তখন তার মস্তিস্ক এই শব্দ (Sound) এর সঙ্গে কোন চিত্র বা ছবি মিলে (match করে) তা খুজতে থাকে। তার মস্তিস্ক এই শব্দ (Sound) এর সঙ্গে কোন চিত্র বা ছবির মিল পায় না। তখন সে সিগনাল পাঠায় যে এর কোনো অর্থ তার কাছে নেই - ফলে বাচ্চাটি বোঝেনা "ঘোড়া " কি জিনিস।

এভাবে ব্রেন সাউন্ড ও ছবির মাচিং পদ্ধতির (Visualization) মাধ্যমে ভাষার অর্থ তৈরী করে বা ভাষা বোঝে।

কিন্তু আমরা যখন আমাদের বাচ্চাদের ভাষা শিখাই তখন ভাষাকে অনুবাদের মাধ্যমে শিখাই। যেমন বলি Horse অর্থ ঘোড়া। এতে বাচ্চার ব্রেন প্রথমে 'Horse' সাউন্ড টা নেয় পরে সেটাকে পরিবর্তন করে 'ঘোড়া' সাউন্ডে তারপর ম্যাচ করে ছবির সঙ্গে। এতে ব্রেনকে বেশী কাজ করতে হয় ও সময় বেশী লাগে। এতে বাচ্চাকে মুখস্থের আশ্রয় নিতে হয়, ফলে কিছুদিন পরে ভুলে যাবার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে । কাজেই ভাষা শিক্ষা হওয়া উচিত ছবি ভিত্তিক - অনুবাদ ( বা মানে ) ভিত্তিক নয়। সে অনুযায়ী যদি বাচ্চাকে ঘোড়ার ইংরেজী শেখাতে হয় তবে Horse শব্দটির সঙ্গে এর ছবি দিতে হবে। (ঘোড়া ইংরেজী horse এভাবে না)

যারা বাচ্চদের আরবী শেখাচ্ছেন তাদের প্রাথমিক দিকে এমন বই ব্যবহার করা উচিত যাতে শুধু আরবী শব্দ (বা বাক্য) ও ছবি থাকবে ( বাংলা অর্থ থাকবে না )। এতে বাচ্চার ব্রেন দ্রুত ও সঠিক ভাবে শব্দের অর্থ গ্রহণ করবে।

বিষয়: বিবিধ

১২৭০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

232666
০৯ জুন ২০১৪ সকাল ০৯:৪৭
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : ভালো লাগলো
232714
০৯ জুন ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ শিক্ষনিয় পোষ্টটির জন্য। একবার পড়েছিলাম বাচ্চাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশন অতি গুরুত্বপুর্ন। আমার প্রায় চার বছর বয়সি কন্যা দুই তিনবার দেখেই কম্পিউটার অন অফ করার মত কাজগুলি শিখে গিয়েছে। এমনকি কয়েকটি শিশুতোষ গেম খেলতে ও আঁকতে পারছে।
232737
০৯ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:০৬
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : গতকাল আমার ছোট বোন তার ছেলে সম্পর্কে বলছে যে পড়তে বসলে খালি দুষ্টমি করে পড়ার মধ্যে কোন আকর্ষন নাই। তাই, আমি পরামর্শ দিয়েছিলাম - পড়াকে তার কাছে আকর্ষনীয় করে তুলতে। পড়ার গল্পগুলোর মাঝে তাকে অংশগ্রহন করাতে যেন সে নিজেও ঐ গল্পের একজন সদস্য। গনিত করাতেও তাই যেন সে গনিতের সমাধান কষতে আনন্দ অনুভক করে যেমন তার প্রিয় খেলনাগুলো গননা করার মাধ্যেমে যোগ-বিয়োগ শেখানো যেতে পারে।

ধন্যবাদ আপনার চমৎকার চিন্তাশক্তির প্রখরে লেখা শিক্ষনীয় পোষ্টটির জন্য।
232793
০৯ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৬
প্রশান্ত আত্মা লিখেছেন : তাহলে যেসব গ্রামের ছেলেরা ঢাবি কিংবা বুয়েটে পড়ে তাদের কিভাবে শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল!!তাদের মা-বাবা তো ছিল বকলম!!তারা এত মেধাবী হল কি করে!!একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন ঢাবি কিংবা বুয়েটে এদের সংখ্যাটাই বেশী!পড়া গিলানোর জন্য এত থিওরির দরকার নাই!
233055
০৯ জুন ২০১৪ রাত ১১:৪৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File