বই ও আপনার শিশু
লিখেছেন লিখেছেন কানিজ ফাতিমা ২৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৩৫:৪৪ সকাল
খুব ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদের বই ও লাইব্রেরীর সাথে পরিচিত করানো খুব জরুরী ।বাচ্চা একটু বড় হয়ে গেলে যে কাজটা কঠিন হয়ে যায় ছোট বেলা থেকে অভ্যাস করলে তা অনেকটা সহজ হয়। সময়ে একফোর দিয়ে যেটা করা সম্ভব অসময়ে দশ ফোরেও সেটা হয় না। তাই যত ব্যস্তই থাকুন আপনার ছয় মাসের বাচ্চাকে নিয়ে শুয়ে রঙ্গীন বইয়ের পাতা উল্টান। ঘুমের সময় বই থেকে মজার মজার শব্দ করে গল্প পড়ে শুনান । তিন বছরের বাচ্চাকে লাইব্রেরীতে নিয়ে যান। পাচ বছরের বাচ্চার ঘরে ছোট লাইব্রেরী গড়ে দিন। দেখবেন আপনার বাচ্চা আর দশটা বাচ্চার মত টিভি বা নেটে আসক্ত হবে না, দামী অনুপযোগী gift চেয়ে বায়না ধরবে না, বন্ধু বান্ধব নিয়ে গভীর রাতে আড্ডায় মক্ত হাবর সম্ভাবনা কমে যাবে বহু গুন।
বাচ্চারা দশ বছরে পা দিতে না দিতেই সব কিছুতে মজা বা ফান (fun) খুঁজে। সে যদি বইয়ের পাতায় সেটা পেয়ে যায় তবে সে আর সেটা অনুপযোগী (inappropriate) কোনো কিছুতে খুজবে না।এটা তাকে বাচাবে পর্ণ থেকে, খারাপ বন্ধুত্ব থেকে বা নেশা থেকে।
ভাবছেন বাচ্চার বয়স ছয়মাস, এখনি এসব নিয়ে না ভাবলেও চলবে। আসলে দশ বা পনের বছর অনেক দুরে হলেও বাচ্চার অভ্যাস তৈরীর কাজ অলরেডী শুরু হয়ে গিয়েছে তার মস্তিস্কে। আজ যদি বই তার অভ্যাসের সিস্টেমে না দেন তবে অন্য কিছু সে জায়গা নিয়ে নেবে। সেই অভ্যাস ভেঙ্গে নতুন অভ্যাস তৈরী করা তখন কঠিন হবে। প্রতি মুহুর্তে আপনার বাচ্চা পরিবেশ থেকে নানারকম তথ্য ও ক্লু নিয়ে তার মস্তিস্কে রাখছে। সে এতটাই ছোট যে তার পক্ষে এসব ক্লু থেকে ভালো খারাপের পার্থক্য করা সম্ভব নয়। পিতা-মাতা হিসাবে আপনার দয়িত্ব যতটা সম্ভব ভালো কিছু দিয়ে তার মস্তিস্কের জায়গা পূরণ করে দেয়া। নয়তো সে জায়গা এমন কিছু দিয়ে পূরণ হবে যাতে আপনার কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
মনে রাখবেন Parenting এর একটি মন্ত্র হলো-
Be proactive, rather than reactive.
সমস্যা হওয়ার পর সমাধান খোজার থেকে সমস্যা না হতে দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
বিষয়: বিবিধ
১১৪২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
না হলে ঘরে বসে বসে খেয়ে খেয়ে মোটা হয়ে যাবে ।
আর মোটা হয়ে গেলে তো ..........
মন্তব্য করতে লগইন করুন