স্বামী-স্ত্রীর প্রাইভেসী
লিখেছেন লিখেছেন কানিজ ফাতিমা ০২ জুন, ২০১৪, ১২:০০:০৬ রাত
আজ যে বিষয়টির অবতারণা করতে চাই তা হলো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোপনীয়তা বা প্রাইভেসীর সীমা কতটুকু তা নিয়ে। স্বামী-স্ত্রী পরস্পর থেকে কি কোন কিছুই গোপন করতে পারবেন না, নাকি পারবেন?; পারলে তার পরিধি বা সীমা কতটুকু হবে তা নিয়ে স্কলারদের মতামত তুলে ধরবো।
এটা পরিষ্কার যে স্ত্রী তার স্বামীর নিকট থেকে গর্ভের ব্যাপারটি গোপন করতে পারবেন না। গর্ভের ব্যাপারটির পরে অন্যান্য বিষয় নিয়ে সাধারণ নীতি হলো - পারস্পরিক সুসম্পর্কের জন্য নিজেদের মন খুলে যতটা পরস্পরের কাছাকাছি আসা সম্ভব ততটা আসাই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু পিছনের জীবনের কোন ঘটনা যার সঙ্গে বর্তমানের কোন লাভ-লোকসান জড়িত নয়, যা প্রকাশিত হলে অন্যপক্ষ মনে কষ্ট পাবে বা সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে, তা গোপন করাই উত্তম। এছাড়াও বর্তমানের এমন কোন কাজ যা জানানো জরুরী নয় বা যা জানা অন্য পক্ষের অধিকারে পড়ে না তা না জানালেও দোষের কিছু নেই। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় - স্বামীর অর্থ সম্পদ স্বামীকে না জানিয়ে স্ত্রী অন্যকে দিতে পারবে না। এক্ষেত্রে তথ্য গোপন করা স্ত্রীর জন্য ঠিক নয়। কিন্তু স্ত্রী যদি নিজ উপার্জন থেকে নিজ পিতামাতাকে সাহায্য করেন এবং আশংকা থাকে যে, স্বামী তা জানলে সংসারে অশান্তি তৈরি হবে তবে স্ত্রী এটা গোপন করতে পারবেন। ঠিক একইভাবে স্বামী তার পিতামাতাকে ভরণপোষণ করলে যদি স্ত্রী মনক্ষুন্ন হন তবে স্বামী স্ত্রীকে না জানালেই ভাল হবে।
এ সম্পর্কে ইসলাম অনলাইন ফতোয়া ব্যাংক-এর মত হলো, “স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্বাস ও সততার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা উচিত। স্বামী ও স্ত্রীর সবরকম প্রচেষ্টা চালানো উচিত যাতে পারস্পরিক বিশ্বাস ও নির্ভরতা গড়ে ওঠে। ভিত্তিহীন সন্দেহ সংশয় থেকে সংসারকে বাঁচিয়ে রাখা উচিত, নয়তো তা থেকে পরিবারে ভাঙ্গন আসতে পারে। তবে যদি কারও নৈতিক চরিত্র সম্পর্কে সত্যিকারের সন্দেহ সৃষ্টি হয়েই যায় তবে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েরই অধিকার থাকে একে অন্যের চলাফেরা, কথাবার্তা, চিঠির আদান-প্রদান (mail or email) প্রভৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার।”
একজন স্বামী ইসলাম অনলাইনে প্রশ্ন করেছিলেন যে, তিনি তার স্ত্রীর ই-মেইল এর পাসওয়ার্ড জানতে চান এবং তিনি মনে করেন এটা জানা তার অধিকার। একইভাবে তার স্ত্রীও তার ই-মেইল পাসওয়ার্ড জানা নিজের অধিকার মনে করেন। ইসলাম এ ব্যাপারে কী বলে?
জবাবে ড. মোজাম্মিল সিদ্দকী (প্রেসিডেন্ট, ফিকাহ কাউন্সিল, নর্থ আমেরিকা) বলেছেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক একটি বিশেষ (Unique) সম্পর্ক। অন্য কোন সম্পর্ক এতটা কাছের, এতটা নিকটবর্তী হয় না। স্বামী-স্ত্রী শুধুমাত্র একে অন্যের সঙ্গীই নয় বরং তারা সর্বোত্তম বন্ধু, সর্বোত্তম সাথী, সর্বোত্তম সহযোগী। তারা একে অন্যের আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ, সাফল্য-ব্যর্থতা ভাগাভাগি করে নেয়। তারা সুস্থ-অসুস্থ সর্বাবস্থায় একে অন্যকে সঙ্গ দেয়। ঘুমাতে যাবার পূর্বে সর্বশেষ যে মানুষটিকে আমরা দেখি তা হলো আমাদের স্বামী বা স্ত্রী। আবার ঘুম থেকে জেগে সর্বপ্রথম আমরা যাকে দেখি সে হচ্ছে আমাদের স্বামী বা স্ত্রী। আমরা প্রতিদিন আমাদের জীবনকে ভাগাভাগি করে নেই। এভাবে বছরের পর বছর চলে। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত জীবনের বেশীর ভাগ সময় এভাবে আমরা তাদের সঙ্গেই অতিবাহিত করি। এরূপ আর কোন সম্পর্ক কী হতে পারে?
আল কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা একটি রূপকের মাধ্যমে এ সম্পর্ককে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন-
"তোমরা তাদের পোশাক এবং তারা তোমাদের পোশাক।” (বাকারা : ১৮৭)
পোশাক বা লিবাস মানুষকে আরাম দেয়, বৈরী আবহাওয়া থেকে রক্ষা করে, সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং পোশাকই শরীরের সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী থাকে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কও তদ্রুপ।
সংসারের সুখ-শান্তির জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সর্বক্ষেত্রে পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা থাকতে হবে। খোলামেলাভাবে পারস্পরিক আলোচনার চর্চা থাকতে হবে। তাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে যাতে করে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের পরিবেশ তৈরী হয়। যদি অন্য পক্ষের চরিত্র সম্পর্কে কোন সন্দেহের কারণ ঘটে তবেই শুধুমাত্র একে অন্যের সার্বিক তথ্য (যেমন কোথায় যাওয়া হয়, কার কার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, চিঠিপত্রের লেনদেন প্রভৃতি) সম্পর্কে জানার অধিকার জন্মে। নতুবা একে অন্যের জীবন সম্পর্কে খুঁটিনাটি জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন নেই।”
বিষয়: বিবিধ
৪০৪৬ বার পঠিত, ৬০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ফেইসবুকে আমাকে এ্যাড করলে খুশী হবো।
https://m.facebook.com/estiak.ahmed.39395
অথবা আপনার আইডি লিংক দিন।
"যদি অন্য পক্ষের চরিত্র সম্পর্কে কোন সন্দেহের কারণ ঘটে তবেই শুধুমাত্র একে অন্যের সার্বিক তথ্য (যেমন কোথায় যাওয়া হয়, কার কার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, চিঠিপত্রের লেনদেন প্রভৃতি) সম্পর্কে জানার অধিকার জন্মে। নতুবা একে অন্যের জীবন সম্পর্কে খুঁটিনাটি জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন নেই।"
১. পাসওয়ার্ড জানতে না চাওয়া উত্তম। চাইলে সেটা পরোক্ষ ভাবে বলা হয় যে আমি তোমার তোমার প্রাইভেসী কে বিশ্বাস করিনা। একজন পাসওয়ার্ড চাইলে অন্যের পক্ষে এটা বলা কঠিন যে " আমি দিতে চাই না ". ফলে এটা একধরনের পরোক্ষ চাপ।
২. না চাইতেই যদি একজন আরেকজনকে পাসওয়ার্ড দিয়ে দেয় তবে দোষের কিছু নেই
৩. দুজনকেই বুঝতে হবে প্রাইভেসী মানেই শিথিল সম্পর্ক না। উধাহরণ দিচ্ছি - আমার বোন্ যদি আমার কাছে তার মেয়েলী গোপন কোনো বিষয়ে পরামর্শ চায় বা আমার হাসবেন্ডের ভাই বা বন্ধু যদি তাদের পুরুষালী কোনো কিছু নিয়ে মেইল করে সেক্ষেত্রে একজনের তা অন্যজনের জন্য এম্বারাসিং। তাই সব সম্পর্কেই একটা প্রাইভেসীর জায়গা থাকে যাকে রেসপেক্ট করতে হয়।
আমি নিজে দুটি ঘটনা জানি যেখানে (মজার ব্যাপার হলো দুজন বাংলাদেশী হাসবেন্ডই উন্নত বিশ্ব থেকে পি এইচ ডি করা, আমি এটা এজন্য বলছি যে এ ঘটনা শিক্ষিত মহলেও ঘটছে-এটা বোঝানোর জন্য ) তারা নিয়মিত স্ত্রীর মেইল চেক করেন - স্ত্রীরা তা ঘৃনা করেন ( তারা নিজেরা আমাকে অনেক বার বলেছেন), কিন্তু কিছু বলতে পারেন না। - এমনটা নিন্দনীয়। মনে রাখতে হবে নতুন ইমেইল আড্ড্রেস খোলা কোনো ব্যাপারই না , ইমেইল দিয়ে কারো ওপর খবরদারী করতে যাওয়া একেবারেই হালকা বুদ্ধির কাজ।
সংসার মানেতো পবিত্র ভালোবাসার ছাউনি বা ছাদ... যে ছাদটি দাড়িয়ে থাকে বিশ্বাস নামক মজবুত খুটির উপরে।
আর সাথে সাথে নিজের সঙ্গীকে বলে দেয়া... যে এটা একটা ওপেন এ্যাড্রেস.. যে কেউ চাইলেই ভালো/মন্দ মেইল পাঠাতে পারে... ওটার জন্য আমার অনুমতির দরকার হয় না। ...... তাই যদি কোন মেইল তোমার মনে প্রশ্ন জাগারমতো হয় - মন খারাপ না করে, রাগ না করে, সন্দেহ না করে আমার সাথে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করলেই সমাধান পাওয়া সম্ভব হবে। (হতে পারে কেউ -- আমার/তোমার শত্রু/মিত্ররা -- শত্রুতাকরে কিংবা দুষ্টুমি করে এমন কাজ করে থাকতে পারে যাতে আমাদের দাম্পত্য বন্ধনে যেন ফাটল ধরে)।
তাই যাচাই না করে কোন কিছু করা কোন অবস্থাতেই ঠিক নয়। আর আমিতো তোমাকে বিশ্বাস করি বলেই আগেথেকে নিজের পাসওয়ার্ড দিয়ে দিছি। .......... এভাবে বলে রাখলে হয়তো সম্পর্কটা আরো দৃঢ় হবে ......।
আমার ব্লগের, ফেসবুকের,সকল ই-মেলের পাস-ওয়ার্ড আমার স্ত্রী ও সন্তারা জানে।
কারন আমার মৃত্যুর পর এগুলো কিছুটা কাজে লাগবে তাদের।
আমার মনেহয় বিয়ের আগে বেশি সময় ব্যয় করে সঙ্গী নির্বাচন করা উচিত যাতে তার সাথে সারাটা জীবন কাটা যায় এমন (সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা) যেন কোন অবস্থায় না আসে।
ভাল হয়েছে । ভাল লেগেছে । ভাল লিখেছে(ন) ।
ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টি উপহার দেয়ার জন্যি ।
স্টিকি পোস্টের জন্যি অভিনন্দন রইলো।
শুভেচ্ছা নিবেন-
কেন ? ফুল তো বাসি হয় নাই ? সুতরাং দিতে তো সমস্যা নাই । আছে কি ?
আর সাথে সাথে নিজের সঙ্গীকে বলে দেয়া..." যে এটা একটা ওপেন এ্যাড্রেস.. যে কেউ চাইলেই ভালো/মন্দ মেইল পাঠাতে পারে... ওটার জন্য আমার অনুমতির দরকার হয় না। ...... তাই যদি কোন মেইল তোমার মনে প্রশ্ন জাগারমতো হয় - মন খারাপ না করে, রাগ না করে, সন্দেহ না করে আমার সাথে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করলেই সমাধান পাওয়া সম্ভব হবে।
(হতে পারে কেউ -- আমার/তোমার শত্রু/মিত্ররা -- শত্রুতাকরে কিংবা দুষ্টুমি করে এমন কাজ করে থাকতে পারে যাতে আমাদের দাম্পত্য বন্ধনে যেন ফাটল ধরে)।
তাই যাচাই না করে কোন কিছু করা কোন অবস্থাতেই ঠিক নয়। আর আমিতো তোমাকে বিশ্বাস করি বলেই আগেথেকে নিজের পাসওয়ার্ড দিয়ে দিছি।" .......... এভাবে বলে রাখলে হয়তো সম্পর্কটা আরো দৃঢ় হবে ......।
ইমেইল আইডি পাসওয়ার্ড দেয়ার নাম কখনও" বিশ্বাষ " হতে পারেনা। দিয়ে দেইখো। তুমি এতো বোকা কেন?
আর সে যদি তোমাকে বিশ্বাষ করে তবে কেন সে তোমার পাসওয়ার্ড নিবে?(!)
হারিকেন বিপদে পড়বা বড় ধরনের বিপদ ।
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটাই এমন হওয়া উচিত, যেখানে কোন পাসওয়ার্ড গোপন থাকবে না।
আপনার উদারতা ও আপনত্ব দেখে উনিও আপনাকে সহজে আপন করে নিতে পারবেন।
০ তার মানে স্বামীকে জানিয়ে দিতে পারবে।
স্ত্রীর সম্পদ কি স্বামী স্ত্রীকে জানিয়ে অন্যকে দিতে পারবে ?
মেয়ে উপার্জন করে তার বাবা মাকে সাহায্য করতে পারে বা ছেলে তার বাবা মাকে সাহায্য করতে পারে - এতে আরেকজনের মাইন্ড করার কি আছে ? সংসারের ব্যয় উভয়ে ঠিকঠাক রেখে করলে তো সমস্যা হবার কথা নয় । তাছাড়া বাবা মায়ের হক আছে তাদের ছেলে/মেয়ের উপর ।
শুধু ছেলেরাই বাবা মায়ের হক পূরণ করবে - এরকম মানসিকতা ঠিক না , কারণ বাবা মা ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই লালন পালন করেছিলেন । এটা স্বামী-স্ত্রী (ছেলে/মেয়ে)উভয়কেই বুঝতে হবে ।
আর পুরনো কাসুন্দি যা কি না অন্যের কাছ থেকে জানলে মন খারাপ হবে তা ভালয় ভালয় আগেই জানিয়ে ফেলা উচিত । এর ফলে যা হবার হবে , তবে না জানিয়ে লুকোচুরি করলে সারাজীবন চলা খুব পেইনফুল হবে। এতে মনোমালিন্য সারা জীবন লেগেই থাকে ।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি এইসব ঢাক ঢাক গুড় গুড় কেউ করে , তাহলে বুঝতে হবে সে ডুবে ডুবে জল খাচ্ছে ।
হতভাগা ভাই এই বিষয়টা জানার কারনে বা এই বিষয়টির কারনে হাজারো সংসারে অশান্তি চলছে।
এটা পত্রিকার রিপোর্ট নয় এটা হলো আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা
নিজেই আপনার আশপাশ দেখুন প্রমান পেয়ে যাবেন।
আর এ বিষয় গোপন থাকাই ভালো।
টেনশন নিয়ে চললে বিভিন্ন রোগ বাসা বেঁধে বসবে শরীরে । আত্মীয় স্বজন বা বন্ধুবান্ধবদের সমাবেশে মুখে কৃত্রিম হাসি নিয়ে চলাফেরা করতে হবে ।
সংসারে খিটিমিটি লেগেই থাকবে......
আমার ফেসবুক এর পাসওয়ার্ড আমার স্ত্রী জানে। আমার টাইমলাইনে আমার ও বন্ধুদের পোস্টগুলো পড়াশোনা ও সংসারের কাজ সামলে সময় পেলে পড়ে। বিষয়টি এমন নয় যে, সে আমাকে সন্দেহ করে(মনে কি আছে তা আল্লাহ ভাল জানেন)। আমিই আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে দিয়েছি। আমার ফ্রেন্ডলিস্ট বড়, টাইমলাইনে অনেক শিক্ষণীয় পোস্ট আসে এজন্য।
আমার স্ত্রীরও ফেবু একাউন্ট আছে যার পাসওয়ার্ড আমি জানিনা মানে জানতে চাইনি। যদিও নিজের একাউন্ট এ খুব কালে ভদ্রে উঁকি মারে আমার উনি। বাচ্চার পেছনে সময় দেয় বেশি, ফেবু তে স্ট্যাটাস দেয় খুব কম। আমার টা পড়েই তাঁর স্বাদ মিটে।
আমি দেওয়ার আর একটি বড় কারণ হলো, শয়তান যেন কখনো পরাজিত করতে না পারে। স্ত্রীর নজরদারিতে থাকলে মন্দ কিছুতে প্ররোচিত হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
উপরে মন্তব্যে একাধিক স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে গোপনীয়তা রক্ষার যে কথা বলা হয়েছে সে সম্পর্কে সুরা আত তাহরীমের তাফসির পড়ে দেখতে পারেন। এই সূরায় রাসুল (সস্ত্রীদের একজনকে গোপন কিছু বলেন এবং সে তা অন্য স্ত্রীর কাছে প্রকাশ করে। আল্লাহপাক ওহীর মাধ্যমে তা নবীকে অবহিত করেন এবং রাসুল( স এ বিষয়ে স্ত্রীদের ডেকে সাবধান করেন এবং তওবা করতে বলেন। এ থেকে বুঝা যায়, রাসুল (সস্ত্রীদের মধ্যেও গোপনীয়তা রক্ষার কথা বলা হয়েছে। ঘটনা সংক্ষেপে লিখলাম,আপনি পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
জাজাকাল্লাহ। নিয়মিত লিখবেন
সুন্দর পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং
ফেসবুক, ইমেইল সহ যাবতীয় কর্মকান্ডে লুকানোর প্রবনতা সন্দেহ তৈরী করবে। সুতরাং স্বচ্ছ থাকাই উত্তম। এটা মেনে চলার নামই হুদুদ।
আবার অধিক পরিমানে সন্দেহ করাও খারাপ। যে সমস্ত স্ত্রী লেখাপড়া জানেনা, স্বামীর কথার উপর বিশ্বাস করেই সংসার করছে। তাদের যেমন আগ্রহ নাই স্বামীর একাউন্টে কে মেসজ দেয়, ফেসবুকে কে বন্ধু ইত্যাদি। তাদেরও তো সুখের সংসার আছে। মূলতঃ মতলব বাজ কে, সেটা যেমন স্বামী বুঝতে পারে তেমন স্ত্রীও বুঝতে পারে। এদের জন্য যত প্রতিবন্ধক বানানো হোক না কেন, বেড়া ভাঙ্গবেই। সে জন্য চাই বিশ্বস্ততা, আন্তরিকতা। আল্লাহ ও আখিরাতের ভয়। এই চারটি জিনিষ থাকলে তার জন্য উপরের এসব জিনিসের কোন প্রয়োজন হয় না। অনেক ধন্যবাদ।
আসলে উভয়কে অপরকে সম্মান করতে জানতে হবে।একেবারে ওপেন হওয়াও শরিয়ত সম্মত নয়। প্রত্যেকের এমন কিছু প্রাইভেসী থাকতে পারে যা হালাল এবং অন্যকে না জানানোই উচিত। উভয়কে বিশ্বস্ত থাকতে হবে এবং আল্লাহ নির্ধারিত সীমা মেনে চলতে হবে
সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ
২০ বছরে সংসারে বিশ্বাস নামক মজবুত খুটি একটুও টলেনি ... তার উপরে এখনও দাড়িয়ে আছে সংসার নামের পবিত্র ভালোবাসার ছাউনি।
আমার ব্লগের, ফেসবুকের,সকল ই-মেলের পাস-ওয়ার্ড আমার স্ত্রী ও সন্তানরা জানে।
আমার স্ত্রী আমার সন্তান আমরা একে অপরের খুব ভালো বন্ধু .... আমাদের মধ্যে
আছে বিশ্বাস,শ্রদ্ধা আর নিখাদ ভালোবাসার বন্ধন।
আর এটাতো আমার মহান রবের পক্ষ থেকে আমার প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ।
এটার উত্তর টা ক্লিয়ার না, ধোয়াসা, তবে আমি যা বুঝার বুঝেছি......
মন্তব্য করতে লগইন করুন